জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

হ্যালো.........
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৫-০১-২০২০)

IMG20231222161430.jpg

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্ব। আজকে সকাল থেকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ভোর পাঁচটার দিকে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম। কয়েকদিন আগে থেকে আমাদের কলেজে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে এই কারণে সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে এখন। তাও চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে অল্প কিছু সময় যুক্ত হওয়ার জন্য। সকালবেলায় হালকা নাস্তা খেয়েই পরীক্ষার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষ হয়েছে আজকে বেলা একটার দিকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি অনেক মানুষের ভিড় জমেছে প্রথম বাস মিস করে ফেলেছিলাম। দ্বিতীয় বাসের বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........

IMG20231222160650.jpg

আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্ব। আসলে বিগত তিনটি পর্ব আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আশা করি সেগুলো দেখতেও বেশ ভালো লেগেছিল। বেশ কিছুদিন আগে আমার সমবয়সী আমার আপুর বিয়ে হয়েছে আসলে বিয়েতে আমি প্রথম থেকে উপস্থিত ছিলাম বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম। আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কিছু মেয়েরা অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীরের থালা গুলো নিয়ে আসছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সবাই একই রকম শাড়িতে সেজেছিল বলে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল দেখতে।

IMG20231222162105.jpg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার আপু ক্ষীর খাওয়ার জন্য অনেক সুন্দরভাবে ক্ষীরের স্টেজে বসে ছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপুর দুই পাশে থাকা দুইটি মেয়েও বেশ সুন্দরভাবে সেজেছিল। বিয়ের তিন দিন আগে আমি এবং আমার দাদী আপুদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আপু মূলত আমার ২৩ দিনের বড়। তাই আমি আপুর সাথে আপনি করে কথা বলতে ছিলাম আপু একটু লজ্জা পেয়েছিল এইসব কথায়। তারপরে আপু আমাকে বলছে আমরা দুজন সমবয়সী তুমি আমাকে তুমি করে বলতে পারো। এভাবেই প্রায় হাসি আনন্দের মাধ্যমে আমরা দিন পার করেছিলাম।

IMG20231222165722.jpg

IMG20231222163313.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে সবাই অনেক সুন্দর ভাবে পর্যায়ক্রমে ক্ষীর খাওয়ে ছিল। প্রথমে ক্ষীর দিয়েছিল আপুর দাদা। আসলে ক্ষীরের অনুষ্ঠানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে উপস্থিত থেকে বেশ সুন্দরভাবে ছবিগুলো আমার মোবাইলে এবং ডিএসএলআর ক্যামেরায় সংগ্রহ করেছিলাম। আমিও আপুকে সেদিন ক্ষীর খাইয়ে ছিলাম। আপুকে ক্ষীর খাওয়ে আমি মাত্র ১০০ টাকা দিয়েছিলাম। আসলে আপুর বিয়েতে আমার সাথে আরও আমার দুইটা ভাই ছিল। আমরা সকলে মিলে অনেক আনন্দ করেছিলাম বলে বোঝানো যাবে না। এমনিতেই বিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়।

IMG20231222172337.jpg

IMG20231222183131.jpg

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান যখন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন ক্যামেরাম্যান অনেক সুন্দর ভাবে আমার মোবাইলে আপুদের সাথে একটি সেলফি উঠেছিল। আমি সেই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপরে ক্যামেরা ম্যানকে সেখানে রেখে আমরা আপুর সাথে সকলে বেশ কিছু ছবি উঠেছিলাম। ছবিগুলো মোবাইলের গ্যালারিতে দেখলে আবারো সেই দিনের আনন্দের স্মৃতির কথা মনে ভেসে ওঠে। আপু গতকালকে আমার কাছে ফোন দিয়েছিল আবারো আপুদের বাসায় যাওয়ার কথা বলল আমিও ভাবছি মডেল টেস্ট পরীক্ষার পর আবারো আপুদের বাসাতে যাব।

IMG20231222181633.jpg

সবার শেষে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আমার এবং আমার আপুর ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমাদের দুজনের বয়সের মাত্র অল্প কিছুদিনের পার্থক্য তাই দুজনের মধ্যেই বেশ মিল রয়েছে। এবং আমাদের দুজনের নামেরও বেশ মিল রয়েছে আমার আপুর নাম হচ্ছে কেয়া। ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানে সন্ধ্যার পরে আমরা সারারাত হাতে মেহেদি দেওয়া থেকে শুরু করে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


