জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৯ তম পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৯ তম পর্ব। আজকে সকালবেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে প্রথমে কোচিং এর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে সকাল বেলায় আমাদের এই দিকে হালকা একটু বৃষ্টি হয়েছে এজন্য কোচিংয়ে যেতে বেশ কিছু সময় লেট হয়ে গিয়েছিল। কোচিং এ গিয়ে পৌঁছানোর পরে পিকনিকের টাকা তোলার জন্য স্যার সবাইকে বলেছিল। আসলে আমাদের কোচিং থেকে কুয়াকাটায় পিকনিকে যাচ্ছে এবার। কোচিং শেষ করে বাড়িতে এসে হালকা একটু খাওয়া দাওয়া করে কাকার সাথে বাইরে গিয়েছিলাম একটু বাইকে ঘোরাঘুরি করতে। তারপর বাড়িতে এসে ভাবলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেই গোসল করব। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....

আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৯ তম পর্ব। আসলে আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্বগুলো আমি অনেক আগে থেকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে আসছি। আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে এবার ক্ষীর দিয়েছিল আপু দাদা। আসলে আপুর বিয়েতে আমরা সকলে বেশ ভালোভাবে আনন্দ উদযাপন করেছিলাম। আসলে আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা আমি হয়তো কখনো ভুলতে পারবো না। আমরা সকলে মিলে বেশ মজা করেছিলাম।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আপু আমাকে ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য অনেক অনুরোধ করেছিল সেই জন্য আমি আপুর ক্ষীরের আসনে বসে ছিলাম এবং আপু আমাকে ক্ষীর খাওয়ে দিয়েছিল। তারপর সেখানে আমরা ভাই বোন মিলে অনেকে আনন্দ উদযাপন করেছিলাম। তারপরে আমার আপু বেশ কিছু ছবি তোলার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিল তাই আমি অনেক সুন্দর ভাবে একই সাড়িতে যারা আপুর সাথে সেজেছিল তাদের কিছু ছবি তুলে দিয়েছিলাম আমি। আসলে এরকম বিয়ের অনুষ্ঠান এর আগে আমি কখনো দেখেছিলাম না। আপুর বিয়েতে সত্যি বেশ মজা করেছিলাম আমরা সকলে।

আপনারে এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি কোন দায়িত্বে ছিলাম না আমি শুধুমাত্র এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেছিলাম এবং ক্যামেরাম্যানের সাথে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। কিছু সময় পরে যেখানে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে আমি গিয়ে ডেকোরেশন প্যান্ডেলের ভিতরে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। তারপরে আমার দুলাভাই এবং আপুকে অনেক সুন্দর ভাবে একটি জায়গায় বসানো হয়েছে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য। সেখানে আমার দুলাভাইকে আমার খালা একটি samsung ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন গিফট করেছিল। আসলে মোবাইল ফোনটি কেনার জন্য আমি গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে আপুর বিয়েতে তিনদিন আগেই আমি বাড়ি থেকে গিয়েছিলাম বেশ মজা করেছিলাম।

আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। বিয়ের অনুষ্ঠান মোটামুটি সব শেষ। সবার শেষে ক্যামেরাম্যান এবং আমি আপু আরো কয়েকটি ভাই এবং বোন মিলে ছাদের উপরে গিয়েছিলাম কিছু ছবি তোলার জন্য। আমি অনেক সুন্দর ভাবে প্রথমেই শেয়ার করেছি আপু এবং দুলাভাইয়ের ছবি। তারপর আমি দুলাভাই এবং আমার ছোট্ট আরেকটি ভাইয়ের ছবিসহ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে দুলাভাই হচ্ছে বেশ হাসিখুশি এবং সবার সাথে মিশতে বেশ পছন্দ করে। আমিও বেশ এরকম তাই অল্প কিছু সময়ের মধ্যে দুলাভাইয়ের সাথে আমরা বেশ মজা এবং আনন্দ উদযাপন করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।