ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০৭-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। বেশ কিছুদিন ধরে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। লেখাপড়ার জন্য ব্যস্ততা একটু আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে এসে বন্ধুদের সাথে অল্প একটু বাইরে আড্ডা দিয়েছি। আসলে গত দুইদিন ধরে শরীরটা খুব একটা ভালো নেই প্রচন্ড জ্বর এসেছিল। সেখান থেকে বাসায় ফিরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে অল্প একটু যুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে অল্প একটু লেখাপড়া করে আবারো আপনাদের মাঝে যুক্ত হয়েছি। আসলে দিনের মধ্যে যে কোন সময় এখানে যদি আমি সময় না দিয়ে তাহলে মনে হয় যেন কোথায় আমি বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি। তাই এটা নিজের একটা অংশ হিসেবে নিয়ে নিয়েছে। এখানে অনেকদিন ধরেই কাজ করছি আসলে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক.......
প্রথমে আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার খালামনির একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ছবিটি তোলা হয়েছে আম বাগানের মধ্যে থেকে। আসলে আম বাগানের মধ্যে অনেক লোক অনেক জিনিস বিক্রয় করছিল সেখানে আমরা বেশ কিছুক্ষণ জিনিসগুলো ঘুরে দেখেছিলাম এবং কিছু ছবি তুলেছিলাম। আমি সেখানে আমার খালামণিকে দাড়ি করিয়ে অনেক সুন্দর একটি ছবি তুলেছিলাম। আসলে মুজিবনগর কে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী বলা হয়।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক সুন্দর একটি কাঠের লোগো বিক্রয় করছিল ওখানে অনেক মানুষ। আসলে কাঠের ওই লোগোটি দেখার পরে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল তাই আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। তারপরে সেখানে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলাম এটি যদি আমার মোটরসাইকেলের চাবির রিং এ দেওয়া যায় তাহলে দেখতে অনেক ভালো লাগবে। তাই আমি সেখান থেকে একটি লোগো কিনেছিলাম বিশ টাকা দিয়ে। তারপরে সেই লোগোটি আমি আমার মোটরসাইকেলের চাবির সাথে লাগিয়েছি আসলে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আসলে এটি লাগানোর কারণ হচ্ছে চাবি যদি কোথাও রাখা হয় যাতে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে আমি একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ছবিটি আমি তুলেছিলাম যেখানে বাংলাদেশের যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে তার দুই তালা ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে। আসলেই সেই সময় ছিল ঠিক দুপুর বেলা তখন আকাশে অনেক রোদ ছিল। তাই রোদের কারণে আমরা ঠিকমত ক্যামেরার লেন্সের দিকে তাকাতে পারছিলাম না তাই সবাই চোখে মুখে হাত দিয়েছিল। আসলে উপর থেকে বাংলাদেশের মানচিত্র টি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে এই জায়গাটি দেখেছিলাম আমি অনেক ছোটবেলায়।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। যুদ্ধের সময় যেভাবে মানুষজন এক জায়গায় বসে যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে আলোচনা করতো সেই সময়ের একটি দৃশ্য মুজিবনগরে তৈরি করা হয়েছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে সেই দৃশ্যটির ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে এই সমস্ত ছবিগুলো দেখলে শেষ যুদ্ধের স্মৃতি অনেক মানুষের হয়তো মনে পড়ে যায় । এই যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অনেক মানুষের প্রাণ এবং ইজ্জত হারিয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর বাঙালি তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে।
তারপরে বেলা দুইটার দিকে আমরা দুপুরের খাওয়া জন্য সবাই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বাইরে এসে ভেবেছিলাম হোটেলে কোথাও খাওয়া-দাওয়া করব। কিন্তু সেখান থেকে অনেক মানুষের কাছ থেকে জানতে পারলাম আশেপাশে কোথাও ভালো একটা হোটেল নেই হয়তো একটু দূরে যেতে হবে। তাই সেখানেই যা কিছু আছে তাই খাওয়ার জন্য আমরা বসে পড়লাম। সেখানে আমরা সবাই অনেক মজা করে অনেক কিছু খেয়েছিলাম। আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | মুজিবনগর ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi not 8 |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | মুজিবনগর, মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1681952050320650241?t=fVJespLIPJME6EoumX096Q&s=19
প্রথমে ভাইয়া আপনার সুস্থতা কামনা করি। তবে ভাইয়া আমি কখনো মুজিবনগর ভ্রমণ করতে পারিনি। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখে ভালই লাগলো। আসলে আমরা যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। তাই মুজিবনগর ভ্রমণের মাধ্যমে স্বাধীনতার একটি ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। যাই হোক সবাই মিলে খুব সুন্দর করে ভ্রমণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এবং আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদিন সময় করে চলে আসেন আপু মুজিবনগর দেখার জন্য অবশ্যই ভালো লাগবে মুজিবনগর দেখার পরে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনি মুজিবনগর ভ্রমণ করতে গিয়েছেন বিষয়টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে আমাদের এলাকার সবথেকে ভালো এবং সুন্দর দর্শনীয় স্থানের নাম হচ্ছে মুজিবনগর। অনেকবার এখানে ভ্রমণ করতে গিয়েছি কিন্তু তারপরও বারবার এখানে যেতে ইচ্ছা হয়।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি আমাদের এলাকার মধ্যে সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হচ্ছে মুজিবনগর। ঠিক বলেছেন মামা আপনি একবার দেখলে মন ভরে না বারবার দেখতে মন চায়।
কোথায় ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে । বাইরে ঘুরতে গেলে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়। মুজিবনগর ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। ভ্রমণের মুহূর্তগুলো খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । তবে আপনি অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বাইরে যে কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে মানুষের মন অনেক ভালো থাকে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনজনদের সাথে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন মুজিবনগর। মুজিবনগরের এই সুন্দর লোকেশনে আপনারা সত্যি খুব আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন, যা আপনার ফটোগ্রাফি আর লেখা দেখে বুঝতে পারলাম। আশা করি এভাবে আবারো নতুন কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাবেন এবং আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।