ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১১ তম পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১১ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে সকাল বেলায় কোচিংয়ে যাওয়ার সময় আমরা যেই বাসে উঠেছিলাম সেই বাস মাঝ রাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেখানে অনেক সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু বাস ঠিক করতে পেরেছিল না। পরবর্তীতে আমরা আবারও পরের বাসের জন্য দাড়িয়ে সেখানে অপেক্ষা করতে থাকি। কিছু সময় পর বাস আসলো আবারো আমারও সেখান থেকে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং এ গিয়ে পৌঁছানোর পরে কোচিং শেষ করে আবারও বন্ধুদের সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়িতে বসেছিলাম। কিছু সময় পরে বাড়িতে আত্মীয় এসেছে তাই তাকে নিয়ে একটু আমাদের এলাকায় বাইক নিয়ে ঘোরাফেরা করেছিলাম। তাই আপনাদের মাঝে তেমন ভাবে যুক্ত হতে পারছি না। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। তবে চলুন আজকের পর আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে একটি গ্রুপ ফটো শেয়ার করেছি। আমি আপনাদের মাঝে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সিলেট ভ্রমণের পর্ব গুলো শেয়ার করে আসছি। আসলে আমরা সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম মূলত আমাদের কলেজ থেকে। আমাদের কলেজের কয়েকজন স্যার এবং স্যারের স্ত্রীসহ আমরা বন্ধুবান্ধবরা মিলে সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আসলে সিলেট ভ্রমনে আমরা সকলে মিলে বেশ মজা করেছিলাম। আসলে যে কোন জায়গা ভ্রমণ করলে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে তবে আমি একটু ঘোরাঘুরি করতে বেশি পছন্দ করি।

আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারো আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আশা করি আপনারা সবাই চেনেন প্রথম ছবিটি আমার বন্ধু মোঃ পারভেজ হোসাইনের। আসলে কলেজ লাইফে আমার সব দেখে কাছের বন্ধু। কলেজ থেকে যদি কোথাও নিয়ে যায় তবে আমরা দুজন যাওয়ার চেষ্টা করি যে কোন প্রতিযোগিতায় হলেও আমরা দুজনই বেশিরভাগ সময় যেয়ে থাকি। আমি যেখানে বসে ছবি তুলেছি আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার মাথার উপরে অনেক সুন্দর হবে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। আসলে জাফলং আমরা যখন গোসল করছিলাম তখন কিছুটা ইন্ডিয়া সীমান্তের মধ্যে প্রবেশ করে ফেলেছিলাম। এই ঝুলন্ত ব্রিজ মূলত ইন্ডিয়ার সীমান্তের মধ্যে। কিন্তু সেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী ছিল। আসলে সিলেট ভ্রমণে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল প্রত্যেক জায়গায় আমরা গোসল করার মতো জায়গা পেয়েছিলাম।

আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। জাফলং ভ্রমন শেষে আমরা আবারও আমাদের বাসে উঠে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরে আমরা ইন্ডিয়ার সীমান্ত রাস্তা দেখতে পেয়েছিলাম। সেখান থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর যেতে হলে নৌকায় অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে সেখানে নৌকা নিয়েছিলাম তারপরে নদীর মধ্যে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। বন্ধুরা মিলে নৌকায় উঠে আমরা সকলে বেশ আনন্দ উদযাপন করেছিলাম। নৌকা থেকে ওপারে নামার পর আমরা অনেক সুন্দর একটি ঘোড়া দেখতে পেয়েছিলাম। চাচার সাথে কথা বলেছিলাম ঘোড়ার পিঠে উঠলে ১০০ টাকা করে দিতে হবে । কিন্তু ঘোড়ার পিঠে উঠতে আমরা সকলে ভয় পেয়েছিলাম তাই কেউ উঠেছিলাম না। তারপর সেখান থেকে আরো অনেক সময় পায়ে হেটে যেতে হয়েছিল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারো দুইটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গিয়ে পৌঁছানোর পরেই সেখানে গোসলের জন্য নেমেছিলাম। আসলে নদীর পানি এত পরিষ্কার এর আগে আমার জানা ছিল না। সেখানে মূলত পাহাড় ছিল দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। সেখানে পানির স্রোত গতিময় ছিল। পানির মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালে মনে হচ্ছে আমাকে ঠেলে ভোগে নিয়ে চলে যাবে। তবে সেখানে গোসল করে আমরা সকলে বেশ মজা পেয়েছিলাম। গোসল শেষে আবারো ড্রেস চেঞ্জ করে আমরা ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। ছবি তোলা শেষে আমরা সেখানে মেলাতে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।