ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৯ তম পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ৯ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে বেশ কিছু সময় বাড়িতে লেখাপড়া করেছিলাম। আজকে বাঙালি জাতির বেশ স্মরণীয় একটি দিন মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। আজকে আমাদের কোচিং বন্ধ ছিল তাই আর যাওয়া হয়নি। তারপরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার এক চাচার সাথে একটু বাজারে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটার জন্য। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে ফুপু দের বাড়িতে গিয়েছিলাম দাওয়াত খাওয়ার জন্য। দাওয়াত খাওয়া শেষ করে বাড়িতে ফিরে এসে বিছানায় শুয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আপনার উপর ছবি দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সিলেট ভবনের সময় আমরা মানবিক শাখার বন্ধুরা মিলে একটি গ্রুপ ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমাদের সাথে বেশ কয়েকজন স্যার এবং স্যারের ওয়াইফ ছিল। আসলে আমরা সকলে মিলে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম। সিলেট ভ্রমণের প্রথমে আমরা জাফলং দেখতে গিয়েছিলাম। সত্যি আমি এর আগে অনেক জায়গা ভ্রমন করেছি তার মধ্যে জাফলং অন্যতম। এর আগে কখনো আমি এত সুন্দর জায়গা দেখেছিলাম না। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যি সেদিন বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর হবে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আমারা যখন নৌকায় চড়ে লালা খাল দেখতে গিয়েছিলাম তখন নৌকার উপরে বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম আমি। বেশ কয়েকটি স্টাইলে ছবি তোলা হয়েছিল সেই সময়। আসলে আমরা যখন সিলেট ভ্রমণের জন্য গিয়েছিলাম তখন লালা খেলে খুব বেশি পরিমাণে পানি ছিল না। তারপরে আমার বন্ধু অনেক সুন্দর হবে একটি সেলফি তুলে শেয়ার করেছে জাফল থাকা অবস্থায় একটি ছবি। আসলে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে জাফলং দেখেছিলাম। জাফলং এর পাশে একটি ঝর্ণা ছিল এবং উপজাতিদের বাড়ি ছিল এই সব কিছু আমরা অটোতে চড়ে ভ্রমণ করেছিলাম। সত্যিই সেই দিনগুলোতে আমরা বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে সিলেট ভ্রমণের দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। সিলেট ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন আমরা দুপুরবেলার দিকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পরে আমরা প্রথমেই হোটেলে অল্প কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম বন্ধুরা মিলে। তারপর আমরা সবাই মিলে নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য নৌকা ভাড়া করেছিলাম। আমরা প্রায় একটি নৌকায় ১৩ জন বন্ধ ছিলাম। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে নদীর পানির ঢেউ যখন এসেছিল মনে হচ্ছে নৌকা সামনের দিকে না গিয়ে পিছনের দিকে যাচ্ছে। তবে তখন নৌকার একদম মাথায় বসে আমি বেশ দারুন কিছু ছবি উঠেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমার অত্যন্ত কাছের বন্ধু শান্তর সাথে আমি আপনাদের মাঝে একটি ছবি শেয়ার করেছি। সব মিলিয়ে বেশ দুর্দান্ত কয়েক দিন কাটিয়েছিলাম সিলেট ভবনে।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। সিলেটের প্রত্যেক জায়গার মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর । কিন্তু ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে আমরা বেশি সময় উপভোগ করতে পেরেছিলাম না। কারন আমরা সেখানে গিয়ে পৌঁছেছিলাম দুপুর আড়াইটার দিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম সেখানে। সেখানে গিয়ে প্রথমে আমরা গোসল শেষ করে পোশাক চেঞ্জ করে বেশ কিছু ছবি উঠেছিলাম। আসলে সেখানে অত্যন্ত কাছ থেকে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার সীমান্ত দেখেছিলাম। নদীর মাঝ বরাবর দুই দেশের সীমান্ত আসলে নদীর ওপারেও আমি গোসল করার সময় চলে গিয়েছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।