কোরবানির গরু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যানার তৈরি।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-০৬-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কোরবানির গরু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যানার তৈরি। আসলে প্রত্যেক দিনের মতো আজকেও ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলা উঠে কোরবানির গরু ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে ব্যানার তৈরি করতে গিয়েছিলাম। ব্যানার তৈরি শেষে আবারো রুমে ফিরে আসি তারপরে ভাবলাম আজকে ব্যানার দিতে বাড়িতে যেতে হবে। তাই আজকে সকাল সকাল পোস্ট সেরে ফেলি। সকাল বেলায় পোস্ট সেরে ভাবছি বাড়িতে যাব। আসলে লেখাপড়ার জন্য বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে এখন। আমাকে আমার আব্বু কয়েকদিন ধরেই বলছিল ব্যানার তৈরি করার কথা আমি তাই আজকে ব্যানার তৈরি করে ফেললাম। ব্যানার তৈরি করতে গিয়ে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় ব্যয় করতে হয়েছিল। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক........
প্রথমে সেখানে যাওয়ার পরে দোকানদারের সাথে আমার কথা হয়। দোকানদারকে আমি আনুমানিকভাবে বুঝেছিলাম এরকম কোয়ালিটি একটা ব্যানার তৈরি করতে হবে দোকানদার আমাকে বলেছিল সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা লাগতে পারে। তারপরে দোকানদার অনেক সুন্দরভাবে কম্পিউটার দিয়ে টাইপিং করা শুরু করল আমিও সেখানে বসে ছিলাম। আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে কম্পিউটারের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন। দোকানটা আমাদের শহরের মধ্যে থাকার কারণে বেশি দূর যাওয়া লাগেনি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে হয়ে গিয়েছিল।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন ব্যানার তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বড় মেশিন দ্বারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ব্যানার টাইপিং চলছে। আসলে এর আগে আমি কখনো দেখেছিলাম না যে এরকম ভাবে ব্যানার তৈরি করতে হয়। আমি এর আগে জানতাম না যে আমাদের শহরে এই ব্যানার তৈরির মেশিন আছে। পরে আমি আমাদের এক বন্ধুর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ব্যানার তৈরি করা হবে। তারপর সেখানে গিয়েছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি মেশিনের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। যখন মেশিনের দ্বারা ব্যানার টাইপিং হয়েছিল ওই লোকটি শুধুমাত্র এই মেশিন টিপতে ছিল। আমি তো সেখানে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে দেখতেছিলাম। পরে যে লোকটি তৈরি করলে এই লোকটির সাথে অনেক কথা বলেছিলাম আমি।
এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ব্যানার তৈরি আগের থেকে একটু বেশি হয়েছে। আসলে এই ব্যানার তৈরি করতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন হয়। প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট সময় লেগেছিল এই ব্যানাটি তৈরি করতে। পুরো সময় আমি সেখানে দাঁড়িয়েই দেখেছিলাম । আসলে সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ব্যানার তৈরি পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ব্যানার তৈরি যখন শেষ হলো ওই লোকটি একটি কাটার দিয়ে ব্যানারের শেষ অংশ কিছু কেটে ফেলে দিল। তারপরে ওই লোকটা আমাকে বলছে এখানে গেঞ্জি ও টাইপিং করা হয় যদি কোন প্রয়োজন হয় তাহলে আসবেন কোন সমস্যা নেই। আমি তখন বলেছিলাম গেঞ্জি টাইপিং করতে হলে চলে আসব আপনার দোকানে।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবার শেষে আমি আমার নিজের একটি সেলফি তুলে শেয়ার করেছি দোকানের মধ্যে দাঁড়িয়ে। আসলে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল আমি যখন সেখানে ছিলাম। সবকিছু পরিশোধ করে আমি যখন চলে আসবো তখন এসি থেকে বের হয়েই অনেক গরম অনুভব করতে পারি। আসলে আমাদের এলাকাতে এখনো অনেক রোদের প্রবণতা বেশি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন । সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1671806142023081985?t=6JY20VimmJxA7W0i5n2Gbg&s=19
তাহলে তো অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন।কোরবানির গরু ঢাকা নিয়ে আসার জন্য খুব সুন্দর একটি ব্যানার তৈরি করেছেন। ব্যানার এভাবে তৈরি করা হয় এর আগে কখনো দেখি নি। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভালই লেগেছে। ভালোই হলো দোকানটা আপনাদের শহরের মধ্যে থাকাতে আপনাকে অনেক দূর যেতে হয়নি। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু পোস্টে এত সুন্দর মূল্যবান মতামত করার জন্য।
ঈদের সময় খামারিরা বিভিন্ন মাধ্যমে গরু বিক্রি করে। তবে এভাবে ব্যানার ছাপানোর আইডিয়া আগে ছিল না। ব্যানার তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দেখে ভালো লাগলো। যদিও এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিচিত জানা ছিল না তবে আজকে নতুন ভাবে দেখে ভালো লেগেছে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আপনি এই বিষয়টি আজকে আমার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন জেনে বেশি ভালো লাগলো। আসলে প্রত্যেক বছর এইরকম ব্যানার তৈরি করা হয়।
ব্যানার দেখলেও কিন্তু ব্যানার তৈরি করার বিষয়টি আগে কখনও দেখা হয়নি। তবে আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে তা দেখতে পেলাম। আসলে যুগ যত পালটাচ্ছে সময় তত আপডেট হচ্ছে আর সেটা কিন্তু আপনার পোস্টের মাধ্যমেই দেখতে পেলাম। আগে কখনও এভাবে ব্যানারের কথা শুনিনি। তবে সব মিলিয়ে বেশ ব্যাস্ততম সময় কাটিয়েছেন।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি সময় যত পাল্টাচ্ছে চুপ ততো আপডেট হচ্ছে। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করেন সাথে থাকার জন্য।
কোরবানি গরু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যানার তৈরি করার প্রতিটা মুহূর্ত খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আর এই মুহূর্তগুলো পড়ে এবং মুহূর্তগুলো ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। পড়ালেখা বিভিন্ন কাজ সবকিছু একসাথে সামাল দিতে খুব কষ্টই হয়। তারপরও সফলতার মুখ দেখতে হলে সবদিক সামলে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এসি থেকে বাইরে বেরোলেই অনেক বেশি গরম লাগে এটা খুবই বিরক্তিক। আপনাদের ওই দিকে এখনো গরমে প্রবণতা কমেনি দেখে খুবই খারাপ লাগলো আমাদের এদিকে মোটামুটি বৃষ্টি হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কোরবানি গরু ঢাকায় নেওয়ার জন্য ব্যানার তৈরি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি সব দিক সামলাতে অল্প একটু হলেও কষ্ট হয়। আপনার কথা আমি একদম একমত সফলতার মুখ দেখতে হলে অল্প একটু কষ্ট করতে হবে।