জেনারেল রাইটিং = যেকোনো খেলা থেকে সতর্কতা অবলম্বন হওয়া উচিত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৫-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং, যেকোনো খেলা থেকে সতর্কতা অবলম্বন হওয়া উচিত। আসলে লেখাপড়ার কারণে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট থেকে মেসে ফিরে আপনাদের সাথে অল্প একটু যুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে কিছুক্ষণ লেখাপড়ার জন্য টেবিলে বসে ছিলাম। তার কিছুক্ষণ পর গোসল শেষ করে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো আপনাদের সাথে কিছু সময় যুক্ত হয়েছিলাম। এত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক......
ঘটনাটি হচ্ছে কয়েকদিন আগের একটি ঘটনা। আমি কিছুদিন আগে বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখনকার একটি ঘটনা। আসলে বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পর বিকেলে একদিন গ্রামের ছেলেদের সাথে খেলার জন্য ফুটবল মাঠে গিয়েছিলাম। আসলে বিভিন্ন খেলার মধ্যে ফুটবল খেলায় আমার পছন্দের একটি খেলা। আমি ছোটবেলা থেকে এই ফুটবল খেলা অনেক পছন্দ করি। আমরা যখন ফুটবল খেলা খেলতে গিয়েছিলাম তখন আমার মোবাইল ফোন দিয়ে আমি পেছন দিক থেকে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম সেটা আপনাদের মাঝে উপরে শেয়ার করেছি। খেলার মাঠে উপস্থিত হওয়ার পরে আমরা প্লেয়ার গুলো দুই টিমে ভাগ করে খেলা শুরু করি। ফুটবল খেলা প্রায় হাফ টাইম শেষ হয়ে গিয়েছিল তখনও আমরা ২-১ গোলে জিতেছিলাম। হাফ টাইম পরে যখন আবার খেলা শুরু হলো তখন অনেক সুন্দর ভাবেই খেলা পরিচালনা করছিল রেফারি। আসলে তখনো বুঝতে পেরেছিলাম না যে খেলার মাঝে এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
আসলে ফুটবল খেলা খেললে শরীর এবং মন দুটাই অনেক ভালো থাকে। হাফ টাইম পরে প্রায় দশ মিনিট যখন খেলা অতিবাহিত হলো। আমাদের পক্ষের একজন ফুটবল প্লেয়ার বল নিয়ে যখন মাঝমারঠ থেকে আসছিল তখন প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড় তাকে টাইটেল করেছিল। আসলে তখন দুইজন সামনাসামনি বল রেখে পায়ে সংঘর্ষ হয়। আসলে একজনের পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হাটুর উপর থেকে ভেঙে যায়। আসলে ফুটবল খেলায় আমি অনেক জনের পা ভাঙতে দেখেছি কিন্তু হাঁটুর উপর থেকে কারো এভাবে পা ভাঙতে দেখিনি এটা একটা অদ্ভুত মনে হয়েছিল আমার কাছে। ছেলেটির অনেক লাগার পরেও ছেলেটি উঠে যখন মাঠের মধ্যে দাঁড়ায় তখনো ছেলেটি বুঝতে পারিনি যে তার পা ভেঙে গিয়েছে। যে ছেলেটির পা ভেঙে গিয়েছে তার নাম শাহেদ আহমেদ। তারপরে আমরা তাকে সেখান থেকে সিএনজি করে আমাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি। সেখানপুর একজন চিকিৎসক তাকে দেখে বলে পা ভেঙে গিয়েছে। তখন চিকিৎসক তাকে বলে এই পা অপারেশন করা লাগবে তাই কুষ্টিয়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে।
তারপর তার পরিবারের লোকজন সেখানে আসে। তারপর শাহেদকে সাথে নিয়ে সেখান থেকে একটি সিএনজি নিয়ে আবারও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে বলেছিল পা অপারেশন করাতে হবে। এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। প্রায় আশি হাজার টাকা মতো লাগবে তাই বলেছিল। আরো বলেছিল অপারেশনের দিন প্রায় ছয় ব্যাগ রক্ত লাগতে পারে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটি বেশ দুঃখজনক মনে হয়েছিল সেই সময়। রক্তের কথা জানতে পেরে আমি B+ পজেটিভ রক্ত থাকে দুই ব্যাগ ম্যানেজ করে দিয়েছিলাম। মোট তিন ব্যাগ রক্ত লেগেছিল আর এক ব্যাগ রক্ত তার একজন চাচা দিয়েছিল। তিন ব্যাগ রক্ত কম লেগেছিল। পা অপারেশন শেষে শাহেদ এখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে এসেছে। তাই আমি বলব যেকোনো খেলা থেকে আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
পোস্ট তৈরির বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | kibreay001 |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1687820044628377600?s=20
খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা দেখছি। তবে শেষ পর্যন্ত যে আপনার বন্ধু কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে পেরেছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার। সব সময় আমাদের সচেতন থাকা উচিত ,সবকিছু নিয়ে । সামান্য একটু ভুলের জন্য তার পা এর কত বড় একটা ক্ষতি হয়ে গেল।
সচেতনতা আমাদের সকলকেই সবসময় অবলম্বন করা উচিত । আবারও তার একটি নিদর্শন আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। তবে ছেলেটি বেশ শক্ত মনের দেখছি ,কারণ তার পা ভেঙে যাওয়ার পরেও সে ওই মাঠে কিছুক্ষণ আপনাদের সাথে ফুটবল খেলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সে এখন সুস্থ সেটা জেনে ভালো লাগলো।