ভিডিওগ্রাফি // কাঁকড়ার ভিডিওগ্রাফি পোস্ট
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৩-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কাঁকড়ার ভিডিওগ্রাফি পোস্ট । আসলে প্রত্যেকদিন দিনের বেলায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। সকালবেলা উঠেই প্রাইভেটে যেতে হয়। তারপর মেসে ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে লেখাপড়া করতে হয়। তাই প্রত্যেকদিন চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত সকালে ভোরবেলায় পোস্ট করার জন্য। প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও সকাল ভোর বেলায় ঘুম থেকে জেগে গিয়েছি। তাই ভাবলাম পোস্ট শেয়ার করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। বিছানায় শুয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক........
গত কয়েকদিন আগে সন্ধ্যাবেলার দিকে মেস থেকে আমি বের হয়েছিলাম কিছু খাতা কলম কেনার জন্য। তারপরে আমি সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাজারে গিয়েছিলাম। সাথে আমার মেসের দুইজন ছোট ভাই ছিল। দোকান থেকে তিনজন হাফ লিটারের একটি কোক কিনেছিলাম। তাই খেতে খেতে আমরা বাজারের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। প্রথমে বাজারে গিয়ে অনেক ধরনের মাছ দেখতে পায় সেখানে। আমি খেয়াল করছিলাম না যে কাঁকড়া বিক্রয় করা হচ্ছে। তারপর আমার একজন ছোট ভাই বলল ভাই কাঁকড়া বিক্রয় করছে তারপরে আমি সেখানে গিয়ে কিছু ছবি তুললাম এবং একটি ভিডিও করেছিলাম। আসলে রাতের বেলায় কাঁকড়া গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। কাঁকড়া গুলো দেখতে কিন্তু অনেক বড় বড় আকারের। সচরাচর আমাদের এলাকাতে এত বড় বড় কাঁকড়া কোথাও দেখা যায় না। তাই তখন ছবিগুলো তুলছিলাম আর ভাবছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাবে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও কাঁকড়ার ঝুড়ির ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই কাঁকড়া নিয়ে ছোটবেলার আমার একটি মজার ঘটনা আছে। ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে একবার একটি পুকুর থেকে মাছের সাথে কাঁকড়া ধরেছিলাম আমরা। আসলে আমাদের এলাকাতে সেই সময় একজন লোক ছিল কাঁকড়া খেত। আমরা সেই সময় কাঁকড়া গুলো খেয়েছিলাম না সেই লোককে দিয়েছিলাম তিনি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অনেক সুন্দরভাবে কাঁকড়া গুলো রান্না করেছিল। সন্ধ্যাবেলার দিকে আমরা যে কয়জন কাঁকড়া দিয়েছিলাম সবাইকে ডেকেছিল কাঁকড়া খাওয়ানোর জন্য। আমাদের মধ্য থেকে কেউ কাঁকড়া খেয়েছিল না শুধুমাত্র আমি খেয়েছিলাম আসলে কাঁকড়া কিন্তু খেতে বেশ মজা এবং মাংসের মত কিছুটা। আমি সেই দিন জীবনে প্রথম কাঁকড়া খেয়েছিলাম। এখনো খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু বাড়িতে নিয়ে গেলে হয়তো কাঁকড়া রান্না করবে না এজন্য আর খাওয়া হয় না।
Video link
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ।একটি কাঁকড়া যখন ঝুড়ির মধ্যে থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার মোবাইলে ভিডিও করে রেখে দিয়েছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে কাঁকড়ার পা গুলো কেটে ফেলে দিয়ে যদি রান্না করা যায় খেতে বেশ ভালই লাগে। আপনারা যদি কেউ খেয়ে না থাকেন তবে খেয়ে দেখবেন অনুভূতিটা কিন্তু বেশ মজার। আপনারা ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন কাঁকড়া গুলো কত বড় বড় আসলে আমি একটি কাঁকড়ার ভিডিও আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র শেয়ার করেছি। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | কাঁকড়ার ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro |
পোস্ট তৈরি | @kibreay001 |
লোকেশন | গাংনী বাজার , গাংনী ,মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1694173432358015487?s=20
আমি আমার জীবনে কাঁকড়া খেয়েছি দুবার। এটা খেতে দারুন ছিল এবং এটা ভিন্ন স্বাদের খাবার। আপনার ভিডিওগ্রাফি ভালো ছিল আর কাঁকড়ার ছবিগুলো সুন্দর ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি কাঁকড়া খেতে কিন্তু বেশ দারুন স্বাদ। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি দেখছি আজকে একটি ভিন্ন রকমের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আপনার এই পোস্ট দেখে আমার কুয়াকাটার কথা মনে পড়ে গেল। আমি এইতো কয়েক মাস আগে কুয়াকাটায় ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে রাত্রে বন্ধুদের সাথে বিজে এসে দেখি সেখানে কাঁকড়া বিক্রি করছে। তারপর আমরা কাকড়ার রেসিপি অর্ডার দি ই তারপরে কাঁকড়াটি খেয়ে খুবই মজা পেয়েছিলাম আসলে কাকড়া এত সাধ বুঝতে পারি নাই।
বন্ধু তুমি যে কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে কাঁকড়া খেয়োছো জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
কাকড়ার ভিডিওগ্রাফি পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।খুব সুন্দর লাগছে দেখতে কাকড়া গুলো।কিউট একদম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
কাঁকড়া আমি অসংখ্য বার খেয়েছি জীবনে। কাঁকড়া খেতে আসলেই দারুণ লাগে। চমৎকার একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। তবে ভিডিওটা আর একটু বড় হলে বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই কাঁকড়া আমি শুধুমাত্র একবার খেয়েছি কিন্তু খেতে ইচ্ছে করে বাড়িতে নিয়ে গেলে রান্না করবে না বলে আর খাওয়া হয় না তবে যদি কোথাও কিনতে পায় অবশ্যই খাবো। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
মামা দুই দিন আগে পুকুরে তেকুইছি মাছ ধরতে নেমে একটি কাকড়া উঠেছিল, ভেবে দেখলাম এই জিনিসটা আবার কোত্থেকে এলো এই পুকুরে। অনেকদিন দেখা যায় না। তবে আমাদের বাড়ির পুকুরটাতে মোটামুটি দেখা যায় উপরে আসে আর কি। যাই হোক আনকমন একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট করেছ তুমি।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
কাঁকড়া খেতে বেশ মজাদার, খেয়েছিলাম অনেক ছোটবেলায়।আগে গ্রামের পুকুরে কাঁকড়া পাওয়া যেত বেশ কিন্তুু কালের পরিবর্তে এখন কাঁকড়া বিলুপ্ত প্রায় তবে চাষের কাঁকড়া ও কোন কোন জেলায় কাঁকড়া এখনো পাওয়া যায়।কাঁকড়া গুলো অনেক সুন্দর খেতেও অনেক মজাদার হবে নিশ্চিই।আপনার কাঁকড়ার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো ও সাথে ছোটবেলার সৃতিচারণ টিও সুন্দর ছিলো।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি কাঁকড়া খেতে বেশ মজাদার। ধন্যবাদ আপু মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।