দুই স্টিমেট ইউজারের সন্তান

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি দুই স্টিমেট ইউজারের সন্তান। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকেই সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় আমি যখন বিছানায় শুয়ে ছিলাম তখন দেখি হঠাৎ আমার মোবাইল ফোনে মুস্তাফিজুর মামা ফোন দিয়েছে। তারপর মোস্তাফিজুর মামা বলল তোমার মামীর আজকে ডেলিভারি হবে তুমি তাড়াতাড়ি গাংনীতে চলে আসো। আসলে ব্লাড দেওয়ার কথা ছিল আমার কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্লাড আর লাগেনি। তারপরে আমি ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে গাংনীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পরে আমি মুস্তাফিজুর মামাকে ফোন দিলাম কোথায় আছেন মামা বলল তিনতলায় পরে আমি তিনতলায় উঠে চলে গেলাম। গিয়ে মামা দেখি একা একা গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে সত্যিই এই সময় বেশ প্রত্যেকটা মানুষের টেনশন হয়। সেখানে পৌঁছানোর পরে মামার সাথে কথা বলতে শুরু করলাম.....

আমি বাস থেকে নামার পরে হাসপাতালে যখন প্রবেশ করেছিলাম তখনই ঠিক হাসপাতালে বাইরে থেকে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব বলে। আসলে এটি হচ্ছে আমাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট। আসলে আমাদের বাড়ির কাছে সরকারি হাসপাতাল থাকার কারণেই তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় না মানুষের। তাই আমার মামীকে প্রথমেই আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে সেখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। তখন আমরা সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান। পুত্র সন্তানের জন্মদাতা পিতা এবং মাতা আমাদের সম্মানিত স্টিমেট ইউজার মোস্তাফিজুর রহমান এবং লিমা খাতুন। আমি দুজনের স্টিমেট আইডির নামও আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি @mostafezur001 @fatema001 । আজ ১৭ই ডিসেম্বর সকাল ১০:৪৩ মিনিটে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছে আপনারা সবাই দোয়া করবেন। আসলে পুত্র সন্তান হবার পর থেকে মোস্তাফিজুর মামার মুখে এক তারুণ্যের হাসি ছিল। সত্যি বাবা হওয়ার আনন্দটা যে কত মধুর মোস্তাফিজুর মামাই হয়তো সেই সময় উপলব্ধি করতে পেরেছিল।

বাচ্চা যখন বাইরে নিয়ে আসলো তখন মুস্তাফিজুর আমার আব্বা নাতি ছেলের কানে আযান দিয়েছিল। তারপরে আমার ছোট নানা আমাকে বলছে বংশের প্রদীপ। আমাকে তখন বলেছিল আসলে এই সময়টা যে কত আনন্দের কাউকে বলে বোঝানো যাবে না ভাই। তারপরে আমি এবং মুস্তাফিজুর মামা দুজনে বাইরে এসে অল্প কিছু খীর খেজুর কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম ছেলের মুখে দেওয়ার জন্য। তারপরে আমরা সবাই মিলে বাইরে বেশ আনন্দঘন মুহূর্তই পার করতে ছিলাম। অনেক জায়গা থেকে অনেক ফোন সত্যি বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম আজকে সারাদিন।

কিছুক্ষণ পরে আমি এবং মুস্তাফিজুর মামা দুজনেই বাইরে এসেছিলাম ছেলের কিছু জামা প্যান্ট কেনার জন্য। ছেলের শীতের কিছু পোশাক কেনার জন্য। তারপর আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি দুপুর তিনটার দিকে আমাদের ছুটি দিয়ে দিবে। তারপরে হাসপাতাল থেকে বাইরে নেবে একটা অটো দেখলাম ছেলেকে বাড়ি আনার জন্য। তারপরে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার পরে নিচে এসে মুস্তাফিজের মামাদের গাড়িতে তুলে দিয়ে আমিও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে কিছু সময় পরে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখা শুরু করে দিয়েছে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।