কম্পিউটার শেখার পরে কিছু খাওয়া দাওয়া।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬-১১-২০২২)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কম্পিউটার শেখার পরে কিছু খাওয়া দাওয়া। আজকে সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকালে দেখি আম্মু আমাকে অনেক ডাকাডাকি করছে। ভোর ছয়টার দিকে। আমাকে বলছে একটু ডাল ও কুমড়ো কুটে নিয়ে এসে দাও আমি চলে গেলাম ডাল ও কুমড়ো কুটে নিয়ে আসতে। তারপরে বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপরে কম্পিউটার শিখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি যখন বাসের মধ্যে তখন আমি নিজে অনুভব করতে পারি আমার অনেক জ্বর আসতেছে। তার কিছুক্ষণ পরেই দেখি আমার গা হাত পা সব গরম হয়ে গিয়েছে। তারপরে বাড়িতে ফিরে গোসল করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শুয়ে আছি। ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেক জ্বর আর সর্দি। তারপরে আপু আমাকে ফোন দিল আমাদের বাড়িতে এসে একটু খাওয়া দাওয়া করে যায়। চলে গেলাম আপু দের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করতে। আসলে আমার আপুর বিয়ে হয়েছে আমাদের বাড়ির পাশেই। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এসে আবারো বসে গেলাম পোস্ট করতে। তবে চলুন শেয়ার করা যাক আজকের পোস্টের বিষয়। কম্পিউটার শেখার পরে কিছু খাওয়া দাওয়া। প্রত্যেকদিন আসলে কম্পিউটার শিখতে যায় আমরা। আসলে আজকে কম্পিউটার শিখতে শিখতে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। আমরা যার কাছে কম্পিউটার শিখি তার নাম হচ্ছে কনক। ভাই আমাদেরকে বলল আজকে তোমরা কিছু খাওয়া-দাওয়া করে আসো যাও এখন তো আর শেখা হবে না। তারপরে আমাদের যিনি ট্রেনিং দেয় তার নাম হচ্ছে নয়ন আহমেদ। আমরা তাকে সাথে করে খাওয়া দাওয়া করতে চলে আসলাম........
আমার পাশে যে ছেলেটি বসে হাসছে তার নাম হচ্ছে নয়ন আহমেদ। তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রশিক্ষণ দেয় কম্পিউটার। তিনি আবার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। নায়ন মানুষ হিসেবে অনেক ছোট হলেও কম্পিউটারে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছেন ইতিমধ্যে।
আসলে নয়ন এর সাথে আমার অনেক মিল। নয়নকে আমি অনেক ভালোবাসি। নয়ন মানুষটা খুবই সহজ সরল। আসলে আমার কাছে নয়নের ব্যবহার আচার আচরণ অনেক ভালো লেগেছে। নয়ন আমাদের সবার সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করে।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা মোট খাওয়া-দাওয়া করতে এসেছিলাম সাত জন লোক। তার মধ্যে আমার বন্ধু ছিল মোট চারজন। আপনারা তো অনেক আগেই রাজিবকে চেনেন। আরো রয়েছে স্বপন , রিয়াদ আর আমাকে তো আপনারা সবাই চেনে। তিনজন রয়েছে আমার ছোট ভাই।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন হোটেলের ওয়েটার আমাদের প্রত্যেকটি পেলেটে দুইটি করে সমোচা দিয়েছে। আসলে আমাদের মধ্য থেকে রাজিব বলেছিল যে আমরা সমোচা খাবো। আমি তারপরে বলেছিলাম তোমাদের যা ইচ্ছা তাই খেতে পারো। তারপরে সবাই বলল সমোচা খাওয়া দাওয়া করেছিলাম।
আমাদের কাছ থেকে প্রত্যেকটি সমোচার দাম নিয়েছিল ১৫ টাকা করে। আসলে হোটেলের নাম হচ্ছে আমিন হোটেল। আমাদের গাংনী বাজারের সবথেকে বিখ্যাত হোটেল। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকালে জন্য শুভকামনা রইলো।
🤝আমার নিজের পরিচয়🤝
আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার এই কম্পিউটার শেখার পরে কিছু খাওয়া-দাওয়ার গল্পটা পড়ে ভালই লাগলো। আসলে কনক ভাইকে আমিও চিনি। আর যে আপনি বললেন না ছোট নয়ন ওকে আমি দেখেছি কিন্তু ওর নাম জানতাম না। যাইহোক আপনার এ গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাগ্নে তুমি কম্পিউটার শিখতে যাও আর মজা মজা করে একা একাই খাও মামার কথা মনে করো না আসলে এটা কিন্তু ঠিক না।সময় কিন্তু আমারও আসবে।যাইহোক তবু ছোট ছোট ভাইদের নিয়ে তুমি একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছো, দেখে অনেক ভালো লাগলো।শুধু খাওয়ার ভিতরে থেকো না কম্পিউটারটা একটু ভালো করে শিখো।
কম্পিউটার শিখতেছি এত বেশি পরিমাণে ঘোরাঘুরি করলে কিন্তু কাজ হবে না। তারপরও বলবো খাওয়া-দাওয়া করা যায় কিন্তু বেশি ঘোরাঘুরি করলে কম্পিউটার শেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে বলে আমি মনে করছি।
নয়ন আহমেদ ভাই মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে আপনাদের কম্পিউটার প্রশিক্ষন দেয়,তার মানে কম্পিউটারের উপরে তার ভালেই ধারনা আছে বলতে হবে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারনে বন্ধুদের সাথে ভাল একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন। তবে যেটা জেনে রীতিমত অবাক হলাম সেটা হলো একটি সমোচার দাম ১৫ টাকা। ভাবা যায় এগ্লা...। ধন্যবাদ ভাইয়া।