জীবনে দ্বিতীয় বার রক্তদান করলাম
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৪-০৬-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জীবনে দ্বিতীয় বার রক্তদান করলাম । আসলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি লেখাপড়ার জন্য। কয়েকদিন হল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তারপরেও লেখাপড়ার জন্য বেশ ব্যস্ত আছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ছিলাম বেলা সাতটার দিকে। আজকে সারারাত কারেন্ট ছিল না ঘুম হয়নি বললেই চলে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে অল্প একটু পড়তে বসেছিলাম। মোবাইল ফোন সকাল থেকেই বন্ধ হয়েছিল। ভাবছিলাম কি করা যায়। তারপরে আমাদের পাশের বাড়িরতে আইপিএস আছে সেখানে মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে আসলাম। তারপরে গোসল করে নামাজ শেষ করে খাওয়া-দাওয়া করে মোবাইল ফোন নিয়ে এসে আপনাদের সাথে যুক্ত হলাম। তবে চলুন শেয়ার করা যাক আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে.....
প্রথমে আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি একটি চেয়ারে বসে রয়েছি আমার হাত ধরে। প্রথমেই বলি হাসপাতালে এসেছি রক্তদান করার জন্য। কলেজের একটি বড় ভাই আছে তার আত্মীয় খুবই অসুস্থ রক্ত প্রয়োজন তাই আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমিও রক্ত দেওয়ার জন্য সেখানে চলে যাই। হাসপাতালে যাওয়ার পরে ডাক্তার আমার হাত থেকে রক্ত নিয়েছিল পরীক্ষা করার জন্য। তারপরে ডাক্তার এসে বলল সবকিছু ঠিক আছে রক্ত নেওয়া যাবে। রক্ত দিয়েছি বৃহস্পতিবারের দিন।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি বেডে শুয়ে আছি সেই সময় একজন নার্স এসে আমার শরীর থেকে রক্ত নিচ্ছে। রক্ত নেওয়ার সময় আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল এর আগে কি তুমি কখনো রক্ত দিয়েছো। আমি তখন বলেছিলাম এর আগে আমি একবার রক্ত দিয়েছি। ডাক্তার বলছে তাহলে কোন সমস্যা নেই। তারপরে জিজ্ঞেস করেছিল কতদিন হল তোমার রক্ত দেওয়া। আমি বললাম প্রায় চার মাস। নার্স আমাকে বলেছিল রক্ত দেওয়া ভালো যদি তেমন মনে হয় প্রত্যেক চার মাস পর পর রক্ত দিতে পারো কোন সমস্যা নেই।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি যখন শুয়েছিলাম আমার এক বন্ধু অনেক সুন্দরভাবে ছবি তুলে দিয়েছিল আমার। আসলে এক ব্যাগ রক্ত আমার শরীর থেকে আসতে প্রায় ৩ মিনিট সময় লেগেছিল। নার্স বলছে এত দ্রুত আমি কারো শরীর থেকে রক্ত বের হতে দেখিনি তোমার শরীর থেকে খুব তাড়াতাড়ি রক্ত চলে আসলো। নার্স তার কিছুক্ষণ আগে আমার হাতে একটি বল দিয়েছিল চাপার জন্য।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নার্স রক্তের ব্যাগের গায়ে অনেক সুন্দর ভাবে আমার নাম এবং যার গায়ে রক্ত যাবে তার নাম লিখছে। এবং আমার বয়স ও রক্তের গ্রুপ তখন ডাক্তার ব্যাগের গায়ে লিখে দিয়েছে। ডাক্তার আমাকে তখন আরো বলেছিল তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে। আমি তখন বলেছিলাম না আমার কোন সমস্যা নেই।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রক্তের বেগ লোড হয়ে গিয়েছে। তখন নার্স আবারো অনেক সুন্দরভাবে আমার হাত থেকে রক্তের লাইন খুলে নিলো। তখন রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না হাত দিয়ে অনেক জোরে রক্ত বের হচ্ছিল। তারপরে ডাক্তার সেখানে অনেক সুন্দর ভাবে একটি টেপ মেরে দিয়েছিল। নার্স আমাকে বলেছিল তোমার রক্তে বেশ তেজ। আসলে মানুষের উপকার করতে পারলে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে।
