গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ব্যাডমিন্টন খেলা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৪-১১-২০২২)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ব্যাডমিন্টন খেলা। আসলে প্রত্যেক বছর আমাদের এলাকায় আমরা ব্যাডমিন্টন খেলা খেলি। আসলে এই খেলাটা আমরা শীতের সময় খেলতে বেশি পছন্দ করি। এখন আমাদের এলাকায় হালকা শীত পড়তে শুরু করেছে তাই আমরা ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করে দিয়েছি গতকাল থেকে। আমাদের এলাকার স্কুল ফিল্ডে আমরা ব্যাডমিন্টন খেলার কোট কেটেছি। আসলে গতকালকে আমরা ৬ জন মিলে কোট কেটেছি। অনেকগুলো খেলার মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলা আমার সব থেকে বেশি পছন্দের। ব্যাডমিন্টন খেলা হচ্ছে অনেক ব্যয়বহুল খরচ। ব্যাডমিন্টন খেলা খেলতে হলে প্রতি জনের সর্বনিম্ন প্রতিদিন ৯০ টাকা করে খরচ হয়। আরো অনেক খরচ রয়েছে। তবে চলুন নিচে শেয়ার করা যাক.......
এবার আপনারা দেখতে পারছেন একসাথে দুটো ব্যাডমিন্টন কোটে খেলা চলছে। আসলে আমাদের স্কুল ফিল্ডে এই বছরে চারটি কোট কাটা হয়েছে। প্রতিটি কোটে সবাই রাতে খেলে থাকে। রাতে খেলার জন্য বাল্ব প্রয়োজন হয় আরো নানা সামগ্রী জিনিস প্রয়োজন হয়। আপনারা দেখতে পারছেন এই খেলা খেলার জন্য টু কোয়াটার প্যান্ট এবং একটি জার্সি প্রয়োজন হয়। সব থেকে ব্যয়বহুল খরচ হচ্ছে একটি ব্যাট কিনা। আমরা যে ব্যাগগুলো দিয়ে খেলা খেলি সর্বনিম্ন ৭০০০ টাকা।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন দুইদিকে দুটো প্লেয়ার করে মোট চারটি প্লেয়ার কোটে খেলা খেলছে। আসলে আমাদের কোটে মোট ছয়টি প্লেয়ার রয়েছে। দুইজন দুইজন করে জোড়া রয়েছে। খেলার আগে আমাদের বলে দেওয়া হয় যে টিম গেম খাবে সেই টিম বসবে। আবারো পরবর্তী টিম উঠবে এভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয় রাত ৭ টা থেকে দশটা পর্যন্ত।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি টিম গেম খেয়েছে তাই কোট থেকে নেমে চলে আসছে। আসলে ৬ জন প্লেয়ারের নাম আমি উল্লেখ করছি আপনাদের সাথে। রাহুল, ইব্রাহিম, রিন্টু, হাবিব, রাজা, আমাকে তো আপনারা সবাই চেনেন। আসলে সবাই অনেক সুন্দর ব্যাডমিন্টন খেলা খেলে। আমাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো খেলে রাজা। তিনি অনেক এলাকায় খেলা খেলতে যাই।
এই খেলা খেলার জন্য আমাদের প্রত্যেকদিন রাতে দুইটা করে ফেদার নষ্ট হয়। প্রত্যেকটি ফেতারের দাম ১৮৫ টাকা করে। এবং বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। আমরা আমাদের এক ভাইয়ের বাসা থেকে বিদ্যুৎ নিয়েছি। প্রত্যেক মাসে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া লাগে আমাদের ৩৫০ টাকা। আসলে আমাদের মত ছেলে দের জন্য অনেক ব্যয়বহুল একটি খরচের খেলা। তাও ভাল লাগে এই জন্য এই খেলাটি আমরা সবাই খেলে থাকি।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমি অনেক দূর থেকে আপনাদের মাঝে আমাদের ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের ছবি তুলে শেয়ার করেছে। আসলে গত দুই দিন আগে আমরা ব্যাডমিন্টন খেলার কোট কেটেছে। আমরা এখানে পাঁচজন বন্ধু রয়েছে আর শুধুমাত্র রাজা আমাদের বড় ভাই। আসলে বড় ভাই অল্প কিছুদিনের জন্য বাড়িতে এসেছে তাই খেলবে বলছে। তারপরে আবারও আমরা একজন প্লেয়ারকে আমাদের সাথে নিয়ে নিব। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে । সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
🤝আমার নিজের পরিচয়🤝
আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই ব্যাডমিন্টন খেলা শীতের সময়ে বেশি খেলতে থাকে সবাই। আপনাদের জন্য ব্যয় বহুুহলে ও খেলাটা কিন্ত অনেক মজার। আপনারা ৬ জন প্লেয়ার নিয়ে খেলা শুরু করেছেন। রাজা ভালো খেলতে পারে জেনে ভালো লাগল। আসলে কেউ না কেউ তো ভালো খেলবেই। প্রতি রাতে দুটি করে ফেতার লাগা স্বাভাবিক। খেলার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু খেলাটা আসলে অনেক মজার।
