ভ্রমণ // ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৫-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বসে ছিলাম। তারপরে দেখি হঠাৎ করে প্রাইভেট এর একটা গ্রুপে মেসেজ দিয়েছে আজকে নাকি প্রাইভেট ছুটি। তারপরে আমি আবার নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্যারের কাছে ফোন দিয়েছিলাম। স্যার আমাকে বলল আজকে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এই কারণে প্রাইভেট পড়ানো ছুটি। তাই আপনাদের মাঝে সকাল সকাল চলে আসলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আসলে মুজিবনগর স্থানটি তৈরি করা হয়েছে মূলত ১৯৭১ সালে যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে। কিছুদিন আগে সেই জায়গা ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তাই আপনাদের মাঝে সেখানকার কিছু ছবি এবং তথ্য শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে চলুন নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.........
প্রথমে আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মুজিবনগরে পৌঁছানোর পরে আমরা বাইক রাখার জন্য আম বাগানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই অনেক জিনিস সামগ্রী বিক্রয় করা হচ্ছে। তারপরে প্রথমে আমরা সেই জায়গা ঘুরে দেখতে লাগলাম। তারপরে দেখি হঠাৎ করে একজন দোকানদারের কাছ থেকে আমার দুলাভাই একটি বাঁশি নিয়ে বাজাতে শুরু করেছে। আসলে আমি আগে জানতাম না যে আমার দুলাভাই অনেক ভালো বাঁশি বাজাতে পারে তখন জানতে পেরেছিলাম। তারপর আমার দুলা ভাই ওই বাঁশিটি কিনে নেই।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কয়েকটি পুতুলের ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমার ছোট্ট খালামণি এই পুতুলগুলো দেখে অনেক কান্না করছিল পুতুল কিনবে বলে। তারপরে আমার দুলাভাই আমার খালামণিকে একটি পুতুল কিনে দেয়। একটি পুতুলের দাম নিয়েছিল ১২০ টাকা। পুতুলগুলো দেখতে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কাঠের তৈরি বাংলাদেশের মানচিত্র। আসলে একজন দোকানদার ঝুড়ির মধ্যে অনেক সুন্দরভাবে এগুলো বিক্রয় করতে ছিল আমি তখন একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে । আসলে এগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে এর আগে কখনো আমি এত ছোট কাঠের বাংলাদেশের মানচিত্র দেখিনি। সত্যি এগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছিল সেই সময়।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। দুপুর বেলার দিকে আমরা সেখানে বসেই অল্প কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। আসলে আমরা প্রত্যেকেই একবাটি করে চটপটি খেয়েছিলাম। আসলে ভিতরে তেমন কোন হোটেল ছিল না তাই এই খাবারই খাওয়া লাগছিল আমাদের। আসলে চটপটি খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। প্রত্যেক বাটি চটপটির দাম নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে। আসলে চটপটি খেয়ে আমি বেশ মজা পেয়েছিলাম।
এবার আপনাদের উপরের ছবি দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমার দুলাভাই আপু অনেক সুন্দর ভাবে শহীদ মিনারের নিচে বসে ছবি তুলছিল তখন সেখানে অনেক রোদ ছিল তাই আমি গিয়েছিলাম না ।আমি অনেক দূর থেকে একটি ছবি তুলেছিলাম সেই ছবিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন শহীদ মিনারের উপরে উঠতে হলে স্যান্ডেল বা জুতা পায়ে দিয়ে ওঠা নিষেধ। আমার আপু দুলাভাই এবং সবাই স্যান্ডেল জুতা খুলে শহীদ মিনারের উপরে প্রবেশ করেছিল। ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এই শহীদ মিনারে মোট ২১ টি পিলার রয়েছে। আসলে এখানে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করে রাখা হয়েছে। আসলে কিভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করেছিল সেই সব কাহিনী চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ১১ টি সেক্টরের বিভক্ত ছিল সেই ১১ টি সেক্টরের নাম দেওয়া হয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে এই দৃশ্যটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে সেখানে বসে বাদাম খেতে ছিলাম এবং দৃশ্যগুলো বেশ ভালোভাবে দেখতে ছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । একটি সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে আমি সেটির ছবি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল তার কিছু দৃশ্য এখানে দেওয়া ছিল। সেই সময় বাংলার মানুষের ঘর থেকে বের করে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করেছিল। আসলে এই সমস্ত দৃশ্যগুলো সবকিছুই মুজিবনগর স্মৃতি হিসাবে তৈরি করে রাখা হয়েছে। আসলে এগুলো দেখলে এখন বেশ ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
পোস্টের বিবরণ
শ্রেণী | মুজিবনগর ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi not 8 / oppo f21s pro |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | মুজিবনগর, মেহেরপুর |
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1691285622680645632?s=20
আজকের দিনে মুজিবনগর নিয়ে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। ছবিগুলো দূরদান্ত ছিল এবং সুন্দর বর্ননা বেশ প্রানবন্ত করে তুলেছে পোস্টটি। ১৯৭১ সালের ভয়াবহতা নিয়েও বেশ ভালো আলোকপাত করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই দারুন ঘোরাঘুরি আমাদের মাঝে শেয়াএ করে আবারো মুজিব নগর দেখার ব্যবস্থা করছেন।খুব ভাল লাগলো আমার ভাই অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ।
ইতিহাসের পাতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা হলো ঐতিহাসিক মুজিবনগর। আপনি আপনার আপু দুলাভাইকে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই জায়গাটা ভ্রমন করেছেন। দৃশ্য গুলো দেখে আমারও খুব ইচ্ছা জেগেছে,জায়গটা দেখার জন্য। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বাঙালি জাতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা মুজিবনগর। আপনার কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে যেন বেশ খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ মত শেয়ার করার জন্য।
মুজিবনগর এর বেশ কয়েকটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে মামা। পূর্বে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি সেই সমস্ত পোস্টগুলো। যাইহোক অনেকদিন এই দর্শনীয় স্থানে যাওয়া হচ্ছে না। তাই পূর্বের দেখা সেই পরিচিত স্থানগুলো পুনরায় তোমার পোষ্টের মধ্যে থেকে দেখতে পেরে অনেক আনন্দ করেছি।
আপনি আমার আগের পোস্টগুলো দেখেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো মামা। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।