আপনার এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন শুধুমাত্র রক্তের বেগের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মানুষের উপকার করতে পারলে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি চাই প্রতি চার মাস পর পর আমি যেন মানুষকে উপকার করতে পারি। আমার রক্তের গ্রুপ হচ্ছে এ পজেটিভ। আপনাদের যদি কারো কখনো প্রয়োজন হয় আমাকে জানাবেন অবশ্যই দেওয়ার চেষ্টা করব। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আরো ভালো কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমাদের দেহের রক্তকণিকা গুলো ১২০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে আবার পুনরায় তৈরি হয়। এর থেকে আমরা রক্ত দান করলে কারো জীবন বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমাদের সমাজে কেউ রক্ত দিতে চাইলে তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মা বাধা সৃষ্টি করে। নিচের সন্তান দুর্বল হয়ে পড়বে ইত্যাদি চিন্তা করে। কিন্তু রক্তদান মহৎ একটি গুণ। আপনি আসলেই প্রশংসার যোগ্য ভাইয়া। এ পড়ালেখা বিস্তার মাঝেও আপনি কলেজের বড় ভাইয়ের আত্মীয়ের সাহায্যে কি আসার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে আমাদের দেহের রক্ত ১২০ দিন পরে একাই নষ্ট হয়ে গিয়ে আবার পুনরায় নতুন রক্ত তৈরি হয় তাই রক্ত অন্যকে দান করে দেওয়াই ভালো আমার কাছে মনে হয়।
রক্তদান করা অনেক বেশি ভালো। আর আমিও অনেকবার রক্ত দিয়েছি অনেক মানুষকে। আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে রক্ত দান করতে। আপনি এর আগে একবার রক্ত দিয়েছিলেন, এখন আরেকবার রক্ত দিলেন। আপনি এর আগে চার মাস আগে রক্ত দিয়েছিলেন, এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার শরীর থেকে একবার রক্ত আসতে দেখছি তিন মিনিট সময় লেগেছিল। আপনার রক্তের অনেক তেজ রয়েছে এটা কিন্তু বলতে হয়।
আপনি যে কথাটি লাস্টে লিখেছেন আমার রক্তে অনেক তেজ এই কথাটি যে নার্স আমার শরীর থেকে রক্ত নিয়েছিল সেই নার্সও অনেকবার বলেছিল ভাই। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/GKibreay/status/1672542451742158848?t=yZ6DwD7IveZJSal8lcT1_w&s=19
আসলে রক্ত দেওয়া অনেক পুণ্যের কাজ। আর এই কাজটা যদি করা হয় তাহলে সবার জন্যই ভালো। আপনি এইবার সহ দুইবার রক্ত দিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনি আজ থেকে চার মাস পরে আবারো রক্ত দিতে পারবেন। আপনি রক্ত দেওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আপনার রক্ত দেওয়ার এই মুহূর্তটা।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
রক্তদান করা একটি সামাজিক কাজ এবং একটি মানুষের জীবন বাঁচানোর মাধ্যম। কিন্তু অনেকে ইচ্ছা করেই রক্ত দিতে চায় না রক্ত শেষ হয়ে যাবে ভেবে। অথচ রক্ত দান করলে সেই রক্ত আবার নতুন করে জন্মায় এমন মহৎ উদ্যোগ নেয়া প্রত্যেকের উচিত।
আসলে প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের রক্ত প্রায় চার মাস পর পর এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায় আবার নতুন রক্ত তৈরি হয় তাই রক্ত দিলে আমার জানা মতে কোন ক্ষতি হয় না বরং অন্যের উপকার হবে।
ভাগ্নে মানুষ মানুষের জন্য। এবার এই দিয়ে তুমি দ্বিতীয়বার রক্তদান করলে। এ রক্তদান করাটা যে কত ফজিলত এর কাজ। তুমি রক্ত দান করেছ এটা দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। সব সময় চেষ্টা করবো মানুষের সেবা করার জন্য। তোমার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
রক্ত দেয়া খুবই ভালো একটা কাজ। আপনি এটা জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো করলেন এটা দেখে খুবই খুশি হলাম। আসলেই তো দেখছি আপনার রক্ত খুব তাড়াতাড়ি এক ব্যাগ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এমনটা দেখতে পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা সবচেয়ে ভালো কাজ কারণ নিজের শরীর থেকে রক্ত দিয়ে অন্যজনকে বাঁচানোর জন্য সহায়তা প্রদান করার মতো মহৎ কাজ নেই বলে চলে। তাই আমিও এই মহৎ কাজকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। খুবই খুশি হলাম মামা তোমার এত সুন্দর কাজ দেখে।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।