নাটক রিভিউ // পিরিতের বন্ধু
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৫-০৯-২০২৩)
নাটকের নাম | পিরিতের বন্ধু |
---|---|
পরিচালক | সেরনিয়াবাত শাওন |
অভিনয় | আফরান নিশো , তানজিন তিশা |
দৈর্ঘ্য | ৪৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২২ জুলাই ২০২৩ ইং |
নাটকের শুরুতেই নায়ক একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকতো। সে বাড়িতে নায়ক ছাড়া আর কেউ থাকত না। বাড়িটা নায়কের নিজস্ব বাড়ি ছিল না। নায়ককে তার মামা বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে রেখেছিল এবং একটি ফ্লাট দিয়েছিল তার থাকার জন্য। নায়কের মামা মূলত দেশের বাইরে থাকে। তাই নায়ক মনে করছিল বাড়িটা একটা রুম ভাড়া দিয়ে কিছু টাকা হয় ভালো-মন্দ খাওয়া যায় এবং ভালোভাবে চলা যায় এই ভাবনা ভেবেছিল। তাই বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাস্তার পাশে সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে ছিল। হঠাৎ করে রাতে নায়কা ফোন দিয়েছিল বাড়ি ভাড়ার জন্য। পরে নায়ক সে রাতে নায়কাকে বাড়ি দেখায়। নায়কা সেই রাতে বাড়ি দেখতে এসে সেখানেই থেকে যায়। আসলে নাটকের প্রথম থেকে কাহিনী গুলো বেশ ভালোই লাগছিল।
নায়কা নায়কের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে প্রথমে বাড়ি ভাড়া চেয়েছিল। বলেছিল যে আমি এবং আমার ভাইয়া থাকবো কিন্তু পরবর্তীতে তিনি একাই থেকে ছিল সেই বাড়িতে। তারপরে আস্তে আস্তে নায়কের সাথে মিল হয়ে যায় দুইজন রান্না করে খাওয়া দাওয়া শুরু করে। কিন্তু নায়কের নিষেধ ছিল বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। হঠাৎ একদিন বাড়ির বাইরে বের হয়ে ছিল তাই নায়ক সেখানে অনেক বকাবকি করছিল। তার কিছুদিন পরে নায়কের মামা ফোন দিয়েছিল বাইরে থেকে। মধ্যরাতে বলেছিল আমার ব্যবসার পরিস্থিতি খুবই খারাপ যাচ্ছে তাই আমি মনে করছি বাড়িটা ভাড়া দেব তোমাকে কিছুদিন বাড়িটা খালি করে দিতে হবে। তখনই নায়কের মাথায় অনেক টেনশন চলে আসে। সব মিলিয়ে নাটকটি দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে।
এইসব টেনশনের কথা মাথায় আসার পরে নায়কের শরীরে অনেক জ্বর আসে। সেই রাতে নায়কা খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখে নায়কের অনেক জ্বর। তারপরে নায়কা জলপট্টি দিতে থাকে এবং নায়কের সাথে গল্প করতে থাকে। তারপরের দিন নায়কের যখন জ্বর সেরে যায় তারা দুজন মুখোমুখি দেখা হয়ে বেশ রোমান্টিক একটি ভাব সৃষ্টি হয় দুজনের মধ্যে সেই সময়ের দৃশ্য সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল। তারপরে নায়কা তার কিছু পার্সোনাল জিনিস কেনার জন্য বাইরে বের হয়েছিল। সেই সময় হঠাৎ করে তার মামার সাথে দেখা হয়ে যায়। অবশেষে তার মামা পিছু নিয়েছিল নায়কার। নায়কা অনেক পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত মামার কাছে ধরা খেয়ে যায়।
নায়কা প্রথমে তার মামার গায়ে সেই টাকাগুলো ছুড়ে মেরেছিল। নায়কের মামা বলেছিল শুধুমাত্র টাকা দিলে হবে না তোমাকেও আমার সাথে যেতে হবে। এই বলে জোর করে নিয়ে যাওয়া শুরু করে নায়কা যেতে চায় না তখন কোমর থেকে পিস্তল বের করে নায়কার মাথায় ধরে। এই সবকিছু নায়ক তখন তার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করছিল প্রমাণ রাখার জন্য। তারপর নায়ক একটি ছুরি হাতে নিয়ে এগিয়ে যাই সামনের দিকে। নায়কা এবং নায়কার মামা দুজন ধস্তাধস্তি করার পরে নায়কা যখন ধাক্কা দিয়েছিল তার মামা এসে নায়কের ছুরির উপরে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। তারপরে নায়ক এবং নায়কা দুজনেই অনেক ভয় পেয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