AirBrush_20231025182645.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 10 months ago 

বিয়ে মানেই আনন্দ। আপনার সমবয়সী আপুর বিয়েতে বেশ আনন্দ করেছেন বোঝা যাচ্ছে। ক্ষীর খাওয়া অনূষ্ঠানের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপুকে ক্ষীর খাওয়ায়ে ১০০ টাকা দিয়েছেন, যেনে ভালো লাগলো। কামনা করি আপনার আপুর আগামি দিন গুলো আনন্দের হোক। পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের আরেকটি পর্ব আজকে আপনি আমাদের মাঝে আবারও শেয়ার করেছেন। আপনার এই সুন্দর বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্বটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। অনেক সুন্দর তথ্য বহন করেছেন এই পোস্টের মাঝে বিয়ে উপলক্ষে।

 10 months ago 

ধন্যবাদ মামা মতামত শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

বিয়ে মানেই আনন্দ। যাক চতুর্থ পর্ব শেয়ার করে ফেলেছেন এবং আপনি সকাল সকাল উঠতে পড়তে বসেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আপনি যে পোস্টটি করতে পেরেছেন, দেখে খুশি হলাম।আপনার সমবয়সী কিন্তু মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল আসলে মেয়েদের বিয়ে একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায় ছেলেদের বাড়তে সময় লাগে।সকলে কি সুন্দর করে সেজেছে ও ফটোগ্রাফার নিয়ে এসেছেন। বেশ দারুণ একটি মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে পর্যায়কর্মে ক্ষীর খাওয়াচ্ছিল সবাই।আপনিও তার সাথে একটা ছবি তুললেন বাহ!ভীষণ ভালো লাগতেছে ।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই আপনি সকলে একই শাড়িতে সুন্দরভাবে সাজার কারণে দেখতে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।

 10 months ago 

২৩ দিনের বড় আপু,তাহলে তো অনেক বড়! হা হা হা... আসলে পরীক্ষার সময় এরকম বিয়ে বাড়িতে আনন্দ ফুর্তি করা, অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। তবে তারপরেও আপনি যে সময় বের করে কিছুটা উপভোগ করছেন সুন্দর মুহূর্তগুলো, এটাই কম কিসের। আসলে ক্ষীর খাওয়ানোর এই মুহূর্তগুলো গ্রাম অঞ্চলেই বেশি দেখা যায়। শহরে এখন এইগুলো কম দেখা যায়। যাই হোক, আপনি আপুকে ক্ষীর খাইয়ে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন জেনে খুশি হলাম।ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই আপনি 23 দিনের বড় মানে অনেক বড়। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য।

 10 months ago 

23 দিনের বড় মানে অনেক বড়।

ভাই আমি ওই কথাটা তো মজা করে বলেছি। 🤭🤭

 10 months ago 

আপনার আপুর বিয়ের গায়ে হলুদের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে বিয়ে মানে হাসি আনন্দ খাওয়া দাওয়া সকলের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা। আপনি আপুকে ক্ষীর খাইয়ে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন তো বেশ ভালো হলো। নিশ্চয় মুহূর্ত গুলো খুবই দুর্দান্ত ভাবে উপভোগ করেছেন। বিয়ের আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বিয়ে মানে হাসি আনন্দ আসলে বিয়েতে সকলে আমরা বেশ আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিলাম ।

 10 months ago 

মাত্র কয়েকদিনের বড় এমন ভাই বোনের সম্পর্ক কিন্তু বেশ মিষ্টি হয়। যাইহোক দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার আপুর হলুদ অনুষ্ঠানে খুব মজা করেছেন। ক্ষীর খাওয়ানোর মুহূর্তটা একটু বেশি আনন্দের হয়। আপনাকে ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। বিয়ের সহ বৌভাত এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি সমবয়সী বোনের সাথে প্রত্যেক ভাইয়ের সম্পর্ক অনেক মিষ্টি হয়। ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.033
BTC 93401.60
ETH 3112.38
USDT 1.00
SBD 3.04