লাইফ স্টাইল // কাকার বিয়েতে মজার কিছু অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬-১১-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কাকার বিয়েতে মজার কিছু অনুভূতি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে সেখান থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে মার্কেট করার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। দুইটা গেঞ্জি এবং দুইটা প্যান্ট ক্রয় করলাম বাজার থেকে তারপরে সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাজারে প্রায় বাসের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বাস পেয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে তারপরে দেখি আমার দুলাভাই এসেছে। তারপরে আমি এবং ভাইয়া দুজন মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। তারপরে বেশ কিছুক্ষণ ভাইয়ের সাথে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে ভাইয়া আবার চলে গেল আমিও পোস্ট লেখার জন্য আপনাদের মাঝে বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আমার কাকার বিয়ে হয়েছিল গত শুক্রবারের দিন। যেহেতু জুম্মার দিন ছিল তাই সকলে নামাজ আদায় করেছিলাম। বাড়ি থেকে বারোটার দিকে বের হয়েছিলাম বিয়ে খেতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তারপরে সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরেই দেখি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে প্রায় একটা বেজে গিয়েছে। তারপরে সেখানে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম নামাজ আদায়ের জন্য। নামাজ আদায় শেষ করে এসে খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা বসে ছিলাম। আমরা প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন বরযাত্রী গিয়েছিলাম। আমাদের সাথে মুরুব্বী মানুষ ছিল অনেক। আমরা যেহেতু একটু আগেই নামাজ আদায় করে খাওয়া-দাওয়ার জন্য বসে গিয়েছিলাম কিন্তু তাদের আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। তাই সেই মুরুব্বিদের জন্য আমরা সেই টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে থাকি। সেখানে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমাদের লোকজন যখন সবগুলো গুছিয়ে একত্রে হল তারপরেই আমরা খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছিলাম।
প্রথমে আমরা সেখানে নাস্তা খেয়েছিলাম। নাস্তা খাওয়ার কিছু সময় পর বিরত ছিল। তারপরে আমরা সবাই মিলে আমার কাকার সাথে বসে বেশ কিছু ছবি উঠিয়ে ছিলাম। আসলে আমার কাকা একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাই ছুটি খুবই কম বিয়ে শেষে আবারো চলে যাবে। পাশে যেই ছেলেটি বসেছে সেটি হচ্ছে আমার কাকা আপনারা সবাই চেনেন গত কয়েকবার আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ফটোগ্রাফি পোস্টে আমার কাকার ছবি। কাকার সাথে সেই খানে বসে আমরা বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া আগ পর্যন্ত।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খাওয়া-দাওয়ার আগ মুহূর্তে আপনাদের মাঝে ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে বরযাত্রীদের জন্য বাড়িতে বসে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেহেতু হালকা শীত তাই সেখানে খুব একটা বেশি গরম অনুভব করতে পেরেছিলাম না। খাওয়া-দাওয়া কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা তখন শুরু করেছিলাম। আমাদের টেবিলে যেই লোক খাওয়া-দাওয়া দিচ্ছিল সেই লোক মাংসের ঝোল আমার এক বন্ধুর টি-শার্ট এর ফেলে দিয়েছিল সত্যি তখন বেশ খারাপ লেগেছিল। তারপর আমার সেই বন্ধু সেখান থেকে উঠে গিয়ে টি-শার্ট পরিষ্কার করে আবারো খাওয়া-দাওয়ার জন্য সেখানে বসে। আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম আমার সেই বন্ধু মনে মনে একটু