তারপরে সেই মৃত ব্যক্তির লাশটি তারা মাইক্রো গাড়ির মধ্যে তুলে বাইরে একটি রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। তার কিছু সময় পর নায়কা একটি চিঠি লিখে সেই বাসা থেকে চলে যায়। সেখানে কিছু টাকাসহ রেখে গিয়েছিল নায়ক কে বাঁচানোর জন্য সেখান থেকে চলে গিয়েছিল যাতে বিপদে পড়লে শুধুমাত্র নায়কা পড়ে এই জন্য। তারপরে নায়ক এই সব ঘটনা চিঠিতে লেখা আছে বুঝতে পেরে সবকিছু পুলিশকে জানানোর জন্য প্রস্তুত হয় প্রমাণ নায়কের হতে সবকিছু ভিডিও আছে তাই কোন সমস্যা হবে না। এখানে মূলত নাটকটি শেষ হয়ে যায় আসলে নাটকটি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে নাটকের মধ্যে অনেক শিক্ষানীয় কিছু বিষয় আছে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। যে নিজের দুঃখের সময় পাশে থাকে সেই হচ্ছে আমাদের প্রকৃত আসল বন্ধু। এই নাটকে নায়কের বিপদের সময় নায়কা তার পাশে ছিল। আবার নায়কা যখন বিপদে পড়েছিল নায়ক তার পাশে ছিল। সব মিলিয়ে নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ দুর্দান্ত লেগেছিল।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৮
Video link
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি দারুন হয়েছে গল্পটা সুন্দর ছিল।আফরান নিশু আমার অনেক পছন্দের অভিনেতা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
পিরিতের বন্ধু বাহ্ দারুন তো। নাটকটির নামটি ভিন্ন রকম তবে নাটকটির গল্প কিন্তু অসাধারণ। দুজন দুজনের বিপদে পাশে ছিলো জেনে খুশি হলাম। সময় করে নাটকটি দেখে নিবো।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি দুজনের বিপদেই দুজন বেশ সব সময় পাশে থাকতো।
পিরিতের বন্ধু নাটকটি বেশ ভালই মনে হচ্ছে। তাছাড়া নায়ক যেহেতু প্রথমে বাসাটি ভাড়া দিয়ে নিজে ইনকাম করছিল সে জন্যই মামা বিদেশ থেকে আসার কথা শুনে মাথা আকাশ ভেঙে পড়ে। তাছাড়া মামা এসে যে কাজটি করল তার কৃতকর্মের জন্য শেষে মারা গেল। ভাগ্য ভালো নায়ক প্রমাণ রেখেছিল জন্যই হয়তো বেঁচে যাবে।
ভাইয়া আপনার পোষ্টের মধ্যে নায়িকা বানান সব জায়গায় ভুল আছে। পড়তে কেমন যেন অস্বস্তি লাগছিল। আশা করি ঠিক করে দিবেন।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি নাটক দেখতে অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। আর নাটকের রিভিউগুলো দেখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই পিরিতের বন্ধু নাটকের রিভিউ করেছেন। খুবই সুন্দর হয়েছে এই নাটকটি৷ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
আফরান নিশোর নাটকগুলো আগে দেখা হতো মাঝে মাঝে। তবে এখন তার নাটক গুলো খুব একটা দেখা হয় না। এই নাটকটার মধ্যে আফরান নিশো এবং তানজিন তিশাকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। তাদের দুজনের অভিনয় অনেক সুন্দর হয়। আসলে যারা আমাদের বিপদে আপদে সবসময় পাশে থাকে তারা হচ্ছে আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আর এই নাটকটার মাধ্যমে এই বিষয়টা বুঝানো হয়েছে গভীরভাবে ,যা আমার একটু বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি এদের দুজনের অভিনয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।