পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি। আপনারা সবাই জানেন লেখাপড়ার জন্য বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি কিছুদিন যাবত। তাও চেষ্টা করি লেখাপড়ার ফাঁকে আপনাদের সাথে কিছু সময় শেয়ার করার জন্য। আসলে আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে প্রাইভেটে একটা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষাটা খুব ভালো হয়েছে। আশা করি পরীক্ষাতে তিন জনের মধ্যে থাকতে পারবো। প্রাইভেট শেষ করে বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করেছি। আসলে মেসে থাকতে আর ভালো লাগছে না তাই বন্ধুরা কয়েকজন মিলে ব্যাচেলার ফ্ল্যাট খুজতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাচেলার কেউ ভাড়া দিতে চাচ্ছে না । সব মিলিয়ে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছি। আসলে মেসে থাকতে মন চাচ্ছে না এই কারণে ম্যাচের খাবার খুবই খারাপ হচ্ছে কয়েক মাস যাবত। তারপরে বাসায় ফিরে লেখাপড়া করলাম তারপরে আপনাদের সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.........

আসলে ঈদের ছুটির ভিতরে বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে যাওয়ার পরে অনেক কাজে ব্যস্ত হয়ে থাকতে হয়। আমি যখন বাড়িতে ছিলাম তখন আমার আব্বু ঢাকাতে ছিল গরুর ব্যবসা করার জন্য। আসলে বাড়ির পাশে একটি আমাদের পুকুর রয়েছে সেখানে মাছ চাষ করা হয় প্রত্যেক দিন বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়া হয়। আব্বু যেহেতু বাড়িতে নেই এই কারণে মাসের খাবার দিতে যাওয়া হতো প্রায় প্রতিদিনই তখন। তাই একদিন আমি মাছের খাবারের কিছু ছবি তুলে রাখলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে মাছের খাবার দেখতে পারবেন। প্রতিটি বস্তায় প্রায় ২৫ কেজি খাবার থাকে। এই ২৫ কেজি খাবারের দাম ১৬৫০ টাকা। আসলে আগের তুলনায় মাছের খাবারের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মাছ চাষি খুবই ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু খাবারের তুলনায় মাছের দাম খুব একটা বেশি বৃদ্ধি পায়নি।

এবার উপরের ছবির দিকে আপনাদের লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি পুকুরের পাড়ে যখন মাছের খাবার নিয়ে চলে এসেছি তখন খাবার মাচালের উপরে অনেক সুন্দর ভাবে রেখেছিলাম। তারপরে আমি দূর থেকে অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে পুকুরে প্রত্যেক দিন প্রায় এক বস্তা করে খাবার দেওয়া হয় কিন্তু বাড়িতে খাবার শুধুমাত্র তিন বস্তা রয়েছে তাই অল্প করে দেওয়া হচ্ছে। আব্বু যেহেতু বাড়িতে নেই তাই খাবার কিনে আনার জন্য কোন লোক বাড়িতে ছিল না। তাই এখন মাছের খাবার খুবই অল্প পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে।

আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে পুকুরের মধ্যে মাছের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে আমি যখন মাছগুলোকে খেতে দিচ্ছিলাম তখন অনেক জোরে লাফালাফি করছিল এবং তাড়াহুড়া করে খাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাই পানি গুলো অনেক জোরে এদিকে ওদিকে ঢেউ খেলছিল তখন ছবিটি তোলা হয়েছিল। এখন প্রায় প্রতিটি মাছের ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম হয়েছে। আশা করি আর দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে মাছের ওজন তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি হয়ে যাবে। তখন মাছগুলোকে বিক্রয় করে দেওয়া হবে।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে পুকুরের পুরো ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে পুকুরের চারি পাশে কোথাও গাছ লাগানোর নেই আসলে গাছ লাগানো থাকলে পুকুরে যদি গাছের ছায়া পড়ে তাহলে মাছ খুব একটা বৃদ্ধি পায় না। সূর্যের আলো পুকুরে পড়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনারা দেখতে পারছেন পুকুরের মাঝখানে কিছু সুতা টাঙানো রয়েছে। আসলে এই সুতা গুলো টাঙানো হয়েছে মাছ যখন ছোট ছিল তখন অনেক পাখি এসে মাছগুলোকে খেয়ে ফেলতো। এই সুতা টাঙানোর কারণে পাখিগুলো আর পুকুরের উপরে আসতে পারে না ভয়ের কারণে। পাখি যদি পুকুরের মধ্যে নামার চেষ্টা করে তাহলে উড়ে যাওয়ার সময় পাখির ডানা বেধে যায় এই কারণে পাখি পুকুরের আশে পাশেও আর আসে না।

মাছের খাবার দেওয়া শেষে আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে আমি যখন সেলফি তুলতে গিয়েছিলাম তখন আমার হাত থেকে মোবাইল ফোন একবার পড়ে গিয়েছিল কিন্তু পানির মধ্যে পড়ছিল না মাচালের উপরে বেঁধেছিল। আসলে তখন আমি খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পুকুরটিতে মোট জমির পরিমাণ দুই বিঘা চোদ্দ কাটা। আমাদের এই পুকুরটিতে মাছের পোনা দেওয়া রয়েছে শুধুমাত্র ৩৭০০ পিস। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।