আপুর কাছ থেকে উপহার পাওয়া জীবনের প্রথম ল্যাপটপ।

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর কাছ থেকে উপহার পাওয়া জীবনের প্রথম ল্যাপটপ। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু লেখাপড়া করলাম। তারপরে কম্পিউটার শেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কম্পিউটার শেখা শেষ করে আজকে একটি ল্যাপটপ সারতে গিয়েছিলাম। আসলে আমার দুলাভাই একটি এনজিও কোম্পানির চাকরি করে। আপু আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ল্যাপটপ নিয়েছিল প্রথমে তারপরে আমাকে দিয়েছে। ল্যাপটপের একটু প্রবলেম ছিল আমি দোকানে গিয়ে ঠিক করিয়ে নিয়ে আসি। আজকে থেকে জীবনের প্রথম ল্যাপটপ। আসলে ল্যাপটপ সেরে বাড়ি আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে যায়। প্রথম ল্যাপটপ পেয়ে আজকে একটু স্টিমেটে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। তাও শেষের দিন বলে কথা কাজ না করলে তো আর হবে না। তবে চলুন নিচে শেয়ার করা যাক......

আমার ল্যাপটপের নাম হচ্ছে ডেল। আপনার উপর ছবি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। দোকানে ল্যাপটপ দেখানোর পরে আমার ল্যাপটপের উপরে একটি সাদা কাগজের সিল মেরে দেয়। আমার নাম এবং আমার নাম্বার লিখে ওখানে। আমি বেলা দশটার দিকে গিয়েছিলাম ল্যাপটপ সারার জন্য। আমাকে বলল আপনি দুইটার দিকে দেখা করবেন। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে বলে চলে আসলাম।

আমি বেলা ১:৩০ মিনিটে এসে দেখি আমার ল্যাপটপ সারতেছে। তখন আমাকে বলল আপনি চেয়ারে বসেন একটু পরেই ঠিক করে দিচ্ছি। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুললাম আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমার ল্যাপটপ অনেক মনোযোগ সহকারে সারছে। আসলে ভাই যখন ল্যাপটপ সারতে ছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম পিছন দিক থেকে। আমার ল্যাপটপে একটু হার্ডডিস্কের সমস্যা ছিল।

এই ল্যাপটপ সারার দোকানটি হচ্ছে আমাদের গাংনী বাজারে। আমি মনে করি আমাদের গাংনী বাজারের মধ্যে সবথেকে বড় দোকান এটি। ঠিকানা আমি আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। গাংনী বাজার স্মরণিকা শপিংমল দ্বিতীয় তালা। আপনাদের যদি কখনো কারো প্রয়োজন হয় তাহলে আসতে পারেন।

এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পিছনে দুইজন লোক দাঁড়িয়ে কথা বলছে। যিনি মাস্ক পড়ে আছেন তার নাম হচ্ছে রনি ভাই। আসলে এই কম্পিউটার সারার দোকান হচ্ছে রনি ভাইয়ের। আসলে রনি ভাই ছিল এর আগে ঢাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে। তিনি সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। তার সাথে কথা বলে জানতে পেরেছিলাম।

সবার শেষে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার ল্যাপটপ অন হয়েছে। আমি বাড়িতে আসার পরে ল্যাপটপের ছবি তুলেছিলাম। বাড়িতে এসে যখন প্রথম ল্যাপটপ আমি চালাই তখন নিজের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আশা করি আর অল্প কিছুদিন পর থেকেই ল্যাপটপে স্টিমেট এর কাজ শুরু করে দিব। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।