লাইফ স্টাইল // মামা ভাগ্নে বড়া খাওয়ার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৫-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মামা ভাগ্নে বড়া খাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আসলে আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি মোবাইল ফোনে কিছু চার্জ নেই তারপরে মোবাইল ফোনটি চার্জ দিয়ে একটু বাইরে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম। তারপর এসে আপনাদের মাঝে কিছু কমেন্ট করার জন্য বসে ছিলাম। তারপর সকালবেলায় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বড় কাকাদের বাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে গত কয়েকদিন আগে বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম আপুর তাই সব থেকে বেশি ব্যস্ত ছিলাম। বাড়িতে এসে অনেকদিন পর বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম একটু পুকুর পাড়ের দিকে। তারপরে বাড়িতে ফিরে আবারো লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বসে ছিলাম তাই লেখাপড়ার মাঝে আবারো আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখতে বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
কিছুদিন আগে আমি বিকেল বেলায় বাইক নিয়ে নানি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নানি বাড়িতে গিয়ে পৌঁছানোর পরে দেখি তুহিন মামা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। নানি বাড়ির মধ্যে না গিয়েই আমি এবং তুহিন মামা দুজন মিলে বড়া খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখান থেকে। আসলে আমাদের গাংনী থানার মধ্যে সবথেকে ভালো বড়া তৈরি করা হয় রায়পুর বাজারে। আমাদের এলাকার সবথেকে নামকরা বড়ার দোকান। যে লোকটি বড়া তৈরি করেছে এই লোকটির নাম হচ্ছে হায়দার। বড়ার দোকানে ঢোকার পরে সেখানে কয়েকজন বসে বড়া খাচ্ছিল আমি তাদের ছবি অনেক সুন্দর ভাবে আমার মোবাইলে ক্যামেরায় বন্দি করেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায় দিন বড়া থেকে এখানে এসে থাকি ।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি বড় প্লেটের উপরে আলুর চপ তৈরি করা হয়েছে। চপ তৈরি করার আগ মুহূর্তে আলু ছানার ছবি তুলে অনেক সুন্দর ভাবে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমার কাছে বেগুনের চপের থেকে আলুর চপ খেতে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমরা সেই দিন আলুর চপ খেয়েছিলাম না মামা-ভাগ্নে মিলে বেশ মজা করে বড়া খেয়েছিলাম শুধুমাত্র। আসলে তেলের জিনিস বেশি খেলে আমার একটু গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই বড়া খাওয়ার আগে একটি গ্যাসের বড়ি খেয়ে ছিলাম।
এবার আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন হায়দার মিয়া অনেক সুন্দর ভাবে বড়া ভাজতে ছিল তখন আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমাদের এলাকার সব থেকে ভালো বড়া আলা নামে পরিচিত। বড়া বিক্রয় করে তিনি আমাদের এলাকাতে সর্বোচ্চ একটি বাড়ি তৈরি করেছে এবং মোটর বাইক কিনেছে সত্যিই বেশ প্রশংসনীয়। আসলে হায়দারের বড়া খেতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে থাকে। অন্য দোকানের বড়ার থেকে সব সময় সোয়া পতি ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করে হায়দার। তাও বড়া ভাজি করে অসমোর হয়ে যায় এত ভিড় থাকে সব সময়। অনেক মানুষ কয়েক খোলা আগে থেকেই সিরিয়াল দিয়ে রাখে এই বড়া নেওয়ার জন্য। সত্যি আমার কাছে বেশ ভালই লাগে এই বড়া খেতে।
আমরা সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট দাড়িয়ে থেকে সিরিয়াল দেওয়ার পরে মাত্র ২০০ গ্রাম বড়া পেয়েছিলাম। ২০০ গ্রাম বড়ার দাম নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে মাত্র ৬০ টাকা। আমরা মামা ভাগ্নে বড়া নিতে চেয়েছিলাম ৪০০ গ্রাম কিন্তু এত লোকের ভিড় থাকার কারণে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বড়া দিতে পেরেছিল না। যে ছেলেটি বড়া মাপছে এটি হচ্ছে হায়দার মিয়ার ছেলে আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আসলে এখানকার বড়া খেতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে থাকে। বেশিরভাগ সময় নানি বাড়ি গেলে এখানে বড়া খেতে যাওয়া হয় আমি মোস্তাফিজের মামা এবং তুহিন মামা তিনজন মিলে।
