ভ্রমণ = ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৬-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব। আসলে আজকে সকালবেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । আমি যখন রুম থেকে বের হলাম তখন দেখি ঠিক মামী আমাকে ফোন দিয়েছে। আমার নানি নাকি অনেক অসুস্থ এই জন্য। নানিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে কিন্তু মামী কোন কিছু পারবে না বলে আমাকে যাওয়ার জন্য বলছে তাই আমি সেখান থেকে তাড়াহুড়ো করে হাসপাতালের দিকে রওনা দিলাম। তারপরে আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি নানিকে জরুরিভাবে নিয়ে বসে আছে। তারপরে আমি সেখান থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ডাক্তার ভর্তি করে নিল। তিনটা পরীক্ষা দিয়েছে পরীক্ষা গুলো দশটার পরে করা হবে। তাই আমি আবার হাসপাতাল থেকে একটু মেসে আসলাম খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দেখি হাতে এখনো অনেক সময় আছে তাই পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন শেয়ার করা যাক ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব......
আপনারা অনেক আগেই জেনেছেন আমরা মুজিবনগর ভ্রমণে এসেছিলাম মোট ছয় জন। দুইটা বাইক নিয়ে আমরা মুজিবনগর ভ্রমণে এসেছিলাম। আমরা যেদিন মুজিবনগর দেখতে এসেছিলাম সেই দিন অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার পথে বৃষ্টিতে আমরা প্রায় ভিজে গিয়েছিলাম পরে এক জায়গায় অবস্থান নিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে মুজিবনগর প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা যে কয়জন লোক মুজিবনগর ভ্রমণে গিয়েছিলাম সবার ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই মুজিবনগরকে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী বলা হয়।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মুজিবনগর মূলত তৈরি করা হয়েছে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। আসলে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের উপর আক্রমণ করেছিল সেই সব দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্রের উপরে এই সব কিছু দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে। আসলে সেখানে যাওয়ার পরে বেশ সুন্দর মনোরম পরিবেশে একটা সময় কাটিয়েছিলাম। আমার কাছে এগুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দরভাবে স্মৃতিসৌধের সাথে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এখানে মোট ২১ টি পিলার রয়েছে। আসলে এখানে জুতা বা স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে ওঠা পুরোটাই নিষিদ্ধ। যুদ্ধের সময় শহীদদের স্মরণের কথা মাথায় রেখে এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। আসলে এখানে যখন আমি গিয়েছিলাম তখন প্রচন্ড রোদ পড়ছিল খালি পায়ে উপরে ওঠায় যাচ্ছিল না। তাই নিচে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম।
এবার আপনাদের উপরের ছবি দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। মুজিবনগরের যেই বিখ্যাত আম বাগান রয়েছে সেখানে মানুষজন অনেক সুন্দর ভাবে বসে তাদের জিনিস সামগ্রী বিক্রয় করেছিল। তারপরে আমরা সেগুলো দেখার জন্য আম বাগানের মধ্যে প্রবেশ করি। আসলে সেখানে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে এক তারা দেখতে। কাঠের তৈরি ছোট্ট ছোট্ট গিটার ছিল সেগুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। আমি একটি ছোট্ট গিটার কিনেছিলাম বাইকে চাবির রিং এ দেওয়ার জন্য। আমার কাছে ছোট্ট একটি গিটারের দাম নিয়েছিল ৩০ টাকা। সেটা আমার ভাইকে বেশ ভালোই লাগে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। সেখানে আমার দুলাভাই একটি বাঁশি দেখেছিল তারপরে সেই বাঁশিটি সেখান থেকে নিয়ে বাজারে শুরু করে। আমি আগে জানতাম না যে আমার দুলাভাই বাঁশি বাজাতে পারে। পরে সেই বাঁশিটি আমার দুলাভাই সেখান থেকে কিনে নেয়। বাঁশির দাম নিয়েছিল ১৮০ টাকা। আমার দুলাভাই বলছিল আমার অনেক শখ ছিল আমি বাঁশি বাজানো শিখব। তারপরে বলছিল পরে আমি বাঁশি বাজানো শিখেছি ঠিকই কিন্তু এখন আমার কাছে কোন বাঁশি নেই। তাই আজকে একটা বাসি কিনলাম এখন থেকে কয়েকদিন পরপর বাজানো হবে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যেখানে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। তার ঠিক পাশে অল্প কিছু জায়গা চারিপাশে ঘিরে অল্প পরিমাণে পানি দেওয়া রয়েছে পানির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। আসলে সে জায়গাটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমি উপর থেকে তখন অনেক সুন্দর ভাবে আকাশের দৃশ্য সহ সেখানকার একটি ছবি তুলেছিলাম। আসলে এই ছবিগুলো যখন তোলা হয়েছিল তখন আমার কাছে আমার আগের মোবাইল ছিল। আশা করি দেখতে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে ছবিটি।