শীতকাল চলে আসার সাথে সাথেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয়ে গেছে। যখন হালকা শীত পড়তে দেখা যায় তখন থেকেই ব্যাডমিন্টন খেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আসলে গ্রামে গঞ্জে কিংবা শহরে সব জায়গাতেই এই দৃশ্য এখন দেখতে পাওয়া যায়। ব্যাডমিন্টন খেলার অনুভূতি আমাদের সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি শীত যখন হালকা পড়তে শুরু করে তখন ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয়ে যায়।
র্যাকেট কোর্ট না দেখলে মনেই হয়না শীত এসেছে।এখন আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে শীত চলে এসেছে। বন্ধুরা থাকলে আমরাও কোর্ট কাটতাম।এই খেলাটাই আমি মোটামুটি পারদর্শী।আর ভাই দামী ব্যাট দিয়ে খেলার দুঃখের কথা আর কি বলি।গত সিজনে ২টা ব্যাট ভেঙ্গেছে।অনেক ভাল লাগল ভাই আপনার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার দুইটা ভেঙেছে আমার তিনটা ব্যাগ ভেঙেছে। ব্যাট যদি ভেঙে যায় নিজের কাছ থেকে অনেক খারাপ লাগে ভাই।
সত্যি বলতে ভাই ছোটবেলায় অনেক ভালো লাগে এই খেলাগুলো খেলতে। তাই আপনার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলাম।
আপনাদের খেলা দেখে বেশ আফসোস হচ্ছে ভাই এবার আমাদের খেলা মনে হয় হবে না। বাংলাদেশে বতর্মান বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং তারই জন্য চলছে লোডশেডিং। আমাদের উপজেলায় তো প্রশাসনিক ভাবে ঘোষণা করে দিয়েছে রাতের বেলা এবার ব্যাডমিন্টন খেলা যাবে না। যাইহোক আপনাদের খেলা দেখে ভালো লাগল। আপনাদের জন্য শুভকামনা।।
ভাই তাহলে আপনি আমাদের এলাকায় আসেন আপনাকে ব্যাডমিন্টন খেলা খেলাবো।
যদিও ব্যাডমিন্টন অনেক ব্যয়বহুল একটা খেলা কিন্তু এই খেলাটা আমার সবচেয়ে প্রিয়। তবে গত কয়েক বছর যাবত খেলার সুযোগ পাচ্ছিনা। মনে হচ্ছে আপনাদের এলাকায় চলে আসি খেলার জন্য। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি ব্যাডমিন্টন খেলা অনেক ব্যয়বহুল খরচের খেলা।
ব্যাডমিন্টন খেলা দেখলেই শীতকালের কথা মনে আসে। আমার ছেলেবেলায় এক্সামের পর বাড়িতে গেলে আমরা ব্যাডমিন্টন সাথে করে নিয়ে যেতাম।আবার ঢাকায় বাসার সামনেও খেলতাম।আমি ভালোই খেলতে পারি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য । অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
ছেলে মেয়ে কোন ভেদাভেদ নাই আপু। যদিও আপনি ব্যাডমিন্টন খেলা পারেন তা জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো।
শীতকাল মানে ব্যাডমিন্টন খেলা অনেক রাত অব্দি। এখন তো আবার শীতের সময় চলে আসছে। তাই এখন আবার বাসার চারপাশে যেখানে ফাঁকা জায়গা থাকবে সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলার আমেজ ছড়িয়ে যাবে। ছোট বড় সবাই মিলে একসাথে ব্যাডমিন্টন খেলে দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আগে আমিও খুব খেলতাম। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে এখন আর ঐভাবে খেলা হয় না। গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে নিজেদের উঠোনে মাঝে মাঝে খেলা হয়।
আমরা বেশি রাত খেলি না আপু সর্বোচ্চ রাত বারোটা পর্যন্ত।
আমাদের এদিকে ও শীতের সময় আসলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়। তবে আপনারা তো দেখছি একদম শুরু করে দিয়েছেন। দেখছি প্রচুর পরিমাণে খরচ লাগে খেলাটি খেলতে। আসলে খরচ হলেও যেহেতু খেলতে ভালো লাগে এই জন্যই আপনারা খেলে থাকেন। আমার কাছে অবশ্য দেখতেই ভালো লাগে। ছয় জন মিলে কোট কেটেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু খেলাটি খেলতে প্রচুর পরিমাণ খরচ লাগে।