সবার শেষে যখন বড়া কেনা শেষ হয়েছিল আমরা মামা ভাগ্নে বাইক নিয়ে আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি ফেরার পথে মাঠের মধ্যে একটি নতুন ব্রিজ হয়েছিল সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা মামা ভাগ্নে বড়া খেতে ছিলাম এবং গল্প করতেছিলাম। সত্যি রাস্তার পাশে বাইকে বসে বড়া খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুণ। আসলে মামা আমার থেকে বয়সে অনেক বড় কিন্তু আমরা সব সময় বন্ধুর মত চলাফেরা করি। সত্যি মামা ভাগ্নের মধুর সম্পর্ক কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গরম গরম বরা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছু কিছু এলাকায় কিছু খাবার অনেক বেশি বিখ্যাত এবং মজার থাকে সেগুলো খেতে যেতে বেশ ভালোই লাগে। আর বাইক থাকলে হুটহাট করে যেখানে সেখানে চলে যাওয়া যায় এটা অনেক বড় একটি সুবিধা। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি গরম গরম বড়া খেতে সত্যি বেশ ভালো লাগে।
বড়া খাওয়ার জন্য ভাগ্নে আর মামাকে তো বেশ ভালোই সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে ৷ বোঝাই যাচ্ছে তাহলে হায়দার মিয়া মামার বড়ার দোকার কতই জনপ্রিয় আপনাদের ওদিকে ৷ আসলে বড়া আমারও ভীষণ পছন্দের একটি খাবার ৷ বাজারে গেলেই বড়া খাওয়া হয় ৷ যাই হোক আপনার মামা আর ভাগ্নের বড়া খাওয়ার গল্প পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে বড়া খাওয়ার জন্য আমরা সেখানে অনেক সময় অপেক্ষা করেছিলাম । তারপরে বাড়া পেয়েছিলাম আমারা।
মামা ভাগ্নের খাওয়াদাওয়া তো বেশ ভালোই হয়েছে।আসলে কোন কোন দোকানের বড়া খুব জনপ্রিয় হয়ে থাকে।সেরকম হায়দারের বড়াও অনেক জনপ্রিয় জেনে বেশ ভালো লাগলো।রাস্তার পাশে গল্প ও বড়া খাওয়ার অনুভূতি অনেক ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহুত শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আমাদের এলাকার বেশ জনপ্রিয় বড়া হায়দারের।
আমাদের এলাকার বিখ্যাত একজন বড় ব্যবসায়ীর নাম হচ্ছে হায়দার। হায়দারের বড়া খেতে কতটা ভালো লাগে তা আপনাকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। মামা ভাগ্নির দেখছি ভালোই বড়া খেতে চলে গিয়েছিলেন রায়পুর বাজারে।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
Twitter link
বেশ ভালোভাবে মামা ভাগ্নে মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন৷ হায়দারের বড়া অনেক জনপ্রিয় জেনে খুব খুশি হলাম৷ রাস্তার পাশে আড্ডা দেওয়ার মুহুর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। বড়া খেতে আমিও অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি । অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি রাস্তার পাশে বড়া খেতে বেশি পছন্দ করেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
মামা ভাগ্নে মিলে গরম গরম বড়া খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে সময় পেলে এরকম যদি গরম গরম বড়া খেতে যাওয়া হয় তাহলে বেশ ভালোই লাগে। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। দারুন ভাবে প্রত্যেকটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন এবং আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আসলে আমরা মামা-ভাগ্নে যেকোনো জিনিস যদি একসাথে করে থাকি তাহলে সত্যি বেশ ভালো লাগে।
হায়দার মিয়ার বড়া ভাজা দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছে করছে ভাই। বিশেষ করে শীত কালে এই বড়া গুলো খেতে বেশি মজা লাগে। তাছাড়া গ্রামের জিনিষে কোন জামেলা নেই। মামা ভাগ্নে দারুন সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি শীতকালে যে কোন ভাজা জিনিস খেতে বেশি ভালো লাগে তবে বড়া বেশি ভালো লাগে।