লাইফ স্টাইল // প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৮-০৮-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে প্রথমেই মাছের খাবার দেওয়ার জন্য পুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে আমি নিজে হালকা একটু নাস্তা খেয়েছিলাম। তারপরে মাঠে গিয়েছিলাম ঝাল তুলতে। ঝাল তোলা শেষ করে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বসে থাকার পর আপনাদের মাঝে কিছু কমেন্ট করেছিলাম। তারপরে আমি এবং আমার ছোট আব্বু দুজন মিলে আমাদের ফার্মের বেশ কিছু গরুর গোসল করিয়াছিলাম। তারপরে নিজে গোসল শেষ করে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিছানায় এসে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
কয়েকদিন আগে আমাদের কলেজে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল। আসলে উপর থেকে যখন নির্দেশনা এসেছিল পরীক্ষা নেওয়া হবে তখন মনটা বেশ খারাপ হয়েছিল। যেহেতু অন্যান্য পরীক্ষা গুলো আর হবে না তাই কলেজ থেকে পরীক্ষা নেওয়ার আগের দিন আমাদের কলেজের ফেসবুক পেজে একটা পোস্ট দিয়েছিল সেখানে লেখা ছিল যে সকল শিক্ষার্থীরা এবার ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছিলা তাদের সকলকে কলেজে এসে আইসিটি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছিল। সেই বিষয়ে আমি এবং বিপ্লব দুই বন্ধু রাতে বেশ কিছু সময় কথা বলেছিলাম। তারপরে আমরা দুজন চিন্তা ভাবনা করেছিলাম সকালবেলায় আমরা দুজন একসাথেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে যাব। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। প্রথমে আমি স্যারের কাছে ফোন দিয়েছিলাম স্যার বলে বৃষ্টি হলে সমস্যা নেই তোমরা কলেজে চলে এসো পরীক্ষা নির্ধারিত সময় শুরু হবে। বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বের হওয়ার পর সারা পথ ভিজতে ভিজতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি এবং বিপ্লব ও আরেকটি বন্ধু ছিল তিনজন মিলে চা খেয়েছিলাম। তারপর আমরা তিনজন বন্ধু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম।
প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রথমে ভেবেছিলাম স্যার হয়তো আমাদের থেকে কিছু টাকা নিবে। কিন্তু কলেজে যাওয়ার পর আমরা জানতে পারলাম স্যার আমাদের কাছ থেকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য কোন টাকা নিবে না। তারপর কলেজ থেকে আমাদের একটি ফর্ম দেওয়া হয়েছিল সেটা আমরা সকলেই পূরণ করেছিলাম। তারপর আমরা সকলেই চারটা করে এ ফোর পেপার কিনে নিয়ে এসেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রুমের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। রুমের মধ্যে প্রবেশ করার পরেই স্যার এসে আমাদের সকলের হাতে একটি করে প্রশ্ন দিয়েছিল। সেখানে মোট পাঁচটি প্রশ্ন ছিল যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দিলে হবে। আমরা সকলেই যখন পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছিলাম তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে পিছন থেকে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে যে কোন পরীক্ষায় আমি পিছন বেঞ্চেই বেশিরভাগ সময় বসে থাকি কিন্তু যখন ক্লাস হয় তখন আবার সামনে বেঞ্চে ছাড়া বসতে ভালো লাগে না। আমি এবং বিপ্লব দুজনই পাশাপাশি বেঞ্চে বসে ছিলাম এবং পরীক্ষা নেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত খোশগল্পে মেতে উঠেছিলাম।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমাদের সকলের যখন প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন স্যার প্রত্যেককে রোল নম্বর ধরে ডেকেছিল এবং ভাই নিয়েছিল এভাবেই প্রায় সময় আমরা রুমের মধ্যে বসে ছিলাম। মজার বিষয় হচ্ছে স্যার প্রত্যেককে অনেক সহজ সহজ প্রশ্ন করেছিল। কিন্তু আমি যখন ভাইবার দিতে গিয়েছিলাম তখন স্যার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল তোমার নাম কি। আমি আমার নাম বলার পর স্যার বলেছিল আইসিটির ফুল মিনিং কি। আসলে আমার কাছে মনে হয় এত সহজ প্রশ্ন স্যার আর কাউকে ধরে ছিল না। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা যখন দিয়েছিলাম তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার খাতার একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি। আসলে হাতের লেখা ততটা ভালো না কেউ যেন খারাপ মন্তব্য করবেন না এটা নিয়ে। চেষ্টা করেছি নিজের জায়গা থেকে বেশ কিছু ছবি তুলে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সবার শেষে অনেক সুন্দর ভাবে আমি একটি সেলফি তুলে রেখেছিলাম পরীক্ষা দেওয়ার সময়। যেহেতু পরীক্ষার হলে আমাদের ফোন নিয়ে জিতে দিয়েছিল তাই সকলেই বেশ মজা করেছিলাম। আসলে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল এতটা ইনপটেন না তাই সবাই ফুরফুরে মেজাজ ছিলাম। আসলে আমার কলেজ লাইফের সবথেকে কাছের বন্ধু হচ্ছে পারভেজ। অনেকদিন পর কলেজে গিয়ে পারভেজের সাথে দেখা হওয়ার পরেই দুই বন্ধু জড়িয়ে ধরেছিলাম। পরীক্ষা দেওয়া থেকে শুরু করে কলেজ বেশ কিছু সময় একসাথেই দুজন কাটিয়েছিলাম। পরীক্ষা দেওয়া শেষ করে আবারও বাইরে বের হয়ে দেখি এখনো বৃষ্টি হচ্ছে আবারও বাইক নিয়ে ভিজতে ভিজতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। এভাবেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছ। তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার অনুভূতি। আসলে এই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমারও খুবই ভালো লেগেছিল। মজার একটা বিষয় ছিল স্যার আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল না। তাছাড়া প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা মানে দেখে দেখে লেখ। তাই দুই বন্ধু মিলে ভালোভাবেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিয়েছে। তাছাড়া ভিজতে ভিজতে যাওয়ায় চা টা কিন্তু সেই ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ অনুভূতিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর ভাবে তোমার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত তুলে ধরার জন্য।
তাহলে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ও দিয়ে দিলেন। আপনি তো সকালে বেশ ভালো কাজকর্ম করেন। মাছকে খাবার দেওয়া বেশ ভালো লাগবে। কারণ মাছকে খাবার দেওয়ার সময় মাছগুলো সব জড়ো হয়ে যায় যা দেখতে খুব ভালো লাগে। আশা করি আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু মাছের খাবার দেওয়ার সময় মাছগুলো সব যখন এক জায়গায় এসে খায় তখন দেখতে বেশ ভালো লাগে।
বেশ ভালো লাগলো প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন দেখে। আমরা আমাদের জীবনের এই পর্যায় অনেক আগেই শেষ করে এসেছি। তবে আপনার পোস্ট দেখে কিন্তু পুরাতন সেই স্মৃতিগুলো মনে ভেসে আসলো।
আমার পোস্টে পড়ে আপনার পুরাতন স্মৃতি মনে ভেসে আসছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।