লাইফ স্টাইল // কৃষ্ণ জুয়েলার্স হালখাতা এক দিন
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কৃষ্ণ জুয়েলার্স হালখাতা এক দিন । আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথম থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে অল্প একটু লেখাপড়ার জন্য বসে ছিলাম। গতকাল রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা খেলেছিলাম তাই শরীর প্রচন্ড ব্যথা আজকে। সকাল বেলায় খাওয়া দাওয়া শেষ করেই প্রথমেই প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট থেকে একটু মার্কেটের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম দুই বন্ধু মার্কেট করার জন্য। মার্কেট শেষ করে আমি বাড়িতে চলে এসে এবং আমার সেই বন্ধু বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি গাড়িতে উঠেছিল। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে নামাজ শেষ করে খাওয়া দেয়ার জন্য বসে ছিলাম। তখন দেখি আমার মোবাইলে হঠাৎ একটি ফোন এসেছে আমার বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরে আমি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোবাইল ফোনে অনেক জায়গায় ফোন দিলাম কোথাও নেই আমার সেই বন্ধু। বন্ধুর বাবা ফোন দিয়ে আমার কাছে অনেক কান্নাকাটি করছে। বন্ধুকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে অনেক জায়গায় ফোন দিয়ে খোঁজা খুঁজি করার পরে কোন খোঁজ পেলাম না তাই আমি পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আমাদের হালখাতা ছিল কৃষ্ণ জুয়েলার্স। তাই আমি প্রাইভেট পড়া শেষ করে হালখাতার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম গত পরশুদিন। আসলে এখানে নিয়ম আছে হালখাতায় গেলে কার্ড সহ বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া লাগবে। আমি আমাদের হালখাতার কার্ড বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে একটি স্বর্ণকারের দোকানে হালখাতা মানে অনেক মানুষের সমাগম এবং অনেক টাকা পয়সার ব্যবধান। কিছুদিন আগে আমার আপু একটি চেন বানিয়েছিল এই দোকান থেকে তাই সেখানে কিছু টাকা বাকি ছিল সেগুলো আমি দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে স্বর্ণকার আমার হাতে হালকা তার কার্ড দেখে আমাকে বলছে রবিউল তোমার কে হয়। আমি যখন বলেছিলাম আমার আব্বু হয় তখন আমাকে বেশ ভক্তি সোহাগ করেছিল। আমাকে বলছিল তোমার আব্বা একজন অনেক ভালো মানুষ অনেক ছোটবেলা থেকেই তোমার আব্বার সাথে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু সকাল বেলায় গিয়েছিলাম তাই তেমন একটা ভিড় ছিল না অনেক সময় ধরে কথা বলেছিলাম স্বর্ণকারের সাথে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আমার মানিব্যাগ থেকে পনেরশো টাকা বের করে স্বর্ণকারকে দিয়েছিলাম বাকি পরিশোধ করার জন্য। তারপরে স্বর্ণকার একটা খাতা বের করে সেখানে আমার আব্বুর নামে টাকাটা জমা করেছিল। তারপরে আমি যে কার্ড নিয়ে গিয়েছিলাম ওই কার্ডের উপরে একটা সিগনেচার করে দিয়েছিল স্বর্ণকার। আসলে এই স্বর্ণের দোকানটি আমাদের গাংনী বাজারের সবথেকে বড় এবং নাম করা একটি দোকান। আসলে ছোট-বড় সবাই এই দোকান চেনে। আসলে এই দোকান থেকে আমার আপুর চেন তৈরি করা হয়েছিল।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন দোকানটি হালখাতের জন্য অনেক সুন্দর ভাবে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। আসলে দোকানটির মধ্যে আমি যখন প্রবেশ করেছিলাম গাঁদা ফুলের গন্ধে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এমনিতেই গাঁদা ফুল আমি বেশ পছন্দ করি। বেলুন এবং বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে দোকান সাজানো হয়েছিল। দুই দিনব্যাপী এই দোকানে হালখাতা হয়েছিল। সত্যি আমার কাছে সেই দিন বেশ ভালো লেগেছিল দোকানটি এত সুন্দরভাবে সাজানো দেখে।
দোকানে হালখাতার টাকা দেওয়ার পরে দোকানদার আমাকে এক প্যাকেট মিষ্টি দিয়েছিল। আসলে এখানে হালখাতা করলেই সবার জন্য এক প্যাকেট করে মিষ্টি বরাদ্দ করা ছিল। তারপরে আমি সেখান থেকে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আবারো চলে এসেছিলাম। আসলে এইসব ছবিগুলো তুলেছিল আমার খুব কাছের একজন বন্ধু। আশা করি পোস্টি দেখতে আপনাদের সকলের কাছে বেশ ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
হালখাতার মৌসুম আর কিছুদিন গেলেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে প্রতিটা দোকানে। আমি কখনো স্বর্ণকারের দোকানে হালখাতা করিনি । এমনিতে মুদিখানার দোকানে অনেক হালখাতা করেছি । যাইহোক, হালখাতার দোকানের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি । পরিবেশটা খুবই সুন্দর ছিল। যেখানে দেনা থেকে মুক্ত হওয়া যায় আবার মিষ্টি মুখ করা যায়। এটাই হালখাতা করার মধ্যে ভালোলাগা। ভালো লাগলো আপনার হালখাতা করা দেখে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1735313080282980402?s=20