ঘোরাঘুরি শেষে ঠিক দুপুর বেলার দিকে আমাদের খুবই ক্ষুধা লেগেছে। সেখানে একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এখানে কোন হোটেল আছে কিনা। তারপরে সেই লোকটি আমাদেরকে বলেছিল এখানে কোনো ভালো হোটেল নেই যদি পেতে হয় তাহলে অল্প একটু বাইরে যেতে হবে। তাই আমরা শেষে সেখানেই বসে খাওয়া-দাওয়া করি। খাবার সময় অনেক সুন্দরভাবে আমি একটি সেলফি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | মুজিবনগর ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi not 8 / oppo f21s pro |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | মুজিবনগর, মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
২০১৭ তে গিয়েছিলাম তখন খুব মজা করে পরিবারের সাথে গিয়েছিলাম অনেক ভাল লেগেছিল।আপনি প্রতিটা ছবির বিবরণ খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন ভাল লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনিও যে মুজিবনগর দেখতে এসেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ কাহিনীটি পড়ে। আসলে মুজিবনগর এ অনেকদিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে আবার পুরনো স্মৃতিগুলো মনে হয়ে গেল। আসলে পরিবারের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন পরিবারের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজাটা আলাদা। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব আজকে আপনি আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। দেখে বুঝতে পারছি আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো ছিল। ছয়জন মিলে অনেক বেশি ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন সেখানে। আর প্রত্যেকটা ছবি বর্ণনা সহ শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ছবিগুলোর বর্ণনা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। পুরো জায়গাটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে দেখতে।
ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে পোস্টটি পড়ে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
https://twitter.com/GKibreay/status/1688091848378843136?s=20
ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এবং ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা আপনি তৃতীয় পর্বের মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন। ফটোগ্রাফি গুলো এবং মুহূর্তটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি। জায়গাটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর। রোদ থাকার কারণে আপনারা খালি পায়ে স্মৃতিসৌধের উপরে উঠতে পারেননি। তবে নিচ থেকে ফটোগ্রাফি করেছিলেন এবং সেলফি তুলেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে টি শেয়ার করেন।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার নানী বেশ অসুস্থ জেনে বেশ খারাপ লাগলো । দ্রুত ওনার সুস্থতা কামনা করছি । আর আপনার মুজিবনগর এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগে লাগলো । কেননা দীর্ঘ বেশ কিছু বছর আগে আমিও মুজিবনগর ঘুরতে গিয়েছিলাম । পুরনো জায়গাটি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।
নানী গতকালকের থেকেও আজকে অনেকটা সুস্থ আছে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে সুন্দরভাবে মতামত প্রদান করার জন্য।
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ জায়গা হলো পরিবার। আর সেই পরিবারের সঙ্গে তো ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা এক অনুভূতির জন্ম দেয়। তবে এই মুজিবনগরের কথা বইয়ে পড়েছিলাম। অনেক ইচেছ আছে এই মুজিব নগরে যাওয়ার। না যেতে পারলেও কিন্তু সমস্যা নেই। আপনি যে ভাবে সম্পর্ণ মুজিব নগর কে তুলে ধরেছেন। তাতে না হয় দুধের স্বাদ কিছুটা ঘোলে মিটালাম।
আপনি বই থেকে মুজিবনগর এর নাম জানতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি মুজিবনগর ভ্রমণ করতে আসতে পারেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মামা মুজিবনগরে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলে, আমাকে সাথে না নিয়ে গিয়ে বেশ ভুল করেছো তুমি। অনেক বছর হয়ে যাচ্ছে মুজিবনগরে এই জায়গা গুলো ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না আমার। বেশ ভালো লাগলো দারুন দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। সুপরিচিত দৃশ্যগুলো পুনরায় দেখতে পেরে খুশি হলাম।
আবার অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মুজিবনগর যাওয়ার চেষ্টা করবো মামা রেডি থাকবেন আপনাকে ফোন দেব। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।