জেনারেল রাইটিং // গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গতকালকের একটি বাস্তব ঘটনা। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। রাত তিনটার দিকে পুকুরে মাছ ধরা শেষ করে বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম। তারপরে হাত-মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফুফুদের বাড়িতে গিয়েছিলাম মাছ দেওয়ার জন্য সেখান থেকে আবারও প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে আজকে বাড়িতে চলে এসেছি কলেজে যাওয়া হয়নি কারণ কিছুদিন আগে দাদা মারা গিয়েছে আজকে দাদার মিলাদ। আসলে এত ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত পোস্ট করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। আসলে গতকাল আমার মামী খুবই অসুস্থ ছিল। মামীকে নিয়ে ডাক্তার বাড়িতে যেতে হবে রাস্তায় বের হওয়ার পরে সহজে কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরে জানতে পারি আজকে হরতাল অবরোধ করা হয়েছে। অবশেষে একটা ভ্যান পেলাম কোন মতে বাজারে গেলাম। বাজারে গিয়ে দেখি আজকে হরতাল তাই বাস চলছে না। অবশেষে সিএনজিতে উঠলাম আমরা দুইজন। পাঁচজন লোক না হলে সিএনজি বাজার থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে না। তাই সিএনজির মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা বসে থাকলাম। তাও সেখানে সিএনজির মধ্যে পাঁচ জন লোক হলো না অবশেষে সেখান থেকে আমাদের কেটে কেটে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হলো। অবশেষ খলিশা কুন্ডি বাজারে গিয়ে আবারো আমরা সিএনজিতে উঠলাম কিন্তু সেখান থেকেও পাঁচজন মানুষ হয়েছিল না। অবশেষে আমি সেই সিএনজি দুইজন মিলেই রিজার্ভ করে ফেললাম। আমাদের দুজনের ভাড়া যেখানে ২০০ টাকা। সে ভাড়া আমরা সিএনজিতে ৬০০ টাকা দিয়ে কুষ্টিয়াতে গিয়েছি। আসলে এই হরতাল অবরোধ থাকার কারণে জন মানুষের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রাস্তায় যাওয়ার সময় দেখি অনেক জায়গায় অনেক পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। অবশেষে মিরপুর পার হওয়ার পরে দেখি সেখানে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে। অবশেষে সেখানে আমরা সিএনজি থেকে এক সাইডে দাঁড়িয়ে পড়ি। এভাবে প্রায় আধাঘন্টা সংঘর্ষ হতে থাকে চোখের সামনে। আসলে এগুলো দেখে তখন আমার কাছে সত্যি বেশ ভয় লেগেছিল। চোখের সামনে পুলিশ এবং জনগণের কখনো এমন সংঘর্ষ দেখেনি। অবশেষে মামীকে নিয়ে ডাক্তার বাড়িতে পৌঁছায় এবং ডাক্তার দেখিয়ে রিপোর্ট করে আবারো মামীকে কুষ্টিয়াতে রেখে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সন্ধ্যার দিকে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।