(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // ব্যর্থ প্রেমিকের গল্প দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ব্যর্থ প্রেমিকের গল্প দ্বিতীয় পর্ব। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার আম্মু ধান সিদ্ধ করেছে। তারপরে আমি সেই ধানগুলো বস্তায় লোড করে ছাদে তুলেছিলাম। তারপরে সকালবেলায় হালকা নাস্তা করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে আজকে রাস্তায় গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না সকালবেলার দিকে প্রচন্ড শীত পড়ছিল তাই। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে অবশেষে একটি ভ্যান পেলাম প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে তখন রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেটে গিয়ে দেখি আজকে প্রায় ১০ মিনিট লেট হয়ে গিয়েছে। প্রাইভেট পড়া শেষ করে আবারো আরেকটি প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখান থেকে। সব প্রাইভেট শেষ করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম বন্ধু বান্ধবীরা মিলে। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে হোটেলে আমরা খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
তবে চলুন আপনাদের মাঝে মূল গল্প শুরু করা যাক। আসলে স্যার আমাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দিত এইসব ঘটনা বন্ধুরা আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল কিন্তু আমি তখন কিছু বলেছিলাম না। তবে বন্ধুরা আমাকে বলেছিল ওদের সাথে আমার কোন কাজেই নিবে না। পরবর্তীতে একদিন আমাদের স্কুল এবং পাশে একটি স্কুলের খেলা হয়েছিল ক্রিকেট খেলা। সেই খেলাতে আমাকে বাদ দিয়েই আমাদের স্কুল খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। আসলে সেই দিন আমার মনটা বেশ খারাপ হয়েছিল। পরবর্তীতে আমাদের স্কুল সেই খেলা হেরে গিয়েছিল। তখন দেখে স্যারা সবাই আমাকে খোঁজ করছে তুমি খেলা খেলছে না কেন। আমি তখন স্যারদের কে বলেছিলাম আমার বন্ধুরা আমাকে খেলায় নিবে না এজন্য আমি খেলায় অংশগ্রহণ করি নাই। পরে আমার বন্ধুদের সকলকে স্যারা ডাকে একটি রুমের মধ্যে তখন বন্ধুরা এসব ঘটনা সব বলে দেয়। তখন ইসরাইল স্যার বলছে কিবরিয়াকে আমি একটু বেশি ভালোবাসি বলে ওকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য একটু টাকা পয়সা দি এতে তোমাদের কি সমস্যা। তখন আমার বন্ধুরা আর কেউ কোন কথা বলছিল না। এভাবেই প্রায় বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়।
কয়েকদিন পরে আমার বেলী ফুফুর মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে যায়। তারপরে ইসরাইল স্যার এবং ফুফুর সাথে কয়েকদিন কথা বন্ধ থাকে। তার কয়েকদিন পরেই ইসরাইল স্যার একটি মোবাইল ফোন কিনে আমাকে দিয়ে পাঠিয়েছিল। আমাকে বলেছিল বিকেল বেলায় তোমার ফুবুকে মোবাইল ফোনটা তুমি দিয়ে আসবা। কিন্তু বিকেল বেলায় বাড়িতে এসে আমি গোসল শেষ করে খেলা খেলতে বের হয়ে গিয়েছিলাম আমার আর মনে ছিল না মোবাইল ফোন দিয়ে আসার কথা। রাতে যখন আমি পড়তে বসেছিলাম তখনও মোবাইল ফোনটি আমার ব্যাগের মধ্যে ছিল আমি খেয়াল করেছিলাম না। ইসরাইল স্যার মোবাইল ফোনে একটি সিম সহ দিয়েছিল। রাতে ইসরাইল স্যার যখন ফোনে দিয়েছিল তখন মোবাইল ফোন আমার ব্যাগের মধ্যে বেজে উঠেছিল তখন আমি আমার মায়ের কাছে ধরা খেয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল এই মোবাইল ফোন কার। তখন আমি আমার মায়ের কাছে সব সত্য ঘটনা খুলে বলেছিলাম।
মা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল এই মোবাইল ফোন কার। আমি তখন বলেছিলাম ইসরাইল স্যার এবং বেলী ফুবু দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বেলী ফুবুর মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ইসরাইল স্যার আমার কাছে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে। সেই সন্ধ্যাবেলায় আমার মা বেলী ফুবুকে আমাদের বাড়িতে ডেকে আনছিল এসব কথা বলার জন্য। তারপরে বেলি ফুবুকে জিজ্ঞেস করে তুই নাকি পাশের গ্রামের ইসরাইল স্যারের সাথে প্রেম করছি। তখন বেলী ফুবু আর কোন কথাই বলেছিল না। পরে বেলি ফুবু আমার মায়ের কাছ বলে ভাবি এসব কথা যেন কেউ না জানে অনেক আকুতি মিনতি করার পরে বেলী ফুবু আমার মায়ের কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে বাড়িতে চলে যায় আমার মা ও কাউকে বলেছিল না।
পরের দিন আমি যখন স্কুলে গিয়েছিলাম ইসরাইল স্যার আমাকে ডেকেছিল এইসব ঘটনা আমার কাছ থেকে জানতে পেরেছিল। তখন আমি স্যারকে বলেছিলাম বিকেল বেলায় আমি খেলা খেলতে চলে গিয়েছিলাম আমার মনে ছিল না ফোন দেওয়ার কথা। তারপরে স্যার আমাকে বলে বেশ ভালোই শেষ পর্যন্ত তোর মা জেনে গেল। আসলে এই পোস্টে যখন লিখছিলাম এবং কাহিনী গুলো যখন মনে পড়ছিল সত্যি আমার কাছেও বেশ ভালো লাগছিল স্যারের প্রেমে আমি সাহায্য করতে পেরেছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
গল্প হলেও সত্যি ঘটনা জেনে ভালো লাগলো। তারজন্য হয়তো পড়ে ভালো লেগেছে। আপনি অবশেষে ঘটক হয়ে গেলেন। তাও আপনার ফুফু ও স্যারের ঘটক যাক শুনে ভালো লাগলো। প্রেমের ক্ষেত্রে ধরা পড়ে গেলে কিন্তু অনেক মজা হয়। আপনার স্যার আর ফুফুর সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি প্রেমের ক্ষেত্রে ধরা পড়ে গেলে আসলে অনেক মজা লাগে।