জেনারেল রাইটিং // টিয়া পাখি নিয়ে আমার কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৭-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি টিয়া পাখি নিয়ে আমার কিছু কথা । গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এলাকাতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখি বৃষ্টি কিছুটা কমেছে আমাদের এলাকায়। তারপরে আমি হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইক নিয়ে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট পড়া শেষ রুম থেকে বের হয়ে দেখি অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা বসে থাকার পরেও বৃষ্টি থামছিল না। তারপরে আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে সেখানে লুডু খেলা খেলতে ছিলাম। আসলে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম তখন। তারপরেও পানি থামছিল না ভিজতে ভিজতে বাইক নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম । তারপরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....
কয়েকদিন আগে আমি সেন্ডেল কেনার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সাঈদ ভাইয়ের কাঁধের উপরে টিয়া পাখি বসে আছে। আসলে ছোটবেলায় আমার একটি টিয়া পাখি ছিল তাই বেশ কিছুক্ষণ টিয়া পাখির সাথে এবং সাঈদ ভাইয়ের সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। দুঃখের বিষয় আমার টিয়া পাখি গত এক বছর আগে মারা গিয়েছে। আসলে আমার পাখিটি বেশ শখের পাখি ছিল। সাঈদ ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সাঈদ ভাই বাচ্চা অবস্থায় টিয়া পাখিটি ছয় হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিল। আসলে সাঈদ ভাইয়ের টিয়া পাখি দেখে সত্যি আমি বেশ মুগ্ধ হয়ে ছিলাম। আমার টিয়া পাখিটি নিয়ে এসে দিয়েছিল আমার দুলাভাই। যখন টিয়া পাখির শুধুমাত্র চোখ ফুটেছিল সেই সময় আমি পেয়েছিলাম আমার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে। আসলে সেই ছোট্ট সময় আমি টিয়া পাখিকে অনেক যত্ন নিতাম। বলতে গেলে আমার থেকেও বেশি যত্ন নিতাম আমি আমার সেই টিয়া পাখির। হয়তো এই ঘটনা আমার বাংলা ব্লগের অনেক সদস্যরা জানে।
টিয়া পাখিটি যখন সাঈদ ভাইয়ের কাঁধের উপর বসে ছিল তখন আমি ছবি তুলেছিলাম। ছোট অবস্থায় আমি আমার টিয়া পাখিকে খাবার দিতাম শুধুমাত্র পাকা কলা। আমাদের বাড়ির পাশে একটি দোকান ছিল সেখান থেকে আমি প্রায় প্রত্যেকদিন চার থেকে পাঁচটা পাকা কলা কিনে নিয়ে এসে আমার টিয়া পাখিকে খাওয়াতাম। টিয়া পাখির বয়স যখন তিন মাস তখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পাকা কালা খাওয়াতাম। তিন মাস পরে যখন আমার টিয়া পাখি ভালোভাবে খাওয়া শিখলো তখন আমি বিভিন্ন কুমড়ার ভিসা সিমের ভিসা এ সকল খাবার কিনে নিয়ে এসে খাওয়াতাম বাজার থেকে। তার কয়েকদিন পরে আমাদের বাড়ির পাশ থেকে একটা পাকা তেলাকুসার ফল নিয়ে এসে দিয়েছিলাম আমার টিয়া পাখি খেয়েছিল। তারপর থেকে আমি বন জঙ্গলে তেলাকুসার ফল খুঁজে নিয়ে এসে আমার টিয়া পাখিকে দিতাম বেশ মজা করে খেত। এভাবে আমি টিয়া পাখি পালন করেছিলাম।
