পুকুর থেকে পানি ছেকে ফেলার পরে মাছ ধরার একটি মজার ঘটনা।

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি পুকুর থেকে পানি ছেকে ফেলার পরে মাছ ধরার একটি মজার ঘটনা। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখে আমাদের পুকুর ছেকা হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরে আমি পুকুরের চারপাশে ঘোরাঘুরি করার পরে বাড়িতে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া করার পর আবারও পুকুরপাড়ে চলে আসি। এবার দেখে আমার দুই চাচা মাছ ধরার জন্য পুকুরের মধ্যে নেমে পড়েছে। আরেকজন হচ্ছে আমার ভাই। তারপরে আমি পুকুরের মধ্যে না নেমে অনেক সুন্দর ভাবে কিছু ছবি তুলতে থাকি।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন একটি ছোট্ট মেশিন দিয়ে পুকুর ছেকে ফেলা হচ্ছে। মেশিনের পাশে আরেকজন মানুষ দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ফিতা পাইব ধরে রয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরে দেখলাম মেশিনের পানি কিছুক্ষণ পরপরই নেমে যাচ্ছে। তাই কল চাপতে থাকছে অনেক সুন্দর ভাবে মিনারুল ভাই। আসলে পুকুরের পানি যদি মেশিন থেকে নেমে যায় তাহলে অনেক কষ্ট হয়ে যায় পুকুর ছেকা। তারপরেও অনেক কষ্ট করে পুকুরটি ছেকা হচ্ছে মাছ ধরার জন্য।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মেশিনের মুখে ফিতা পাইব বাধার পরে ফিতা পাইব দিয়ে পানি অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আসলে ফিতা পাইব দেওয়ার কারণ যাতে পানিগুলো ঘুরে আবারো ওই পুকুরের মধ্যে না যায়। অনেক দূরে ফিতা পাইব টেনে নিয়ে এসে কলাবাগানের মধ্য দিয়ে পানি অন্য আরেকটি জায়গায় ফেলা হচ্ছে।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন ফিতা পাইবের মুখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। আসলে যেখানে পানি যাচ্ছে সে জায়গাকে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় বলা হয় ক্যানাল। আসলে পানি সেখানে যাওয়ার পরে পরবর্তীতে অন্য একটি জায়গায় ওই পানি চলে যাচ্ছে। মজার ঘটনা হচ্ছে ফিতা পাইবের মধ্য থেকে অনেক ছোট ছোট দাড়ি এবং চিংড়া মাছ গুলো উঠে আসছিল তাই বলছিলাম একটি মজার ঘটনা আছে।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন পুকুরের মধ্যে অনেক জার্মানি এক দিক দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করছে আর মাছ ধরছে। আমি ইচ্ছা করেই পুকুরের মধ্যে নামতে চাচ্ছিলাম না কারণ শীতের সময় অনেক কাদামাটি লেগে গেলে ভালোভাবে গোসল করলেও তাও সেগুলো পরিষ্কার হবে না। সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে কালকে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে কুষ্টিয়াতে রওনা দিতে হবে এজন্য আরো পুকুরের মধ্যে নামতে চাচ্ছিলাম না।

মাছ আপনাদেরকে দেখাতে পারলাম না যেহেতু শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে ছিলাম না। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে শুনলাম আনুমান ১২ থেকে ১৬ কেজি মাছ পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো শুধু চ্যাং ও জিওল মাছ। আমি সব থেকে জিওল মাছ খেতে বেশি পছন্দ করি। আশা করি সকলে ভালো থাকবেন সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।