স্পোর্টস পোস্ট // সোহাগ ও আশিক দলের মধ্যকার ফুটবল খেলা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সোহাগ ও আশিক দলের মধ্যকার ফুটবল খেলা । আসলে গতকালকে বেশ ক্লান্ত ছিলাম তাই রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাও প্রায় অর্ধেক রাতে উঠে কিছু কমেন্ট করেছিলাম। আজকে ঘুম থেকে উঠে দেখি এখনো অনেক রাত্র আছে কিন্তু আর ঘুম আসছে না। তাই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে শুরু করে দিলাম পোস্ট লেখা। কয়েকদিন আগে আমাদের মেসে খেলা হয়েছিল প্রথম ফ্ল্যাট এবং দ্বিতীয় ফ্লাট। আমাদের দলের ক্যাপ্টেনের নাম ছিল সোহাগ এবং বিপরীত দলের ক্যাপ্টেনের নাম ছিল আশিক। আসলে খেলা হয়েছিল মূলত পিকনিকের জন্য। যে দল হারবে সেই দল আমাদেরকে খাওয়াবে এই উদ্দেশ্যে খেলা হয়েছিল। খেলা শুরু হওয়ার আগেই আমরা পিকনিকের বাজার করে রেখে গিয়েছিলাম খেলা খেলতে। তবে চলুন আজকের পোস্টের নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.......
খেলা শুরু হওয়ার আগে প্রায় বিকেল চারটার দিকে প্রচন্ড পানি হয়েছিল তাই ফিল্ডে অনেক পানি বেধে গেছে আপনারা উপরে ছুটির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন। প্রথমে এসে টস করার পরে আমরা সাইড এবং বল পেয়ে যায়। উপরের ছবির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি ফিল্ডের মাঝখানে সেন্টার করার জন্য বল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আসলে আমার মোবাইল ফোনটি বাইরে এক ছোট ভাইয়ের কাছে দিয়ে গিয়েছিলাম সে অনেক সুন্দর ভাবে ছবিগুলো তুলেছিল। তাই আপনাদের মাঝে খেলাটি শেয়ার করতে পারছি। আমরা মূলত খেলা খেলেছিলাম ৩০ মিনিট ১০ মিনিট ৩০ মিনিট। মাঝখানের দশ মিনিট হচ্ছে হাফ টাইম।
খেলা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরে আমরা এক গোল খেয়ে যায়। তারপরে আবারও আমরা সেন্টার করেছিলাম। এবার আমি সেন্টার করে বল আমাদের একজন প্লেয়ারের কাছে দিয়ে দৌড় দেওয়া শুরু করেছে। আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে ভালোভাবে দেখতে পারবেন। পরে আমরা হাফ টাইম এর আগেই এক গোল শোধ করে আরো এক গোল বেশি করে দিয়েছিলাম। খেলায় বিরতি থেকে ১০ মিনিট পরে আবারো আমরা ফিরে এসেছিলাম। আসলে ফিল্ডে অনেক পানি ছিল তাই খেলা খেলার সময় আমরা বেশ আনান্দ উপভোগ করেছিলাম। আসলে আমি দুই পা তুলে বাইসাইকেল কিক মারতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম মাজায় বেশ লেগেছিল আমার।
এবার আপনার উপরের ছবি দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন আমার বিপরীত দলের প্লেয়ার সেন্টার করছে হাপ টাইমের খেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে একটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে খেলা খেলার সময় একে অপরের সাথে আমরা বেশ মজা করেছিলাম। হাপ টাইমের খেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আমি একটি গোল করেছিলাম। তারপরে আমরা তিন এক গোলে খেলা এগিয়ে যাই। পরবর্তীতে বিপরীত দলের প্লেয়ার আবারও দুটি গোল করে তিন তিন গোলের সমতা ফিরে আনে। তারপরে দুই দল চেষ্টা করেও আর কোন গোল করতে পারছিলাম না। এভাবে খেলা অনেকক্ষণ চলতে থাকলো।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার বিপরীত দলের প্লেয়ার একজন ফাউল শট মারতেছে ফিল্ডের মাঝখান থেকে। আসলে তার নাম মোঃ খালিদ হাসান রনি তিনি অনেক ভালো ফুটবল খেলা খেল। রনি গত বছর জেলা টিমে খেলা খেলেছিল। সেখানে আমরা বেশ কয়েকজন প্লেয়ার তার বলের সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দিয়েছিলাম। সে বলটি মারতে গিয়ে আমাদের একজন প্লেয়ারের পিঠে মেরেছিল বেশ লেগেছিল সেই সময়। এভাবে খেলা আরো কিছুক্ষণ চলতে থাকে তাও কোন গোলের দেখা হয় না।