ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের প্রথম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৫-০৭-২০২৩)

IMG_20230707_133620.jpg

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের প্রথম পর্ব। আসলে আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে বাসায় এসে বই খাতা গুলো রেখে চুল কাটানোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখে অনেক ভিড়। সেখানে বসে আপনাদের মাঝে কিছু কমেন্ট করেছিলাম। চুল কাটানো শেষ করে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া অঞ্চলের ছবি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ছবিটি পেয়েছিলাম মুজিবনগর ভ্রমণ গিয়ে। আসলে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী বলা হয় মুজিবনগর কে। মুজিবনগরে দেখার মত বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। এর আগেও আমি মুজিবনগরে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু তখন মুজিবনগর এত উন্নত ছিল না। তবে চলুন নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক..........

IMG_20230707_123418.jpg

প্রথমে আপনার উপরের ছবির দিকে তাকালে অনেক সুন্দর একটি আম বাগান দেখতে পারবেন। আসলে আমি আর আমার দুলাভাই দুইটা বাইক নিয়ে দুইজন ও আমাদের সাথে আমার আপু একজন ছোট ভাই ও ছোট বোন এবং খালামনি ছিল। দুইটা বাইকে আমরা মোট ৬ জন গিয়েছিলাম মুজিবনগর দেখার উদ্দেশ্যে। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় 40 থেকে 45 কিলোমিটার দূরে মুজিবনগর। বাড়ি থেকে বের হয়ে মেহেরপুর পার হওয়ার পরে অনেক জোরে পানি এসেছিল। তখন আমরা সবাই মিলে একটি দোকানের নিচে দাঁড়ায় মোটরসাইকেল থামানোর পরে। তার কিছুক্ষণ পরে পানি আবারো থেমে যায় আমরা আবারো রওনা দিতে শুরু করি। তার কিছুক্ষণ পরে আমরা মুজিবনগরে গিয়ে পৌঁছায় ঐতিহাসিক আমবাগানের মধ্যে। সেখানে আমরা বাইক রেখে সারি সাইডে দেখা শুরু করি।

IMG_20230707_123552.jpg

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কিছু কসমেটিকের জিনিসের ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমার ছোট্ট খালামণি কসমেটিকের জিনিস দেখার পরে নেবে বলছিল আমাকে। আমি বলছিলাম কি নেবে। তারপরে আমার খালামণি সেখান থেকে অনেক সুন্দর একটি চুরি পছন্দ করেছিল। আমি সেই চুরিটি আমার খালামণিকে কিনে দিয়েছিলাম ২৫০ টাকা দিয়ে। আসল মেলার সকল জিনিস পত্র বসেছিল এই আম বাগানের মধ্যে।

IMG_20230707_123820.jpg

IMG_20230707_124152.jpg

তারপরে সেখানে আমরা আরো অনেক কিছু দেখতে পেয়েছিলাম। ছোট বাচ্চাদের কাঠের কিছু খেলনা দেখতে পেয়েছিলাম সেগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছি। খেলনার পাশে আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পিঠা বানানো সাচ রয়েছে। আসলে পিঠা বানানো সাচ দেখার পরে আমার আপু সেখান থেকে একটা পিঠা বানানোর সাচ কিনেছিল। একটা পিঠা বানানো সাচ এর দাম নিয়েছিল ২০ টাকা। আসলে এই সাচ দিয়ে আমার আপু তার পরের দিনে বাড়িতে এসে পিঠা বানিয়ে খাইয়েছিল আমাদেরকে বেশ মজাই লেগেছিল। সেখানে আমরা আরো দেখতে পেয়েছিলাম কাছের উপরে লেখা আছে ঘুরে এলাম ঐতিহাসিক মুজিবনগর। আসলে আমি যেখানেই যাই যে জায়গায় ভ্রমণ করি এমন জিনিস পেলে কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। এটাও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল কিন্তু আমি কিনে ছিলাম না।

IMG_20230707_131502.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে স্মৃতিসৌধের কাছে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আমার ভাইয়া একটি ছবি তুলে আমাকে দিয়েছিল। আসলে এই স্মৃতিসৌধের উপরে উঠতে হলে নিয়ম রয়েছে সবাইকে খালি পায়ে ওঠা লাগে। আসলে তখন প্রচন্ড রোদ পড়ছিল তাই পায়ের নিচে অনেক গরম অনুভব করছিলাম। আসলে জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। প্রায় অনেক সময় ধরে আমরা সব কিছু ঘুরে দেখেছিলাম।

IMG_20230707_133504.jpg

যখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আসলে সেলফিতে আপনারা আমাদের পাঁচজনকে দেখতে পাচ্ছেন আরেকজন আমার মাথার ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। আসলে এই স্থানটিতে রয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যখন যুদ্ধ হয়েছিল সেই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে একটি ম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল সেখানে এই সেলফি তুলেছিলাম। আসলে কিভাবে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেই সমস্ত এবং যুদ্ধের কিছু চিত্র এখানে রয়েছে আসলে সব কিছু দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আপনার অপেক্ষায় থাকুন আবারও ঐতিহাসিক মুজিবনগর এর দ্বিতীয় পর্ব দেখার জন্য। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীমুজিবনগর ভ্রমণ
ডিভাইসRedmi not 8
লেখক@kibreay001
লোকেশনমুজিবনগর, মেহেরপুর
💞আমার নিজের পরিচয়💞


IMG-20230321-WA0007.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

অনেক সুন্দর একটি টাইমপাস করলেন সবাইকে নিয়ে বেশ ভালো লাগলো। মুজিবনগর কখনো দেখা হয়নি তবে নাম শুনেছি কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পেরেছি ভাইয়া খুব সুন্দর একটি জায়গা। ছোট বাচ্চারা এসব জিনিস দেখলে বেশ আগ্রহী হয় কিনার জন্য। ধন্যবাদ সেই মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

 last year 

আপু চলে আসেন মুজিবনগর দেখার জন্য আসলে মুজিবনগর দেখার মত একটি জায়গা।

 last year 

সবাইকে নিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমনের খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। খুব ভাল লাগলো। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ঐতিহাসিক জায়গাগুলোতে নানা রকমের দোকান দেখা যায়। আপনারা সেই দোকানগুলো থেকে কিছু জিনিস কিনলেন।পরবর্তীতে কি হয়, তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে আপু মুজিবনগর ভ্রমণের বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আসলে সেখানে অনেক জিনিসের দোকান দেখতে পেয়েছিলাম সেগুলো থেকে অনেক কিছু কিনেছিলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58083.18
ETH 2578.52
USDT 1.00
SBD 2.42