অনেক দূরে গিয়ে বাদাম চা খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৬-১১-২০২২)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি অনেক দূরে গিয়ে বাদাম চা খাওয়ার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই অনেক ব্যস্ত সময় পার করতেছিলাম। সকালবেলায় দেখি আমার ভাইয়া আমার মোবাইল ফোনে ফোন দিয়েছে। ফোন ধরার পরে ভাইয়া বলল আজকে বিকেলবেলায় এক জায়গায় যেতে হবে আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। দিনের বেলায় মাঠে অনেক কাজ সেরে নিলাম। দুপুর বেলার দিকে বাড়িতে এসে গোসল করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু বিছানায় শুয়ে থাকলাম। তারপরে দেখি ভাইয়া আবারো আমার মোবাইলে ফোনে ফোন দিয়েছে। পরে ভাইয়া আমাকে বলল রেডি হয়ে নিতে আমি সাথে সাথে রেডি হয়ে নিলাম। তারপরে আমি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যেতে হবে আজকে। ভাইয়া আমাকে বলল আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রাম পরেই একটি গ্রাম আছে নাকি বাদাম চা তৈরি করে ওই গ্রামে আজকে বাদাম চা খেতে যাব। তারপরে ভাইয়া দেখি নানি বাড়ির দিকে আমাকে নিয়ে রওনা দেয়। তারপরে নানি বাড়িতে যাওয়ার পরে দেখি আরো চারজন মামা আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরল। পরে আমরা মোট ছয় জন লোক হলাম। পরে আরেকটি মোটরবাইক নিলো মামারা। পরে আমাদের মোটরবাইকে আরেকজন মামা এসেছিল। আমরা মোট তিনজন করে দুইটি মোটরবাইকে মোট ছয়টি লোক গিয়েছিলাম। তবে চলুন নীচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.....
আপনারা দেখতে পারছেন আমরা চলে এসেছি সেই করমদি নামক গ্রামে বাদাম চা খাওয়ার জন্য। আসলে গ্রামে আসার পরে আমরা জানতে পারি এই গ্রামের নাম করমদি। আপনারা দেখতে পারছেন বাদাম চা যেখানে তৈরি হয় আমার দুইজন মামা সেই গেট দিয়ে প্রবেশ করছে তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম।
আমরা আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এসেছিলাম করমদি এই গ্রামে। আসলে আমরা ছয় জনের মধ্যে শুধুমাত্র একজন এর আগে এই বাদাম চা খেয়েছিল। আর বাদ বাকি আমরা পাঁচজন লোক কেউই বাদাম চা খেয়েছিলাম না। তবে বাদাম চা খাওয়ার পরে আমাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে। ভেতরের পরিবেশটা আমার কাছে বিশেষ করে অনেক ভালো লেগেছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুলে ছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন ভিতরে আবার বেশ কয়েকটি ছোট ছোট রুম রয়েছে যেগুলো চারি সাইডে পদ্মা দিয়ে ঘেরা। আসলে রুমগুলো আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা দেখতে পারছেন আমরা সবাই ওই রুমের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। রুমের মধ্যে ঢোকার আগে আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা উপরের ছবির দিকে তাকালে লক্ষ্য করতে পারবেন।
আমরা প্রথমে চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে থাকি এবং সবাই মিলে আড্ডা দিতে থাকি। তারপর একজন ওয়েটার এসে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে ভাইয়া আপনারা কি খাবেন। তখন আমাদের মধ্য থেকে একজন মামা বলে উঠলো ছয়টি বাদাম চা নিয়ে আসো প্রথমে। আসলে আমি ওই দিন সর্বপ্রথম বাদাম চায়ের নাম শুনেছিলাম। এর আগে কখনো আমি বাদাম চায়ের নাম শুনেছিলাম না।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমার একজন মামা সেলফি তুলছে। আমরা ৬ জন একত্রিত ক্যামেরাবন্দি করে। বিশেষ করে ঐদিন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল ঘুরাঘুরি করতে। ঘোরাঘুরি শেষ করে আমাদের বাড়ি আসতে প্রায় রাত ৮ বেজে গিয়েছিল। বাদাম চা খেতে আমার কাছে বিশেষ করে অনেক অনেক সুস্বাদু লেগেছিল। এত কম টাকায় হয়তো এখন আর এত সুস্বাদু চা পাওয়া যায় না। আমাদের কাছে প্রতি কাপের দাম নিয়েছিল ৪০ টাকা করে। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগবে। আশা করি আপনাদের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
🤝আমার নিজের পরিচয়🤝
আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঠিক বলেছেন মামা। ঐদিনকে অনেক ঘোরাফেরা করেছিলাম এবং আরো বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম । অনেক ভালো একটা সময় কেটেছিল।
ভাই আমার কাছে মনে হয়েছিল যদি ১০০ টাকা করে নেয় তাও এই চা খাওয়া যাবে কোন সমস্যা নেই। কারন এত যে সুস্বাদু ছিল আমি আগে কখনো জানতাম না। পরে ওই দিন চা খাওয়ার পরে জানতে পারলাম।
বাদাম চা,,, এই নামটাই বেশ মজার লাগলো আমার কাছে। আর সত্যি বলতে দেখতে দূর্দান্ত 👌👌। এত লম্বা রাস্তা পাড়ি দিয়ে গেছেন চা খাওয়ার জন্য এটা একটা দারুন অ্যাডভেঞ্চার ছিল বোধ হয়। আর চায়ের দাম টাও খুব বেশি লাগলো না আমার কাছে। সবার কাছে যে ভালো লেগেছে এটাই অনেক। ভালো লাগলো ভাই পুরো লেখাটা পড়ে।
এখানে পর্দা হবে ভাই,, সংশোধন করে দেবেন একটু 🙏
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের এখানেও দুটো দোকান আছে। একটা "চা খোর"আরেকটা "চা-ওয়ালা"। দুদিন আগেই আমি আর মা ঘরের জিনিস কিনতে গিয়ে ৬০ টাকা কাপ করে কেশর পিস্তা মালাই চা খেয়ে এলাম। দারুন করে! আপনারা ৬ জন মিলে মামাবাড়ি থেকে গিয়ে বেশ মজা করেছেন দেখছি। আসলে এখন সব খাবারেই ফিউশন করা হচ্ছে। তবে আমার মা বলে এসব জিনিস একবার আধবার ঠিক আজে। রোজ খাওয়া উচিত না। আমি মা কে বললাম ৬০ টাকা দিয়ে কে ই বা ছা খাবে রোজ!
ধন্যবাদ আপু আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য।
চা খুব পছন্দ আমার। কিন্তু বাদাম চা কখনো খাইনি আমি,নাম ও শুনিনি।আপনি অনেক দূর গিয়ে চা খেলেন।সত্যি ভাল লাগলো। সুন্দর সময় কাটালেন জেনে ভাল লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু চলে আসেন আপনি আমাদের বাড়িতে বাদাম চা খাওয়ার দাওয়াত রইলো।