মেসে প্রথম ছয় দিন এর রাতের খাবার
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬-০২-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মেসে প্রথম ছয় দিন এর রাতের খাবার। আমি বেশ কয়েকদিন আগে মেসে গিয়েছি। তবে মেসের রাতের খাবার বেশ মজাদার। আমি বাড়িতে মানুষের কাছ থেকে শুনেছিলাম মেসের খাবার নাকি খাওয়া যায় না কিন্তু আমি খুবই ভালো পারছি মেসের খাবার খেতে। আমি মনে করি সব সময় মেসে নিয়ম মতই খাবার দেওয়া হয়। আসলে নিজের খাবার গুলো খেতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে তবে চলুন নিচে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক..........
আমার মেসে প্রথম দিন রাতের খাবার দিয়েছিল আপনার উপরে তো দেখতে পারছেন অনেক সুন্দর ভাবে আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। পালন শাক ঘোটা দুনিয়া ভাজি ও সিম ছানা। প্রথম দিন রাতে যখন আমি এসব দিয়ে ভাত খাই তখন আমার মনে হয়েছিল আমি কালকে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে চলে যাব। তারপরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে খাওয়া-দাওয়া করে একটু ঘুরে বেড়ালাম বাইরে।
তারপর দ্বিতীয় দিন যখন আবার সন্ধ্যা হল কিছুক্ষণ লেখাপড়া করলাম। তারপরে একটু দোকানে গিয়েছিলাম একটা চা খাওয়ার জন্য। তারপরে রুমে এসে খাবার নিয়ে আসলাম। খাবার এনে দেখি আজকেও আবার পালন শাক ঘোটা আর আলু ছানা। দ্বিতীয় দিন রাতে খুব কষ্ট করে খেয়েছিলাম আমি। এভাবে দ্বিতীয় দিনে চলে গেল।
তৃতীয় দিন আবারো রাতের বেলায় আমি এবং আমার ফুফাতো ভাই যখন খাবার আনতে যায়। তখন দেখি পেঁপে ভর্তা ও আলু টমেটো দিয়ে রান্না করা। তৃতীয় দিনের খাবার রান্না দেখি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল আমার সবথেকে ফেভারিট তরকারি। পেঁপে ভর্তা। কি আর বলব সেদিন রাতে খুব মজা করে ভাত খেয়েছিলাম পেঁপে ভর্তা দিয়ে।
চতুর্থ দিন রাতে আবার সেই টমেটো আলু দিয়ে একসাথে রান্না ও বেগুন ভাজি। যাক সেদিন রাতেও খুব মজা করে খালাম বেগুন ভাজি দিয়ে। আসলে মেসে থাকলে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। যাইহোক সবাই মিলে একসাথে খেতে খুব মজাই লাগতো তখন। এভাবে দিন যাইতে থাকে ততই আমার ভালো লাগতে থাকে এখন আর কিছু মনে হচ্ছে না।
এবার আপনারে দেখতে পাচ্ছেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ি ভাত বেগুন ভাজি আর আলু ছানা সেদিনও খুব মজা করে খেয়েছিলাম আসলে খিচুড়ি আমার কাছে খুবই মজা লাগে। সেই দিন সব থেকে ভালো লেগেছিল খিচুড়ি আর ডিম ভাজি।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অল্প কিছু ভাত আলু ভর্তা ও কলমি শাক গত কিছুদিন আগে রাতে দিয়েছিল। কলমি শাক ভাজি দিয়ে খুব মজা করে খেয়েছিলাম। আমি আগে বাড়িতে অনেক বার কলমি শাক খেয়েছিলাম আসলে গ্রামাঞ্চলে খুব কলমি শাক পাওয়া যায়। যায় হোক এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে এখন মেস আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
এটা কেই বলে মেস এর জীবন। বাড়িতে যতই ভালো-মন্দ খাওয়া হোক না কেন জীবনে শিক্ষা লাভ করতে হলে সবাইকেই একবার মেস থাকতে হবে। জীবনটা কতটা সুন্দর অথবা কতটা কষ্টের তার এর মাধ্যমেই অনেকটা বুঝতে পারা যায়।
তা বুঝতে পারছি মামা জীবনটা কত সুন্দর আর কত কষ্টের।
মেসের লাইফে নতুনদের জন্য খুবই কঠিন মুহূর্ত । মেসের খাবার গুলো মধ্যমানের হয় তবুও নিজের জীবনকে এগিয়ে নিতে সব পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে । এরকম আমাদেরও খেতে হয়েছে অনেক ভালো বিষয়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই নিজেকে সব পরিবেশে মানিয়ে নিতে হবে।
