কলেজ শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কলেজ শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই অনেক ব্যস্ত সময় এর মধ্যে দিন পার করতেছি। আসলে লেখাপড়ার জন্য বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রায় প্রত্যেকদিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই লেখাপড়া করার জন্য বসতে হয়। তারপরে হাত মুখ ধুয়ে আবার প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। সেখান থেকে রুমে ফেরার পরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো লেখাপড়ার জন্য বসতে হয়। সব মিলিয়ে এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গত বৃহস্পতিবারে বাড়িতে গিয়েছিলাম এই কারণে আরো বেশি ব্যস্ত তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে মেসে ফেরার পরে অনেক পড়া জমে গিয়েছে তাই সেই পড়াগুলো সব কমপ্লিট করতে হচ্ছে তাই খুবই ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করতে হচ্ছে। দিনে যদি সব সময়ও ব্যস্ত থাকি তাও চেষ্টা করি এখানে অল্প কিছু সময় দেওয়ার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক......

আসলে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে যখন আমি উত্তীর্ণ হয়েছিলাম তখন কোথায় যে ভর্তি হব এই ডিসিশন নেওয়ার জন্য খুবই ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলাম। বাড়ি থেকে আমাকে বলছিল লেখাপড়া করার জন্য বাইরে যেতে হবে কিন্তু আমি বাইরে যেতে খুব একটা রাজি ছিলাম না। তাই প্রথমবার আমি কলেজ চয়েজ দিয়েছিলাম আমাদের এলাকার বাইরে সেখানে আমার প্রথমেই নিয়ে নাই। তারপরে বাড়ি থেকে ডিসিশন দেয় ওই কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কিন্তু আমার মামা এবং আমি দুজন কোনমতেই ওই কলেজে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম না। প্রথমবার আমার চান্স হয়েছিল কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজে। মামা বলছিল ওই কলেজ খুবই নিয়মের মধ্যে চলে তাই ওখানে ভর্তি হওয়া যাবে না। মামা বলছিল কলেজ লাইফ টা আসলে ইনজয় করার জন্য। এবং ভালো লেখাপড়া করতে হবে ভার্সিটির চান্স পেতে হবে। মামা মূলত কুষ্টিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি প্রফেসর। তাই বাড়ি থেকে মামার কথামতো আমাকে আর কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজে ভর্তি করেছিল না। দ্বিতীয়বার চয়েজ দেওয়ার পরে কুষ্টিয়া সিটি কলেজ আমাকে নিয়ে নেয়। তারপর মামার কথা মত আমি কুষ্টিয়া সিটি কলেজে ভর্তি হই। সেখানে প্রায় ছয় মাস ক্লাস করেছিলাম। কলেজে প্রথম দিন বেশ আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।

কলেজে প্রথম দিন আমি যখন একলা কলেজে গিয়েছিলাম তখন আমার নিজের কাছে কেমন একটা লাগছিল সবাই দল বেঁধে কলেজে আসছে শুধুমাত্র আমি একা কলেজে এসেছি। আসলে কুষ্টিয়াতে আমার তেমন কোন চেনা পরিচিত মানুষ ছিল না ওই কলেজে। তাও মামার কথামতো ঐ কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। প্রথম দিন কলেজে গিয়ে প্রথম বেঞ্চিতে আমি যখন বসে ছিলাম আমার নিজের কাছেই বেশ ভালো লেগেছিল। কলেজে প্রথম দিন একজন ম্যাডাম এসে আমাকে প্রথমে আমাকে মঞ্চে ডেকেছিল কিছু কথা বলার জন্য। প্রথমে একটু নিজের মধ্যে ভয় কাজ করছিল তারপরে আমি সেখানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে আবারো নিজের বেঞ্চে ফিরে আসি। আসলে প্রথম দিন কলেজ বেশ ভালই কাটছিল আমার। আসলে একা একা কোথাও থাকতে ভালো লাগে না। স্কুল লাইফে আমার যত বন্ধু-বান্ধব ছিল সবাই আমাদের এলাকার শহর গাংনীতে ভর্তি হয়েছিল তাই আমি ভেবে ছিলাম গাংনীতে ভর্তি হবো। কিন্তু আমার বাড়ি থেকে রাজি হয়েছিল না। কুষ্টিয়াতে আমি যেই মেসে থাকতাম সেই ম্যাচের পরিবেশটাও খুব একটা ভালো ছিল না। মেসের বড় ভাইরা সব সময় ইয়ার্কি ঠাট্টায় মেতে থাকতো। এইসব কথা বাড়িতে জানানোর পরে বাড়ি থেকে বলল কুষ্টিয়া থেকে চলে আসতে। আমারও খুব ইচ্ছা ছিল আমি কুষ্টিয়া থেকে চলে আসবো বাড়িতে।

আমি কুষ্টিয়া পাঁচ মাস ছিলাম তারপরে আমার নিজ কলেজ থেকে টিসি নিয়ে আমি আমাদের গাংনী কলেজে চলে আসি। আসলে টিসি নেওয়ার সময় কলেজ থেকে অনেক ঝামেলা করেছিল। অনেক ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল কলেজের প্রিন্সিপালের সম্মুখে। অবশেষে কলেজের প্রিন্সিপাল আমাকে টিসি দিতে সম্মতি জানাই। যখন আমি কলেজের টিসি হাতে পেয়ে গেলাম তখন আমার নিজের কাছেই বেশ ভালো লেগেছিল। তারপরের দিন আমি কুষ্টিয়া ছেড়ে বাড়িতে চলে এসেছি। তারপর আমাদের এলাকার শহরের নিজ কলেজে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়ার প্রায় ১২ থেকে ১৩ দিন পরেই অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছিল। আমাদের কলেজে প্রায় সাতশোর উপরে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এখন। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষাতে আমি ১৯ তম স্থান অধিকার করেছিলাম। আর কিছুদিন পরে আমাদের এয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। আশা করি পরীক্ষাতে আরো ভালো ফলাফল করতে পারব। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।