আমার টিয়া পাখির বয়স যখন ছয় থেকে সাত মাস তখন দেখে হঠাৎ করে আমার টিয়া পাখি মিঠু বলে ডাক দিয়েছে। আমার টিয়া পাখি যেদিন প্রথম ডাক দিয়েছিল সত্যি সেই দিন আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম এতটাই খুশি হয়েছিলাম কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। এভাবে আস্তে আস্তে টিয়া পাখি আমার নাম ধরে ডাকা শিখে যায়। আমাদের বাড়িতে যদি কোন আত্মীয় আসতো টিয়া পাখি তাকে স্বাগত জানিয়ে বসতে বলতো। আমার টিয়া পাখি খাঁচায় বন্দি করা থাকতো। সাঈদ ভাই টিয়া পাখি সাঈদ ভাইয়ের এখন পুরো শিকারি হয়ে গেছে তাই পিঠে নিয়েছে সাঈদ ভাই। সাঈদ ভাইয়ের টিয়ার পাখি ও বেশ দারুন ভাবে কথা বলতে পারে দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়ে ছিলাম।
গত দুই বছর আগে আমি যখন এসএসসি পরীক্ষার জন্য বাইরে কোচিং করতে গিয়েছিলাম। তখন টিয়া পাখি আগের মত আর যত্ন পেয়েছিল না। তখন একদিন রাতে আমার সেই টিয়া পাখির বেজি এসে কামড়ে দিয়েছিল। বিজিতে কামড়ানোর পর ঠিক দুই থেকে তিন দিন পাখিটি জীবিত ছিল। তারপর হঠাৎ করে আমার সেই টিয়া পাখিটি মারা যায়। আসলে সেই দিন আমি যে কত কষ্ট পেয়েছিলাম বলে বোঝানো যাবে না। মনে হয়েছিল আমার সবথেকে কাছের মানুষ মারা গেলে যেমন কষ্ট হয় ঠিক তেমনি কষ্ট পেয়েছিলাম। আসলে ছোট্ট থেকে নিজের হাতে খাইয়ে বড় করেছিলাম এবং পাখিটি আমার নাম ধরে ডাকতো সত্যি বাড়িতে আসলে ভালো লাগতো সেই সময়। সেদিন এই কথাগুলো মনে পড়েছিল সাঈদ ভাইয়ের পাখি দেখে। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
সত্যি ভাইয়া আপনার টিয়া পাখির গল্পটি পড়ে আমার কিন্তু বেশ খারাপ লাগলো। সেই ছোটবেলা থেকে পুষে বড় করা। কথা শেখানো সহ সম্পন্ন মিশে গিয়েছিলেন আপনার পোষা টিয়া পাখির সাথে। আমি বুঝতে পারছি সেই পাখিটি যখন মারা গেল তখন আপনার মনের অবস্থা কি হয়েছিল। সাঈদ ভাইয়ের কাঁধে টিয়া পাখিটি দেখে আপনার সে হারানো টিয়া পাখিটির কথা মনে পড়ে গেল। কথাগুলো জানতে পেরে আমারও বেশ খারাপ লেগেছে। অনেক সুন্দর ছিল আজকের পোস্ট টি ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি সাইদ ভাইয়ের কাঁধের টিয়া পাখিটি দেখে আমার সেই আগের টিয়া পাখির কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। সত্যিই সেদিন বেশ দুঃখ পেয়েছিলাম সেই কথাগুলো মনে পড়ার কারণে।
টিয়া পাখিটি দেখতে অনেক সুন্দর। এরকম পাখি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। জেনে ভালো লাগলো আপনারও টিয়া পাখি ছিল। তবে কত দু'বছর আগে এসএসসি পরীক্ষার জন্য বাইরে গিয়েছিলেন কোচিংয়ে তখন টিয়া পাখিটি যত্ন না পাওয়ার কারণে বেজিতে কামড়ে দিয়েছিল এবং ২-৩ দিন পরে সেটা মারা যায়। ভীষণ খারাপ লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পোস্টি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
টিয়া পাখি পোষার আমার ও খুব সুখ ছিলো তবে হয়ে ওঠেনি। আপনার টিয়া পাখি ছিলো এবং সেই টিয়া পাখির যত্ন নেয়ার গল্প গুলো তুলে ধরেছেন পোস্টে যা বেশ ভালো লাগলো।কষ্ট হলো টিয়া পাখিকে বেজি এসে কামড়ে দিয়েছে শুনে।সখের পাখির এমন করুন অবস্থা দেখে অনেক কষ্ট হয়েছিল নিশ্চয়ই। অবশেষে মারা গেছে আপনার মিঠু ডাকা টিয়া পাখিটি।ধন্যবাদ সুন্দর টিয়া পাখির পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে শখের পাখি যখন মারা যায় সত্যি নিজের কাছে বেশ খারাপ লাগে।
https://x.com/GKibreay/status/1733005484473680161?s=20