সকালে বা দুপুরে খান না শুধু কি রাতের খাবার খান মেসে।খাবার গুলো দেখতে খুব লোভনীয় ছিল কিন্তু প্রতিদিন রাতে কেন ভর্তা ভাজি বুঝলাম না।যাইহোক রান্না গুলো কিন্তু লোভনীয় ছিল।তবে থাকতে থাকতে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় সেটা একদম সত্যি কথা।আমাদের জীবনটাই হচ্ছে এরকম মানিয়ে চলা এবং মানিয়ে নিতে হয় তবে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সকাল দুপুর সব সময় খাই আপু কিন্তু শুধুমাত্র রাতের খাবার গুলো আমি শেয়ার করেছিলাম।
ভাইয়া মেসের জীবন মনে হয় এমনি হয়। যে সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে পারে সেই শুধু সেখানে টিকে থাকতে পারে। আপনি তো তারপরও খেয়েছেন আর মেসে থেকেছেন কিন্তু আমি হলে সত্যি সত্যি দু-দিন দেখে পরের দিন বাড়ি চলে আসতাম। এমন খাবার খেয়ে আমার দাড়া মেসে থাকা সম্ভব না। আমি মনে হচ্ছে কখনো শুনিনি পালক শাক ঘুটে রান্না করা যায়। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
আপু প্রথমে আমার কাছে মনে হয়েছিল মেসে থাকা আমার দ্বারা সম্ভব না কিন্তু এখন আস্তে আস্তে মানিয়ে নিয়েছি।
আপনি তো বেশ মজার মানুষ। সব খাবারের ছবি তুলে রেখে দিয়েছেন। সত্যি বলতে কি মেসের খাবারগুরো একটু সাধারনই থাকে কারন সবার তো আর ভালো খাবার সামর্থ থাকেনা। তাই সবার কথা চিন্তা করেই এ রকম রান্না করা হয়। যাই হোক ছবিগুলো শেয়ার করায় নতুন অভিজ্ঞতা হলো।
ভাই প্রত্যেকদিন খাবার সময় কষ্ট হতো তাই মোবাইলে সব খাবারগুলোর ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
আমি জানি ভাগ্নে তুমি কিছুদিন আগে মেসে উঠেছ। আসলে ম্যাচের জীবনটা সাধারন জীবন। খাওয়া-দাওয়া খুব স্বাভাবিক। অনেকেই এই ম্যাচের খাবারগুলো ঠিকভাবে খেতে পারেনা। তবে এই জীবনটা কেন অনেক সুন্দর। যাক তুমি ছয় দিনের খারাপ রাতের খাবারগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছ। এতে কতটা সুস্বাদু হয়েছে বুঝি না কিন্তু খাবারগুলো কিন্তু ভালই লাগছে। সমস্যা নেই খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস করে নাও এতে তোমারই লাভ হবে। ভালো থাকো সুস্থ থাকো।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আসলে মেসের খাবার গুলো এমন স্বাভাবিক হয়ে থাকে ৷ আর মেসের জীবন নতুন দের জন্য বেশ কষ্টের ৷মেসে থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে যাবে সব মানিয়ে নিয়ে চলার ৷ যাই হোক আপনার পোস্ট টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে খিচুড়ি আমারও বেশ পছন্দের ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন ভাই নতুনদের জন্য একটু বেশি কষ্ট আমার কাছে মনে হচ্ছে। আস্তে আস্তে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য।
ম্যাচের খাবার নাকি খারাপ হয়। আপনার ৬ দিনের খাবার দেখে মনে হচ্ছে না। খুব একটা খারাপ। এবারের টেস্ট ভালো হলে যে কোন খাবার খাওয়া যায়। টেস্ট খারাপ হলে ভালো খাবার ও খেতে ইচ্ছে করে না । আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খুবই ভালই উপভোগ করছেন ম্যাচ এর খাবার । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি টেস্ট খারাপ হলে ভালো খাবার খেতে ইচ্ছে করেনা। যাইহোক আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কি মামা মেসে খাওয়া দাওয়া আর মায়ের হাতের খাওয়া দাওয়ার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পেয়েছো বুঝি। পুরা ছয় দিনের খাবার ফটোগ্রাফি করে রেখেছো। তবে যেখানেই থাকো যেভাবেই থাকো যেন সুস্থ থাকো সেই শুভকামনা রইল।
জি মামা মেসের খাবার আর মায়ের হাতের খাবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু মামা মেসের খাবার আর মায়ের হাতের খাবারের মধ্যে টেস্টের পার্থক্য অনেক। অনেক ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।