লাইফ স্টাইল // ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে বন্ধুদের সাথে পিকনিক
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে বন্ধুদের সাথে পিকনিক । ভেবেছিলাম গতকালকে আপনাদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করব কিন্তু মুস্তাফিজুর মামার ছেলে হয়েছে এই কারণে কালকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম। আজকের সারাদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম তাও চেষ্টা করছি সন্ধ্যার সময় আপনাদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম গিয়ে দেখে আজকে প্রাইভেট বন্ধ ছিল। বাড়িতে এসে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। মাছ ধরা শেষ করে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছু সময় পরেই আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আসলে আমরা ১৬ই ডিসেম্বরের দিন পিকনিক করেছিলাম কয়েকজন বন্ধু এবং কয়েকজন বড় ভাই মিলে। আমরা পিকনিক করেছিলাম মাত্র ৯ জন। আমরা আসলে ১৬ ডিসেম্বরের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্লান প্রোগ্রাম করছিলাম পিকনিকের। আমাদের আগে থেকে ইচ্ছা ছিল যে আমরা বড় একটি রাজহাঁস দিয়ে পিকনিক করবো। ১৪ ডিসেম্বর আমি এবং আমার আরেকজন বন্ধু হাঁস খোঁজার জন্য আমাদের পাশের গ্রামে বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন ওই গ্রামে হাঁস খোঁজার পরে মাত্র একটি হাঁস পেয়েছিলাম কিন্তু সেই হাঁসটির দাম অনেক বলেছিল । তাই সেই হাঁসটি আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়েছিলাম না। আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারছেন হাঁসের মাংস যখন কড়ার উপর দিয়ে নাড়াচাড়া করা হচ্ছে তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সব ছবিগুলো পর্যায়ক্রমে তুলতে পারিনি কারণ সেই দিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম। তাও চেষ্টা করছি কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি নির্দিষ্ট জায়গা এবং মাথার উপরে সামিয়ানা দিয়ে ঘেরা রয়েছে। আসলে আমরা সেই দিন বন্ধুরা মিলে সকলেই সেখানে সারারাত বেশ আড্ডা দিয়েছিলাম। আমরা বন্ধুরা ছিলাম সাত জন এবং বড় ভাই ছিল দুইজন। সেখানে আমরা একটি বক্স নিয়ে এসেছিলাম সারারাত অনেক মজা করেছিলাম সবাই মিলে। আমরা মূলত সেখানেই হাঁসের মাংস রান্না করে নিজের হাতে খেয়েছিলাম । আসলে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ার মজাই কিন্তু আলাদা। সত্যিই এর আগে কখনো এভাবে রাতে পিকনিকের অভিজ্ঞতা ছিল না আমার এই প্রথম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের ব্যাডমিন্টন খেলার কোটের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই দিন যদি আমরা খেলা খেলতাম তাহলে কাজের জন্য কোন মানুষই পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই আমরা এই দিন খেলাটা বন্ধ রেখেছিলাম। আমার সবথেকে পছন্দের খেলা হচ্ছে এই ব্যাডমিন্টন খেলা । কিন্তু আমি কয়েক বছর যাবত এই খেলা আগের মতো আর বেশি সময় ধরে খেলি না সর্বোচ্চ দুই গেম খেলা খেলে আবারো বাড়িতে চলে আসি। সবথেকে বড় কথা হচ্ছে এখন আগের তুলনায় লেখাপড়া চাপ অনেক বেশি। আসলে এই খেলাতে অনেক ব্যয় বহুল খরচ হয়।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে হাঁসের মাংস রান্না করার সময়ের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমি হাঁসের মাংস খেতে অনেক পছন্দ করি। আমাদের কয়েকজনের মতেই এই হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করা হয়েছিল। বাংলার দামাল ছেলেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই মহান বিজয় ছিনিয়ে এনেছে তাদেরকে সব সময় আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেকদিন হয়ে গেছে ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে কোন পিকনিক করি নাই। শুধু ১৬ডিসেম্বর না যে কোন ধরনের পিকনিক এখন আর করা হয় না। মামা তোমাদের পিকনিক করে দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। মন চাইছে আমি যদি তোমাদের সাথে পিকনিকে জয়েন করতে পারতাম তাহলে বেশ ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
সু স্বাগতম মামু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
শীতের দিনে পিকনিক এর দুম পড়ে যায়।আমরা আগে ১৬ই ডিসেম্বরে এভাবে পিকনিক করতাম। আপনাদের পিকনিক দেখে সেই ছোট্ট বেলায় কিছুক্ষণের জন্য ফিরে গিয়েছিলাম। আপনারা রাজহাঁস দিয়ে পিকনিক করেছেন। সত্যি এই পিকনিকে খাবার থেকে মজাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ১৬ ডিসেম্বরে এভাবে পিকনিক করতেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।
আসলে ভাইয়া শীতের সময় আসলে এরকম পিকনিকের আয়োজন একটু বেশি হয়ে থাকে।
বন্ধুরা মিলে সবাই একসাথে একরকম আয়োজন আসলে ব্যাপার-স্যাপারই অন্যরকম।
খাবার যেমনই হোক বা যেটাই হোক মজাটা মনে রেখা যায় অনেক দিন।
খুব ভালো লাগলো আপনাদের আয়োজন দেখে।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বন্ধুদের সাথে এরকম পিকনিকের আয়োজন সত্যি বেশ মজার হয়ে থাকে।
আপনার মামা মানে মুস্তাফিজুর ভাইয়াকে বলবেন মিষ্টি পাঠাতে। তাই তো মুস্তাফিজুর ভাইয়াকে দেখা যায় না। যাই হোক এক তো শীত তার উপর ১৬ এ ডিসেম্বর দুটো মিলিয়ে পিকনিক নিশ্চয়ই বেশ জমে উঠেছিল। এরপর আবার পিকনিক করেছেন রাজহাঁসের মাংস দিয়ে আহ কি আনন্দ। আমিও কিছু দিন পর গ্ৰামে যাবো চিন্তা করেছি সবাইকে নিয়ে আমিও একটা পিকনিকের আয়োজন করবো। বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করছি আপু এত শীতের মাঝে ও বন্ধুদের সাথে ১৬ ডিসেম্বরে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
Twitter link
বিজয় দিবসের দিনে পিকনিক মজাটাই যেন অন্যরকমের। পিকনিকের সাথে সাথে আপনারা দেখছি ব্যাডমিন্টন খেলে মজাটা আরো বৃদ্ধি করে ফেলেছিলেন। মানুষ কম হলেও আপনারা মনে হচ্ছে অনেক মজা করেছেন।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি পিকনিকের দিন শীতের সময় সত্যি ব্যাডমিন্টন খেলা আনন্দটা আরেকটু পিকনিকের মজা বৃদ্ধি করে।
আপনারাও তো দেখছি আমাদের মতই হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক শুরু করেছেন যাইহোক সময়টা বেশ ভালোভাবে অতিবাহিত করেছেন আর সেই সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আমার আর আপনার অনেক মিল রয়েছে তাই দুই ভাই মিলে হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করেছিলাম।