স্কুলের শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০২-০৯-২০২২)
আসলামু আলাইকুম আমার স্ট্রিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আজকে আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার যাচ্ছি স্কুলের শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আমাদের স্কুলে চার জন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছিল সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠানে। বিদায় অনুষ্ঠান মানে অনেক কষ্টের এবং বেদনার একটি বিষয়। তবে চলুন নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.....
প্রথমে আপনারা দেখতে পারছেন বিদায় শিক্ষকদের আমাদের স্কুলের ছেলে এবং মেয়েরা ফুল ছিটিয়ে স্যারদের বরণ করে নিচ্ছে এবং স্যাররা তার তাদের নিজ নিজ দায়িত্বে বসে যাচ্ছে। তখন অনেকেই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলেছিল। আমাদের নাদিবুল ছার ও মোবাইল দিয়ে ছবি তুলেছিল। নাজিবুল স্যার হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড ইউজার তিনার এস্টিমেট আইডি বিদ্যুৎ নামে খোলা রয়েছে। উপরের ছবির দিকে তাকালে আপনারা নাজিবুল স্যার কে দেখতে পারবেন।
এবার আপনাদের দেখতে পারছেন বিদায় স্যারদের গলায় আমাদের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করছে। এবং আমাদের একটি শিক্ষক বিদায় স্যারদের হাতে তাদের কিছু উপহার তুলে দিচ্ছে। উপহার হিসেবে দিচ্ছে একটি পাঞ্জাবে একটি পায়জামা একটি জায়নামাজ ও একটি তসবি ও টুপি আরেকটি সাতি। এই সমস্ত জিনিসগুলো আমাদের বিদায় স্যারদের আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা মিলে দিয়েছিলাম।
বিদায়ী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ হোসেন আলী তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় অনেক কান্না করেছিলেন তিনি বলেছিলেন এই স্কুলে আমি বাল্যকাল থেকে লেখাপড়া শিখেছি এবং এই স্কুলে শিক্ষকতা করেছি আসলে অতি দুঃখের বিষয় এখান থেকেই তার জীবন শুরু হয়েছিল কিন্তু সেই স্কুলের মায়া ত্যাগ করে আজ তিনি অনেক দূরে চলে যাচ্ছে স্কুল থেকে। আসলে সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না সময় ফুরিয়ে গেলে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে তাই স্কুল জীবন চাকরির বয়স শেষ তাই তিনি স্কুল থেকে বিদায় নিচ্ছে।
এবার আপনাদের মাঝে একটি মজার ঘটনা শেয়ার করব আমার বন্ধু মোঃ রাজিব আহমেদ নবম শ্রেণীর একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে। তিনি ঐদিন আমাকে ডেকেছে বলছে ভাইয়া এই জিনিস আপনার বন্ধু রাজিব আহমেদ এর কাছে পৌঁছে দিবেন আমি বললাম ঠিক আছে। পরে এসে আমি রাজিব আহমেদ এর হাতে দিলাম এবং বললাম বন্ধু এটা কি আমাদের খুলে দেখাও পরে তিনি আমাদের দেখালো আমি বললাম তাহলে একটা ছবি তুলি। তখন রাজিব বলল আচ্ছা বন্ধু একটা ছবি তোল।
তার কিছুক্ষণ পর রাজিব বলল বন্ধু এটা ও আমাকে বানিয়ে দিয়েছে কেন তোরা কি জানিস আমরা বললাম না বললে জানবো কেন রাজিব বলল ভুলো না একটা নাটক আছে দেখবি এই নাটকটি দেখার পরে ও আমাকে এই জিনিসটি বানিয়ে দিয়েছে ভুলো না এই নাটকে এরকম একটি কাহিনী আছে ও বলল আমি বললাম হ্যাঁ এরকম একটা কাহিনী আছে আমি তো অনেক আগে দেখেছি। আমি বললাম তুইও দেখে নিস অনেক রোমান্টিক একটি নাটক। তারপরে ওই রুমাল হাতে ধরে রাখল আমি পরে একটি সেলফি তুলে ছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের মতামত কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন।
🤝আমার নিজের পরিচয়🤝
আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
মোহাম্মদ হোসেনা আলী স্যারের বিদায় অনুষ্ঠান টি আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।স্যার বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্না করছিলেন একজন শিক্ষক তার জীবনের বেশিরভাগ সময় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে থাকেন তার মধ্যে স্যারের শিক্ষাজীবন শুরু হয় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাই তাঁর খারাপ লাগার পরিমাণ আরও অনেক বেশি এত দীর্ঘ সময়ের মায়া ত্যাগ করে তাকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে এটা ভেবে আমারই কান্না পাচ্ছে। স্যারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মোহাম্মদ হোসেন আলী স্যারের কথা পড়ে একটু ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু পরের ঘটনাটি পড়তে গিয়ে বেশ মজা পেয়েছি আপনার বন্ধু রাজীবের প্রেমিকা তাকে একটা নকশীকরা রুমাল উপহার দিয়েছে আপনার মাধ্যমে ঘটনাটি বেশ মজার ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে সব থেকে রুমাল উপহার দেওয়ার বিষয়টি অনেক মজার ছিল আপু।
রুমালের উপর মাই লাভ লেখা বাহ এটা দেখে পুরানো দিনের প্রেমের কথা মনে পড়লো। আপনার বন্ধু রাজিবের জন্য শুভকামনা। এবং স্যারকে বেশ ভালো উপহার দিয়েছেন।।
আসলে ভাইয়া রাজিবের অল্প দিনে হয়তো সেটেল হয়ে যাবে।
ভাই বিদায় অনুষ্ঠান সত্যিই অনেকটা কষ্টের এবং বেদনাদায়ক। এই সময় নিজের সহপাঠীদেরকে ছেড়ে আসতে হয় তাছাড়া শিক্ষকদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করার বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।