বন্ধুর প্রেম কাহিনী গল্প
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২১-০৬-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বন্ধুর প্রেম কাহিনীর গল্প। এই পোস্টটি কালকে ভুলবশত আমাদের কমিউনিটির বাইরে হয়ে গিয়েছিল । আজকে সকাল বেলায় জানতে পারার পরে আবারো ঠিক করে দিলাম।আসলে আজকে সকাল বেলা থেকেই প্রত্যেকদিনের মত বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর দেখি মুস্তাফিজুর মামা মোবাইল ফোনে ফোন দিয়েছে। তারপরে মোস্তাফিজুর মামার সাথে কথা বলার পরে মামা বলছে আজকে মেহেরপুর যেতে হবে। আমি তখন মামাকে জিজ্ঞেস করলাম কি কাজে? মামা বলছে মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে যাবে। তারপরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে মামার সাথে রওনা দিয়ে ছিলাম মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে আমরা দুজন বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছিলাম। তারপরে বি আর টি অফিসে মামার কাজ শেষ করে আমরা দুজন আবারো বাসে উঠে রওনা দিয়েছিলাম। বাসের মধ্যে আপনাদের সাথে অল্প একটু যুক্ত হয়েছিলাম। এসে বাজারে নামার পরে আবারো আমি আর মোস্তাফিজুর মামা প্যান্ট এবং গেঞ্জি কেনার জন্য মার্কেটে গিয়েছিলাম। তারপরে সেখান থেকে ব্লাড দেওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমাকে একজন ফোন দিয়েছিল সেখানে যাওয়ার পরে বলল ব্লাড আজকে আর লাগবেনা। যদি লাগে তাহলে আমাকে জানাবে। আপনারা সবাই জানেন আমি প্রায় প্রত্যেক তিন মাস পরে ব্লাড দিয়ে থাকি। যদি আপনাদের কারো প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই জানাবেন। ব্লাডের গ্রুপ হচ্ছে এ পজেটিভ। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক.......
বন্ধু নাম হচ্ছে মোঃ রাজীব আহমেদ আপনারা সবাই তাকে চেনেন আমি তার ছবি সহ আমাদের বন্ধুদের সকলের ছবি এর আগে শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। ঘটনাটি হচ্ছে আমরা যখন ক্লাস নিউ টেনে পড়ি। তখন আমাদের স্কুলে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান হতো। সেখানে ক্লাস এইটের একটি মেয়ে অনেক সুন্দর একটি গজল শুনিয়েছিল আমাদেরকে। আমার বন্ধুর সেই মেয়েটির গজল শুনে তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। বন্ধু সেই মেয়েটির কাছে তার নিজের মনের কথা খুলে বলার সুজগ পাচ্ছিল না। তারপরে স্কুল ছুটির শেষে আমরা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম বেশ কয়েকজন বন্ধু। পরে আমার সেই বন্ধু সেই মেয়েটিকে রাস্তায় দাড় করিয়ে সেখানেই প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেই মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করে। আসলে ঘটনাটি আমার কাছে বেশ মজার একটি ঘটনা মনে হয়েছিল। এভাবেই তাদের প্রেম প্রায় এক বছর কেটে যায়। তারা সিদ্ধান্ত নেয় দুজন বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবে। কিন্তু মানুষের ভয়ের কারণে তারা যেতে পারছে না। সেই সময় ছিল আমাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রায় এক সপ্তাহ আগে।
