১০০ তম হ্যাংআউটের অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০৫-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছে ১০০ তম হ্যাংআউটের অনুভূতি। আসলে আজকে সকালবেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। ভেবেছিলাম সকাল বেলায় আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করব। কিন্তু আর পোস্ট করে ওঠা হয়নি। ঘুম থেকে ওঠার পরেই কিছু কমেন্ট করে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া দাওয়ার পরে মাঠে গেলাম ধান কাটতে । তারপরে বেলা নয়টার আগে মাঠ থেকে বাড়িতে চলে আসলাম। এসে একটু বসে সবার সাথে আড্ডা দিলাম। হাত মুখ ধুয়ে রেডি হয়ে গাংনী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পরে বন্ধুর সাথে দেখা করলাম। বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার পরে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম সবাই মিলে একসাথে। সবাই মিলে সেখানে বসে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপরে কলেজ শেষ করে আবারো বাড়িতে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরে এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে গোসল করে রাস্তায় একটু হাঁটতে বের হয়ে ছিলাম। বাড়িতে যাওয়ার পরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারো সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গেল। আবারও আমি আর মোস্তাফিজুর মামা হাটতে বাইরের দিকে বের হলাম। দুজন মিলে বাইরে বসে পোস্ট লেখা শুরু করলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক......
হ্যাংআউটের দিন আমরা সবাই মিলে বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে ছিলাম। আমি মোস্তাফিজুর মামা জাহিদ মামা তুহিন মামা আসলে আমরা এলাকার ইউজাররা সকলেই একসাথেই ছিলাম। বিকেলের দিকে মুস্তাফিজুর মামা আমাকে বলল কিছু একটা বলতে হবে। আমি আর জাহিদ মামা বলার জন্য প্রস্তুতি নিতে ছিলাম। কিন্তু অ্যানাউন্সমেন্ট না দেওয়ার কারণে কিছু বলে ওঠা হয়নি। সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গিয়েছিল। মুস্তাফিজুর মামা আমাকে বলল আজকে হ্যাংআউটে বাইরে যেতে হবে। আমি মোস্তাফিজুর মামাকে বলেছিলাম আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমরা হ্যাংআউটের সময় বাইরে যাব। তারপর আমরা দুজন মিলে বাইরে চলে এসেছিলাম। প্রায় ৯.৪০ এর দিকে বিদ্যুৎ এসেছিল। আমি মামাকে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেছিলাম কিন্তু বাড়িতে যাওয়া হয়নি। দুজন মিলে প্রায় রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত বাইরে বসে ছিলাম। তারপর আমরা বাড়িতে গিয়েছিলাম।
আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি হয়তো ২৭ কিংবা ২৮ তম হ্যাংআউটে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করেছিলাম। প্রায় দীর্ঘ দেড় বছর আমি এই কমেন্টের সাথে রয়েছি। এই কমিউনিটিতে কাজ করার পর থেকেই আমি আমার পরিবারের মতোই একটা পরিবার পেয়েছি এখানে। এখানে মূলত আমার কাজের শুরু মুস্তাফিজুর মামার হাত ধরে। তিনি আমাকে স্টিমেটের সবকিছু শিখিয়েছেন। হ্যাংআউটের দিন সকল এডমিন মডারেটর এবং আমাদের ছোট দাদা ও বড় দাদা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছিলেন কথাগুলো বেশ মনোযোগ সহকারে সবাই শুনেছিলাম। হ্যাংআউটের কিছুক্ষণ আগে অ্যাডমিন সুমন ভাইয়ের সাথে আমাদের কথা হয়েছিল। জেনারেল চ্যাটে ভাইকে বলেছিলাম বিদ্যুৎ নাই। সুমন ভাই লিখেছিল মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে। মামা ভাগ্নে বলতে আমার আর মোস্তাফিজুর মামার কথা বলছিল সুমন ভাই। আসলে হ্যাংআউটের দিন বাইরে বসে থেকে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমি আর মোস্তাফিজুর মামা। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1659940990957006848?t=oc862JxrgH_CLxeK9kz9HA&s=19