কষ্ট পেয়েছিল। তারপরে আমরা খাওয়ার সময় আবারও সবাই হাসি আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা চারজন একটা টেবিলে বসে ছিলাম খাওয়া-দাওয়ার জন্য। সাথে আমার দুইটা বন্ধু এবং আমার চাচা রয়েছে। আসলে আমার দুইটা বন্ধু অনেক খেতে পারে সেই দিন আমি দেখেছিলাম। আমার একজন বন্ধু প্রায় অনেক দই খেয়ে ফেলেছিল সত্যি দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। প্রায় এক কেজি দই খেয়ে ফেলেছিল। বাড়ি ফেরার সময় আমাদের লোকের সংখ্যা বেশি হয়ে যায় যেহেতু আমার কাকার নানি বাড়ি ছিল সেখানে কাকার নানি বাড়ি থেকে বেশ কয়েকজন আমাদের সাথে আসবে এজন্য। তারপর আমি আমার বাইকে চারজন নিয়ে এসেছিলাম। এভাবে সবাই সবার বাইকে প্রায় তিন চারজন করে নিয়ে এসেছিল। যেহেতু আমাদের গ্রামের রাস্তা তাই তেমন একটা সমস্যা হয়েছিল না। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
আপনার কাকার বিয়ের দারুণ অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।খাওয়া দাওয়ার আগের মূহুর্তের ছবি গুলো বেশ ভালো হয়েছে। বিয়ে মানেই হৈ-হুল্লোড়। বিয়ে মানে খাওয়া দাওয়া।আসলে অনেকে আছে অনেক খেতে পারে।সব মিলিয়ে ভালো লাগলো পোস্ট টি।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
কাকার বিয়েতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন মনে হচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেকটা বোঝা যাচ্ছে। খাওয়া দাওয়া করার সময় আপনার বন্ধুর টি-শার্টে মাংসের ঝোল পড়ে গিয়েছিল বিষয়টা সত্যি বেশ হাস্যকর। তবে মাঝে মাঝে ভুলবশত কারণেও এরকম হয়ে যায়। যাইহোক পরবর্তীতে টি-শার্ট পরিষ্কার করে আবার খাওয়া দাওয়া শেষ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।
বন্ধর টি-শার্টে যখন মাংসের ঝোল পড়েছিল বন্ধুর মুখ মলিন হয়ে এসেছিল সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল সেই সময়।
আসলে বিয়ের আনন্দময় মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের হয়। পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা কাকা সরকারি কর্মকর্তা তাই সে অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ে করে আবার চলে যাবে, তবে আপনার কাকার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা রইল। সে যেন এই নতুন জীবনে আরও আনন্দময় ও নতুনভাবে জীবন করতে পারে তার জন্য দোয়া রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার সময় অনেক সময় মাংসের ঝোল নতুন জামা কাপড়ে পড়ে যায়।যাইহোক বিয়ে বাড়িতে সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার বন্ধু এবং কাকা মিলে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আসলে বিয়ে বাড়িতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু বন্ধুদের সাথে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম কাকার বিয়েতে।
আপনার এক বন্ধু প্রায় এক কেজি দই খেয়ে ফেলেছিল, শুনে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম ! দই আমিও ভালো খাই তবে এত বেশি কোনো দিনও খেতে পারবো না আমি। কাকার বিয়েতে সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই।
আসলে সেই বন্ধু বলছিল আমি এখনো খেতে পারবো কিন্তু মানুষের চক্ষু লজ্জাই খেতে পারলাম না।
হিহি🤭🤭 ওরে বাবা!.. অনেক বড় খাদক তো তাহলে আপনার সেই বন্ধুটি। মানুষের চক্ষু লজ্জা থাকাটা তাহলে ভালো ভাই, বেশ কিছু খাবার বেঁচে গেছে বিয়ে বাড়ির।🤭🤭
বিয়ে মানেই আনন্দের।আপনার কাকার বিয়েতে আশা করি দারুণ সময় কাটিয়েছেন।আপনার বন্ধুর দই খাওয়ার বিষয়টি বেশ মজা লাগলো।তবে টি-শার্ট এ মাংসের ঝোল পড়ার বিষয়টি জেনে খারাপ লাগলো,যদিও এগুলো ইচ্ছেকৃত হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু পোস্টি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত তুলে ধরার জন্য।