তারা যে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবে এই সিদ্ধান্ত আমাকে জানায়। আমাকে বলছে বন্ধু কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায় আমি বলছি তোমাদের যেখানে ভালো লাগে সেখানে যেতে পারো। পরে তারা দুজন সিদ্ধান্ত নেয় তাদের সাথে আমাকেও যেতে হবে আমি প্রথম দিকে বলেছিলাম আমি যেতে পারব না। পরে বন্ধুর অনুরোধ রাখতে তাদের সাথে আমিও বেড়াতে গিয়েছিলাম। সে জায়গাটি হচ্ছে ইকোপার্ক। সেখানে গিয়ে আমরা তিনজন অনেক ঘোরাফেরা করি এবং খাওয়া-দাওয়া করি। বিকেল বেলার দিকে আমরা পার্ক থেকে রওনা দিয়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাড়ি আসতে প্রায় সেই দিন সন্ধ্যায় লেগে যায়। বাড়ি থেকে তাদের দুজনের সবকিছু জানাজানি হয়ে যায়। তখন তারা দুইজন ভয় পেয়ে রাতে আমাকে ফোন দিয়েছিল বলছে বন্ধু এখন কি উপায়। তখন আমি বলেছিলাম বাড়িতে যেহেতু জানাজানি হয়ে গিয়েছে একবারে বিয়ে করে ফেলো। তারপরে তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু তাদের বাড়ি থেকে মেনে নেয় না।
মেয়েটির বাবা-মা এখন মেয়েটির জন্য ছেলে দেখা শুরু করেছে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেবে এই জন্য। কিন্তু তাদের ভালোবাসা ছিল খুবই কঠোর। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় একে অপরের কাছে চলে এসে দুজন পালিয়ে যাবে। আমার বন্ধু এবং সেই মেয়েটি আমাকে ফোন দিয়ে একদিন বলে সকালে বেলার দিকে ওই মেয়েটিকে মোটরসাইকেলে নিয়ে এসে গাংনী বাজারে পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু আমি তখন সেই কাজটি করতে রাজি হয়ে ছিলাম না। তার কয়েকদিন পরে জানতে পারি সেই মেয়েটি একাই সেই বন্ধুর বাড়িতে চলে এসেছিল। তারপরে মেয়ের বাবারা এসে ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রথমে মেয়ের বাবারা বলে মেয়েদের তেজ্য পুত্র করে দিলাম। কিন্তু পরে আবার সেই মেয়ে জামাই ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায় সবকিছু মিটে যায়। ছেলে এখন সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আসলে আমি মনে করি প্রেম কাহিনীর গল্প এমনই হওয়া উচিত যখনই ভালোবাসবো একে অপরকে পেতেই হবে। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1671401599527448577?t=8SfcPcwjM89SPfG_aOoIQg&s=19
আসলে আপনার মত আমিও মনে করি ভালোবাসাটা এরকমই হওয়া উচিত। একে অপরকে যেহেতু ভালোবেসেছি তাই একে অপরকে অবশ্যই পেতে হবে। আর এরকম ভালোবাসা গুলো সত্যি অনেক বেশি সুন্দর হয়। আপনার বন্ধুর পরিবার এবং ওই মেয়েটার পরিবার জেনে যাওয়ার পরে তারা দুজন পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আপনাকে প্রথমে বলেছিল রিসিভ করে দেওয়ার জন্য, কিন্তু আপনি রাজি হলেন না। যার ফলে মেয়েটা একা একাই চলে গিয়েছিল আপনার সেই বন্ধুর বাসায়। তারপরে মেয়েটার পরিবার মেয়েটাকে আপনার বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। এখন সবকিছু ঠিক হয়ে তারা দুইজন একই সাথে বসবাস করছি তাহলে। আর আপনার বন্ধু এখন সিঙ্গাপুর প্রবাসী এটা জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আমার মূল্যবান মতামতের সাথে সহমত পোষণ করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ আপনি আপনার বন্ধু সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বর্তমান সময়ে এই জাতীয় অনেক ঘটনা ঘটছে এবং অনেক ঘটনায় শুনছি আমরা। তবে আপনার বন্ধুর প্রেম কাহিনীটা অনেক সুন্দর। তাদের বিয়ে হয়েছে এবং ছেলেটা আজ বিদেশ প্রবাসী সবকিছু জানার পর অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ মামা আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।