কোরবানির পশুর হাট নিয়ে কিছু আলোচনা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০২-০৭-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কোরবানির পশুর হাট নিয়ে কিছু আলোচনা। আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমার দুলাভাই পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করে বেশ কিছুদিন ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। আজকে সকাল নয়টার সময় বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছে আবারও চাকরির উদ্দেশ্যে। বাড়ি থেকে আমি বাইকে করে রেখে এসেছিলাম ১০ কিলোমিটার দূরে। আসলে আমাদের বাড়ি গ্রাম অঞ্চলের হাওয়ায় আমাদের বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড প্রায় অনেক দূরে। দুলাভাইয়ের সাথে সেখানে গিয়ে দুজন বেশ ভালোভাবেই বসে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনা করছিলাম বাসা ছাড়া আগ পর্যন্ত। তার কিছুক্ষণ পরে বাস এলো আমার দুলাভাই ও চলে গেল। তারপরে বাইক নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসলাম। তারপরে একটু এলাকার ছেলেপেলের সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে দুপুরবেলায় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গোসল শেষ করে আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করতে বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক........
আপনার উপর ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন এবার ঢাকায় কোরবানির পরশুর হাট এর ছবি তুলে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।আসলে মেস থেকে বাড়িতে আসার পরে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে আপনারা সবাই জানেন ঈদের কিছুদিন আগে আমি বাড়িতে এসেছি। আমার আব্বু এই বছরে ঢাকায় ৩৭ টি গরু নিয়ে গিয়েছিল। আসলে আমার আব্বু প্রায় সারা বছরই গরুর ব্যবসা করে। এই বছর আমাদের প্রায় দশটি গরুর ঘুরে এসেছে ঢাকা থেকে। আসলে আব্বুর কাছ থেকে জানতে পারলাম গরুর বাজার এই বছর খুবই খারাপ গিয়েছে আসলে নিজে এই সম্পর্কে কোন কিছুই বুঝিনা।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক জায়গায় বিভিন্ন গরু বান্দা রয়েছে। আসলে সবাই গরুগুলো প্রায় সারা বছর বাড়িতে লালন পালন করে তারপরে ঢাকাতে বিক্রয় করতে আসে। কিন্তু প্রত্যেক বছরে তুলনায় এই বছরে ঢাকায় গরুর বাজার অনেক খারাপ। আসলে এই বছর যারা গরু পালন করেছে বাড়িতে যেই টাকা দিয়ে গরু কিনে পালন করেছে এবং যে টাকা গরুকে খাবার খাইয়েছে বিক্রয় করার সময় তার অর্ধেক দামও পায়নি। আসলে জায়গা গুলো দেখতে বেশ ভালই ছিল। এবার ঢাকার হাট আমি বেশ ভালোভাবেই ঘুরে উপভোগ করেছিলাম। আব্বুর সাথে এই দিয়ে দুইবার ঢাকায় গরু নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আপনারা সবাই জানেন প্রতি বছর আমাদের মেহেরপুরের গরু অনেক ঢাকায় বিক্রয় করতে যায়। এবার মেহেরপুরের মুজিবনগর এর একটি নামকরা গরু ছিল রাজা বাবু নামের। আসলে সেই গরুটি আমি দেখিনি তবে ফেসবুকে দেখেছি। আসলে গরুটি দেখতে নাকি বিশাল সাইজের। তবে আপনারা উপরে দিকে যে গরুটা দেখতে পারছেন এই গরুটা হচ্ছে প্রায় ৩০ মণ ওজন হবে কিন্তু এই গরুটা ঢাকায় বিক্রয় করতে পারেনি গরুর মালিক অনেক কান্না করেছিল সেখানে। আসলে তাদের চোখ ফানি তাকালে নিজেরে তখন অনেক কান্না চলে আসে। তারা সাংবাদিকদের কাছে বলছে নিজের ছেলের মত গরুকে লালন-পালন করেছি। এই কথা শোনার পরে আমারই অনেক খারাপ লেগেছিল।
আমার স্বচক্ষে দেখা একটি ঘটনা। আপনারা উপরের দিকে যেই ছবিটা দেখতে পারছেন এটি হচ্ছে আমার ছোট আব্বার গরু। বাড়ি থেকে দুই লাখ আশি হাজার টাকা দাম বলছিল তাও বিক্রয় করা হয়নি। তারপরে ছোট আব্বু আব্বুর সাথে এই গরুটাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিল। ঢাকায় যাওয়ার পর প্রথম দিন গরুটার দাম বলেছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আমার ছোট আব্বুর টার্গেট ছিল ৩ লাখ টাকা হলে এই গরুটা বিক্রয় করে দিবে। যতই দিন যায় এই গরুটার দাম ততই কমতে থাকে। সর্বশেষ লাস্টের দিন এই গরুটার দাম বলেছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আসলে এই গরুটা বাড়িতে ঘুরে আনা হয়েছে বাড়িতে আনার পরে বেশ অসুস্থ এখন। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে । সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1675426957977321472?t=jpWyLHlBA3r4APh5TaeX1w&s=19
ভাইয়া গরুর দাম গত বছর অনেক বেশি গিয়েছে। সেজন্য এ বছর সবাই গরু পালনের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।তাছাড়া যারা গত বছর লাস্টের দিকে গরু কিনেছে তারা এ বছর আগে আগেই গরু কিনে ফেলেছে।যার জন্য এ বছর গরুর দাম তুলনামূলক কিছুটা কম গেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই গত বছরের তুলনায় এই বছরে গরুর দাম অনেক কম হয়েছে এর প্রধান কারণ অনেক গরু পালন করেছে তাই।
কোরবানি হাটে খুব সুন্দর মুহূর্ত বিবাহিত করেছেন। আসলে গরু বাজারে গেলে খুবই অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে হৃদয়ের মাঝে। বাজারের গরু নেওয়া হলে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমাদের পাশের বাড়িরও একটি গরু বাজার নেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ বছর লাস্টের বাজার গুলোতে গরুর দাম অনেক কমে গিয়েছে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।