কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রিজ ভ্রমণে যাওয়ার অনুভূতি

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রিজ ভ্রমণে যাওয়ার অনুভূতি। কয়েকদিন ধরে পরিবারে খুবই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আশা করি শোক কাটিয়ে উঠতে পারব। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেছি ভোর পাঁচটার দিকে। হাতমুখ ধুয়ে প্রথমে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে টেবিলে বসে ছিলাম। তারপরে টেবিল থেকে উঠে অল্প একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। আবারও লেখাপড়ার জন্য টেবিলে বসলাম। লেখাপড়া শেষ করে খাবার জন্য হোস্টেলে চলে গেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এসে গোসলের জন্য রেডি হলাম। গোসল শেষ করে রুমে আসার পরে রেডি হয়ে আবারো বন্ধুকে ডাকলাম। দুই বন্ধু একসাথে পরীক্ষা দিয়েতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যাওয়ার সময় দুজন বেশ গল্প করতে করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরীক্ষার হলের মধ্যে প্রবেশ করলাম। পরীক্ষা শেষ করে আবারো বাসায় ফিরে আপনাদের সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে চলুন আজকে পোস্ট শেয়ার করা যাক.......

আমি যখন প্রথমে কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন হরিপুর ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলাম আমার একটি মামার সাথে। তার কিছুদিন পরে আমার আপু দুলাভাই এবং আমার খালামণি কুষ্টিয়াতে বেড়াতে যাই তাদের সাথেও হরিপুর ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার আপু আমি আমার দুলাভাই ও আমার খালামণির সাথে হরিপুর ব্রিজ দেখতে যাওয়ার অনুভূতি। আমরা হরিপুর ব্রিজ দেখতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম বিকাল চারটার দিকে। সেখানে গিয়ে দেখি তাও অনেক রোদ। আমরা হরিপুর ব্রিজের মাঝখানে মোটরসাইকেল রেখে ব্রিজের উপরে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তারপরে দেখলাম সেখান দিয়ে একটি বাদাম ওয়ালা যাচ্ছে। বাদাম ওয়ালার কাছ থেকে আমরা প্রায় তিন প্যাকেট বাদাম কিনেছিলাম। সেগুলো আমারা সেখানে খেতে ছিলাম এবং গল্প করছিলাম। তারপরে আমি ব্রিজের উপর থেকে নদীর ছবি তুলেছিলাম। আসলে ব্রিজের উপর থেকে নদী বেশ নিচু। আমার কাছে এ জায়গাটি দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমি এবার দিয়ে মোট দুই বার এই জায়গাটি দেখতে এসেছি।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নদীর ভিতরে কিছু ছেলে মেয়েরা গোসল করছিল। আসলে সেখানে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ফুটবল খেলার পরে গোসল করতে নেমেছিল। তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। নদীর ভিতরে পুরোপুরি বালু রয়েছে উপর দিয়ে একটি পাইব রয়েছে আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আসলে এই পাইব দিয়ে বালি তোলা হয় সেখানকার লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম। এই বালি দিয়ে কোন গভীর জায়গা পূরণ করা হয়।

এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বিকেল শেষে আস্তে আস্তে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। অনেকগুলো নৌকা এসে নদীর পাড়ে ভিড়ে গিয়েছে আপনারা দেখতে পারছেন। আসলে এই নৌকায় মানুষ পারাপার করা হয় এবং বিভিন্ন ছেলেমেয়েরা নৌকায় চড়ে নদীর ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসলে নৌকায় চড়তে আমি অনেক ভয় পাই এই জন্য আমি নৌকায় চলেছিলাম না। কিন্তু নৌকাগুলো সব মেশিন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আসলে অনেক দিন পানি না হওয়ার কারণে নদীর পানি শুকিয়ে এসেছে প্রায়। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ব্রিজের দুপাশ দিয়ে লাইটিং সেট করা রয়েছে। আসলে সন্ধ্যার সময় প্রত্যেকদিন লাইট গুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আসলে সন্ধ্যার পর লাইট গুলো যখন জালানো হয় দেখতে বেশ ভালোই লাগে। লাইট জ্বালানোর আগ মুহূর্তে আমরা সেখান থেকে চলে এসেছিলাম। আপনারা আরো ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন ব্রিজের পাশে মোটরসাইকেল রাখা জায়গা রয়েছে এবং মানুষ হাঁটাহাঁটি করার জন্য জায়গা রয়েছে। আসলে প্রায় প্রত্যেকদিন বিকেল বেলায় সেখানে অনেক মানুষ দেখা যায়।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমার দুলাভাই আপু এবং খালামণি যখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপরে আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আমার আপু দুলাভাই এবং খালামণি মোটরসাইকেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সেই সময় মোটরসাইকেলের ছবি সহ আপনাদের মাঝে তুলে শেয়ার করেছি। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।