নাটক রিভিউ // সুইট হোম

নাটকের প্রথমেই শুরুতেই নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ রোমান্টিক লেগেছিল। আসলে নাটকে যদি নায়ক এবং নায়কার প্রথমেই বিয়ে হয়ে যায় তাহলে সেই নাটকটি সত্যি বেশ দারুন লাগে। এই নাটকটির শুরুতেই নায়ক এবং নায়কার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। নায়ক আলমারি থেকে একটি শার্ট পড়ার জন্য অনেকগুলো শার্ট বের করেছিল এবং সব শার্ট এলোমেলো করে রেখেছিল। নায়কা পরবর্তীতে জিজ্ঞেস করলে তাদের মধ্যে বেশ রোমান্টিক কিছু কথাবার্তা হয়। এভাবেই এভাবেই দুজনের মধ্যে বেশ রোমান্টিক একটি ভাব সৃষ্টি হয়। তারপরে নায়কা নায়কের হাত ধরে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের করে দেয়। আসলে নাটকটি আমার কাছে দেখতে বেশ দারুন লেগেছিল।

বিয়ের পরে নায়কা শশুর শাশুড়ির সাথে বেশ ভালোভাবে সংসারের দায়িত্ব সবকিছু মানিয়ে নিতে শিখে যায়। বিয়ের কয়েক দিন পরে নায়কা রান্না করার জন্য তার শাশুড়িকে বলে কিন্তু শাশুড়ি রান্না করতে বারণ করে বলে আমি বুড়ো হয়ে গেলে তখন তুমি রান্না করবে। তারপরে শশুর মশাই কে চা বানিয়ে খাওয়ায় শ্বশুরমশাই বলে বাহ দারুন চা বানাতে পারো। তারপরে তার হাজবেন্ড অফিস থেকে ফেরার আগেই সাজগোজ এর জন্য বসে গিয়েছে কারণ বাইরে ঘুরতে যাবে বলে। কিন্তু নায়কের বাসায় ফিরতে অনেক দেরি হয়ে যায় তাই আর বাইরে বের হওয়া হয় না। এই বিষয় নিয়ে নায়কা অনেক রাগ করে। রাতে শোয়ার সময় রাতে ছটফট করছিল। এই সকল বিষয় নিয়ে রাতে দুজনের মধ্যে অনেক কথা হয়। আসলে যেকোন নাটক দেখতে হলে রোমান্টিক ভাব আনতে হলে নাটকে এমন কিছু অভিনয় সত্যি বেশ দারুন লাগে।

রাতে অনেক চেষ্টার পরে নায়ক নায়কার রাগ ভাঙ্গাতে পারছিল না। অবশেষে নায়কা বলে বাড়ির বউকে তো আই লাভ ইউ বলা যায় না তোমার গার্লফ্রেন্ডের দের আই লাভ ইউ বলতে বলতে আই লাভ ইউ গোডাউন ফাঁকা হয়ে গেছে। অবশেষে নায়ক আই লাভ ইউ বলে তার বউকে জড়িয়ে ধরে সত্যি মুহূর্তটি দেখতে আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল। নায়ক বাজার থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে আসে নায়কা সেগুলো রান্না করে। পরবর্তীতে পরিবারের সবাই যখন একসাথে খেতে বসে সত্যিই বেশ দারুন। আসলে এখনো যাদের যৌথ পরিবার আছে একসাথে খেতে বসার মজাই আলাদা। আসলে নাটকটি থেকে আমাদের অনেক শিক্ষা নিয়ে কিছু বিষয় রয়েছে।

নায়ক একদিন হঠাৎ করে অফিস থেকে ফোন দিয়ে নায়কাকে বলে আজকে তুমি রেডি হয়ে থাকো তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। তারপরে নায়ক বাড়িতে এসে নায়কাকে নিয়ে যায় সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দুচোখ নায়ক ধরে রাখে তখন নায়কার। তখন নায়কাকে সারপ্রাইজ দেয় তাদের বিয়ের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। ভালোবাসা তো একে অপরের প্রতি এমন হওয়া উচিত আমি মনে করি। সত্যি এই নাটকটি দেখে আমি বেশি মুগ্ধ হয়েছি।

একদিন হঠাৎ করে নায়কার মোবাইলে একজন ফোন দেয়। নায়কা মোবাইল ফোন রিসিভ করার পরে বুঝতে পারে তার আগের প্রেমিকা। নায়কা তখন জিজ্ঞেস করে তুমি ফোন দিচ্ছ কেন আরো অনেক কিছু কথাবার্তা হয়। নায়কার সেই বয়ফ্রেন্ড এভাবে ফোন দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। নায়কা সবকিছুর প্রেসারে খুব টেনশনের মধ্যে পড়ে এবং অনেক কান্না করতে থাকে। অবশেষে তার সেই বয়ফ্রেন্ড কিছু টাকা আবদার করে নায়কা টাকা দিতে রাজি হয় অবশেষে কিছু টাকাও দেয়। এভাবেই দিনের পর দিন নায়িকাকে ব্ল্যাকমেল করে চলছে।

অবশেষে নায়ক সবকিছু জানতে পারে পরে সেই ছেলেটিকে নায়ক ধরে ফেলে তারপরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারপরে নায়ক বলে তুমি আমাকে এই বিষয়ে আগে বলতে পারতে আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তারপরে নায়কা বলে আমি যদি তোমাকে এই বিষয়ে বলতাম তাহলে তুমি খুব কষ্ট পেতে। আসলে নায়ক তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে দুজনেই বেশ কান্না করতে থাকে। তারপরে একটি বৃষ্টিভেজা গানের মাধ্যমে নাটকটি শেষ হয়। আসলে গানটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে বেশ রোমান্টিক একটি নাটক মনে হয়েছে।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।