বিদ্যুৎ নিয়ে বন্ধুদের সাথে বাজির আড্ডা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০-০৬-২০২৩)
আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বিদ্যুৎ নিয়ে বন্ধুদের সাথে বাজির আড্ডা। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। কয়েকদিন ধরে কলেজে পরীক্ষা চলছে। আজকে ভেবেছিলাম সকাল বেলায় উঠে পড়তে বসবো কিন্তু রাতে পানি হওয়ার কারণে অনেক ঠান্ডা পড়েছে তাই সকালবেলায় আর ঘুম থেকে ওঠা হয়নি। প্রায় নয় টার দিকে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া করে। চুল কাটানোর উদ্দেশ্যে রুম থেকে বের হয়েছিলাম। তারপরে চুল কাটিয়ে বাড়ি ফিরতে প্রায় দেড়টা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে গোসল শেষ খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের সাথে অল্প একটু যুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ আদায় করে অল্প একটু পড়ে আবারো আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। তবে চলুন আজকের পোস্টে নিচে শেয়ার করা যাক......
বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের এলাকার মানুষ বেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। আমাদের এলাকাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হয়তো ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। গত কয়েকদিন আগে রাতে আমাদের এখানে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে এক রুমের মধ্যে বসে আড্ডা দিতেছিলাম। তারপরে হঠাৎ করে এক বন্ধু বলে উঠল আজকে একটা বাজি হয়ে যাক। তখন আমরা সবাই মিলে বললাম কি বাজি বন্ধু। বলল অনেকদিন সেভেনাপ খাওয়া হয়নি তাই আজকে ২ লিটারের সেভেনাপ বাজি হবে। তারপরে আমার সেই বন্ধু বলল আজকে বিদ্যুৎ আসতে প্রায় রাত এগারোটা বাজবে। আমি তখন বললাম তাহলে আমরা কি করতে পারি। তখন আমার সেই বন্ধু বলল তোরা হয় এগারোটার আগে আসবে বলবি না হয় ১১ টার পরে এখন কোনটা নিবি দেখ। আমি তখন বলেছিলাম বিদ্যুৎ আসবে ১১:৫ মিনিটের আগে। তখন আমার সেই বন্ধু বলল আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমরা নিলাম এগারোটা পাঁচ মিনিটের পরে।
আমরা তখন সবাই বসে আছি বিদ্যুৎ এর অপেক্ষায়। আমরা তখন বলেছিলাম বিদ্যুৎ আসতে হবে ১১:৫ মিনিটের আগে। আসলে তখন আমরা সবাই মিলে বসে অনেক গল্প গুজব করছিলাম। তারপরে বিদ্যুৎ এসেছিল ঠিক ১১ঃ২ মিনিটে। ওই বাজিতে আমরা দুই বন্ধু ছিলাম একদিকে আর দুই বন্ধু ছিল আরেকদিকে। তারপর আমরা ঠিক রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনজন চলে গেলাম সেভেনাপ নিয়ে আসার জন্য। আমাদের কাছ থেকে ২ লিটারে সেভেনাপ ১২০ টাকা নিয়েছিল। তখন আমরা দোকানদারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সেভেনাপ এর দাম কত। দোকানদার তাও বললো ১২০ টাকা। কিন্তু কিছুদিন আগে আমরা সেভেনাপ খেয়ে ছিলাম ১৪০ টাকা দিয়ে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সেভেনাপ নিয়ে আসার পরে বিছানার উপরে রেখে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সেভেনাপ অত্যন্ত গরমে অনেক ঠান্ডা হওয়ার কারণে খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। আমরা চারজন বন্ধু এক রুমের মধ্যে বেশ মজা করে সেভেনাপ খেয়েছিলাম। সেভেনাপ আনতে যাওয়ার সময় ভেবেছিলাম দোকান যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই সেভেনাপ আর গতকালকে খাওয়া হবে না। কিন্তু আমাদের এলাকার দোকান রাত সাড়ে ১১ টার দিকেও খোলা ছিল। তাই আমরা সেই রাতে সেভেনাপ খেতে পেরেছিলাম।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যেই দুই বন্ধু হেরে গিয়েছে প্রথমে আমরা দুই বন্ধু তাদের খেতে দিয়েছে সেভেনাপ। আসলে হেরে যাওয়ার পরে তাদের একটু মন খারাপ আমার কাছ থেকে মনে হয়েছে। আসলে আমরা বেশ আনন্দ উপভোগ করে থাকি। সেভেন আপ খাওয়ার পরে তখন আমরা সেখানে বসে অনেক গল্প করি সবাই মিলে। তারপরে রাত বারোটার দিকে আমি আমার নিজের রুমে চলে আসি। গতরাতে লেখাপড়া করা হয়েছিল না এজন্য লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে। আসলে ওই রাতে বেশ মজা করেছিলাম আমরা সবাই মিলে।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা সবাই মিলে আমি আমার নিজের হাতে সেভেনাপ এর বোতল ধরে রেখে অনেক সুন্দরভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা এখানে যেই কয়জন বন্ধু থাকি সবাই অনেক ভাল মনের মানুষ। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1667510684811395072?t=LQwDTA-giL9YYe312MctTA&s=19
আপনারা তো দেখছি বিদ্যুৎ নিয়ে বাজি ধরে ফেলেছিলেন। আসলে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে এরকম বাজে ধরতে বেশ ভালোই লাগে। দেখেই বুঝতে পারছি আপনার যে বন্ধু দুটো হেরে গিয়েছিল তাদের কিছুটা মন খারাপ। সবাই মিলে সেভেন আপটা বেশ মজা করেই খেয়েছিলেন মনে হচ্ছে। আপনাদের বন্ধুদের এত সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে এরকম বাজে ধরতে বেশ ভালো লাগে।
মাঝেমধ্যে নিজের সহপাঠী দের সাথে এরকম বাজি ধরার মজাটাই আলাদা। তাও যদি আবার নিজে জিতে যায় তাহলে তো কথাই নেই। গরমের দিনে এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা সেভেন আপ খেতে খুব ভালো লাগে। সেভেন আপ সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি নিজের কাছে বেশ ভালো লেগেছিল বাজিতে জিতে যাওয়ার পরে।
আপনি তো দেখছি বিদ্যুৎ আসা-যাওয়াকে নিয়েও বাজি ধরে ফেলেছেন। এটা ভালো করেছেন যে বাজে টাকায় কেনা সেভেন আপ আপনারা সকলে একসাথেই খেয়েছেন। গরমের দিনে ঠান্ডা সেভেন আপ ভালোই হয়েছে।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি গরমের দিনে বাতি ধরার পরে সেভেন আপ খেয়ে বেশ ঠান্ডা হয়ে ছিলাম।
মাঝে মাঝে যেকোনো কারোর সাথে বাজি ধরার মুহূর্তটা কিন্তু সত্যি খুবই সুন্দর হয়। আপনারা বন্ধুরা মিলে কখন কারেন্ট আসবে, এটা নিয়ে বাজি ধরেছিলেন। এই বিষয়গুলো কিন্তু সত্যি খুবই সুন্দর। এর ফলে ছিল ২ লিটারের একটা সেভেন আপ। বুঝতেই পারছি বন্ধুরা মিলে বেশ মজা করেই সেভেন আপ খাওয়া হয়েছিল। ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা।
আসলে আপু আমরা সেখানে বন্ধুরা মিলে সকলে সেই সেভেন আপ খেয়ে ছিলাম আসলে বেশ মজাই হয়েছিল।