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারছেন আমরা একটি কর্নাল কিক পেয়েছি। আসলে আমরা শুনেছি কর্নাল মানে অর্ধেক গোল। কিন্তু সেই কর্নাল কিক থেকে আমরা গোল করতে পারছিলাম না। এভাবেই খেলা বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকে আমাদের। পরবর্তীতে আমাদের একজন প্লেয়ার বল নিয়ে যাওয়ার সময় পানিতে পিছলে পড়ে গিয়েছিল অনেক ব্যথা পাওয়ার কারণে সে বসে গেল আরেকজন প্লেয়ার উঠেছিল। আসলে পানির কারণে কেউ এমন ভালো খেলা উপহার দিতে পারছিল না কিন্তু প্লেয়ার যখন পড়ে যাচ্ছিল দেখতে বেশ ভালই লাগছিল আমার তো অনেক হাসি পেয়েছিল কিন্তু আমিও তিন চার বার পড়েছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারছেন। বল যদি পানির মধ্যে যাচ্ছে তাহলে সব প্লেয়ার সেখানে গিয়ে একসাথে বল নিয়ে মারামারি করছে বেশ ভালোই লাগছে এগুলো দেখতে আমার কাছে। আসলে পানির মধ্যে বল পা দিয়ে মেরে দেওয়া একটি মুশকিল। আসলে এই ফুটবল খেলা আমার অনেক পছন্দের একটি খেলা আগে এই ফুটবল খেলা খেলতে আমি কোন ভয় পেতাম না কিন্তু এখন বল দেখলে আমার অনেক ভয় পায়। আমি তাই পানির মধ্যে গিয়েছিলাম না উপরে দাঁড়িয়েছিলাম বল যদি কেউ মেরে আমার কাছে দেয় তাহলে গোল দেওয়ার জন্য। কিন্তু বল কেউ আমাকে দিতে পারছিল না।
লাস্টে খেলা আর সাত থেকে আট মিনিট মত ছিল সেই সময় আমরা দুই দলই অনেক অ্যাটাক করছিলাম তাও গোল হচ্ছিল না। অবশেষে খেলা যখন আর তিন মিনিট ছিল আমি অনেক দূর থেকে জোরে করে একটি বল মারছিলাম বল এসে পানির উপরে পড়ার পরে বলে আরো গতি বেড়ে যায় সেই বলটি গোলের মধ্যে যায় অবশেষে খেলায় আমরা তিন-চার গোলে জিতে যায়। আসলে খেলায় জিতে যাওয়ার পরে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আসলে অনেকদিন পর আবারো ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা খেললাম এর আগে ফুটবল খেলছি কিন্তু এমন টুর্নামেন্ট অনেকদিন পর আবারো খেলতে পারলাম।
সবার শেষে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের দুই টিমের প্লেয়ার এবং আমি একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা যখন খেলা খেলতে গিয়েছিলাম তখন ও ফিরফির করে আকাশ থেকে পানি পড়ছিল তাও মোবাইল দিয়ে আমি ছবি তুলছিলাম। সেদিন রাতে মেসে ফিরে পিকনিকে বেশ আনন্দ করেছিলাম সবাই। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @kibreay001 |
ডিভাইস | oppo f21s pro |
লোকেশন | গাংনী, মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1691595051112259604?s=20
আমরাও একটা সময়ে যখন বৃষ্টি হত তখন বৃষ্টির পানির মধ্যে অনেক খেলা খেলেছি। আসলে বৃষ্টি ঝুমঝুম করে পড়ে এই সময় ফুটবল খেলে ভীষণ ভালো লাগে। সোহাগ এবং আশিকের দলের মধ্যে করে ফুটবল খেলাটি নিশ্চয়ই খুব উপভোগ করেছে। আমরাও খেলাগুলো খেলতাম কোন কিছুর উদ্দেশ্যে যখন পিকনিক তার মধ্যে ছিল অন্যতম। হারজিতটা কোন ব্যাপার নয় যে জিতু বা হারুক আমাদের একটা উদ্দেশ্য ছিল যে খেলা শেষে পিকনিক করবো। ঠিক তোমরা তেমনটাই করেছ বেশ ভালো লাগলো তোমাদের এই খেলা শেষে পিকনিকের বিষয়টা জানার পর।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
শেষ তিন মিনিট থাকতে যেহেতু গোল হয়েছিল তাই টানটান একটা উত্তেজনা কাজ করছিল যাইহোক অবশেষে ৩ - ৪ গোলে ম্যাচ জিতেছে না আপনারা। আপনাদের ফুটবল ম্যাচের ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি খেলার মধ্যে দুই পক্ষই বেশ এটাক করছিল এবং খেলাটা বেশ উত্তেজনা মুহূর্ত কাজ করছিল সেই সময়।
বৃষ্টির দিনে দেখছে ভালোই মজা করে ফুটবল খেলা করেছেন। আসলে বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলাটা যেমন মজা তেমনি একটু ভয়াবহ হয়ে যায়। কেননা মাঠে পানি জমে থাকার কারণে যে কোন আমরা পা পিছলে পড়ে যেতে পারি।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলা খেলতে যেমন মজা লাগে আবার অনেক ভয়ও লাগে।
পোস্ট টি পড়তে পড়তে দারুন উত্তেজনা অনুভব করছিলাম।অনেক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মাঠে।প্রথমেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর আপনার দারুন ভাবে কাম ব্যাক করেছেন এবং জিতেছেন।ম্যাচের প্রতিমুহুর্তেই ছিল টান টান উত্তেজনা। অনেক ভাল লাগল পড়ে। কাদার মাঝে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। তবে ভাইয়া অনেকগুলো বানানে সমস্যা আছে। হাপ না হাফ,কর্নাল না কর্নার,নিজের কাজে য় না ই হবে (যাই)।আশা করি ঠিক করে নিবেন। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
বৃষ্টির সময় ফুটবল খেলার মজাই আলাদা।আমার ফুটবল খেলা দেখতে খুবই ভালো লাগে।আর আপনি ফুটবল খেলে জিতে গেছেন শেষে জেনে ভালো লাগলো।ফুটবল খেলার মাঠের পাশে গাছগুলো অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু ফুটবল খেলায় জিতে যাওয়ার পরে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।