মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬-০৭-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা । আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম প্রায় সাতটার দিকে। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে অল্প একটু লেখাপড়া জন্য বসেছিলাম বাড়িতে। তার কিছুক্ষণ পর প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন বসে ছিলাম হঠাৎ দেখি একজন বন্ধু মোবাইল ফোনে ফোন দিয়েছে। আসলে সেই বন্ধু কম্পিউটার ক্লাসে ভর্তি হয়েছে প্রথম দিন আমাকে যেতে হবে এজন্য। আসলে আমি যেখান থেকে কম্পিউটার শিখেছিলাম আমার বন্ধু সেখানেই ভর্তি হয়েছে। তারপরে আমি বন্ধুর সাথে সেখানে গিয়ে কিছু সময় বসে ছিলাম। সেখানে অনেকদিন পর গিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা করি কনোক ভাইয়ের সাথে আমাকে যে কম্পিউটার শিখিয়েছে। ভাইয়ের সাথে বেশ কিছুক্ষণ হাসাহাসি এবং আড্ডা দিয়েছিলাম ভাই বলছে আরো কিছু ছাত্র দেখে দেওয়ার জন্য আমি বলেছিলাম ঠিক আছে যদি পাই তাহলে খবর দিব আপনাকে। তারপরে সেখান থেকে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। তবে চলুন আমার মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.......
আমি ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আমার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেছিলাম। আমি যখন মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলাম তখন নানিদের গ্রামে এসে ভর্তি হয়েছিলাম। আসলে আমাদের গ্রামে প্রাইভেটের জন্য খুব একটা ভালো শিক্ষক পাওয়া যায় না এজন্য। হয়তো আমি সেই সময় যদি নারীদের গ্রামে এসে শিক্ষাজীবন না শুরু করতাম আজকে আপনাদের সাথে কোনভাবেই পরিচিত হতে পারতাম না। সেখানে আসার পরে মোস্তাফিজুর মামাদের সাথে আমার চলাফেরা শুরু হয় এবং তাদের থেকে আমি স্টিমেটে যাত্রা শুরু করেছিলাম। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পরে জানুয়ারি মাসেই একটা প্রিটেস্ট পরীক্ষা হয়েছিল শুধু মাত্র রোল নম্বর নির্ধারণ করার জন্য। ষষ্ঠ শ্রেণীতে আমরা মোট ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম লাম ১২২ জন। সেখানে আমি ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে আমার রোল নম্বর হয়েছিল ৬। কিন্তু আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ফাইনাল পরীক্ষার তে গিয়ে রেজাল্ট অনেক খারাপ করেছিলাম সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার সময় আমার রোল নম্বর হয়েছিল ১১। এভাবে আমি প্রায় ক্লাসগুলো অতিক্রম করতে থাকি।
আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমাদের স্কুলে ইন্টারে স্কুল খেলা শুরু হয়েছিল। সেখানে প্রতিটা ক্লাস থেকে শিক্ষকরা এসে নাম নেওয়া শুরু করেছিল। আমিও ইন্টার স্কুল খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমাদের নিজেদের স্কুলে যখন প্র্যাকটিস করাতে ছিল সেখান থেকে আমি ইন্টার স্কুল টিমে সিলেক্ট হয়ে যায়। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। প্রথমবারে আমাদের স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপরে আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যখন অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম তখন আবারো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল এর মাধ্যমে আমার রোল নম্বর হয়েছিল ৪। এভাবেই প্রায় ৯ থেকে ১০ মাস কেটে যায় তারপরে আবার জেএসসি পরীক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। জেএসসি পরীক্ষাতে আমি খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারছিলাম না। আমার রেজাল্ট জানার পরে নিজের কাছেই খুবই খারাপ লাগছিল তখন ৪.৮৬ পেয়ে আমি উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। বাড়ি থেকে তখন অনেক বকাবকি করেছিল।
তারপরে কয়েক মাস ছুটি কাটিয়া আবারও এসে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলাম। প্রথমে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি হয়েছিলাম। বিজ্ঞান বিভাগে আমি প্রায় এক মাস ক্লাস করেছিলাম। তারপরে আমার মামা আমাকে বিজ্ঞান বিভাগ নিতে নিষেধ করেছিল তাই আবারও মানবিক বিভাগে নিতে হয়েছিল। আসলে আমার মামা মূলত মানবিক বিভাগ থেকে লেখাপড়া করে এখন কুষ্টিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি প্রভাষক পদে কর্মরত রয়েছে। মামা আমাকে বলেছিল যদি ভালো কিছু করতে হয় তাহলে মানবিক বিভাগ নিয়েই লেখাপড়া চালিয়ে যাও। কিন্তু সেই মামা আমাকে কিছুদিন আগেও বলছে বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য। এভাবেই নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। আমি যখন দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেছিলাম তখন প্রেমে পড়েছিলাম। আসলে তার সাথে সে তখন প্রায় অনেক কথাই এবং আলাপ আলোচনা হতো আমাদের দুজনের মধ্যে। কিছুদিন পরে আমার এসএসসি পরীক্ষা চলে আসে সামনে। জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করতে পারিনি শুধুমাত্র প্রেমের কারণে। তারপরে আবারো সেই মেয়েটির সঙ্গে আমার অনেক কথাই এবং আলাপ আলোচনা হতে থাকে এভাবে অনেক দিন চলে যায়। তার কিছুদিন পরেই জানতে পারি মেয়েটির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আসলে সেই সময় আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। তারপরে আবারো ফিরে আসি নিজের লেখাপড়া ও কর্মজীবনের ব্যস্ততায়। এই বলে আজকের পোস্ট লেখা শেষ করলাম। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1680500975268667393?t=iZ_vacRveLHI4Ftv9PWDCQ&s=19