ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৫-০৬-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব। আজকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন আমার খালামণি আমাকে ফোন দিয়ে বলে আজকে একটা মোবাইল ফোন কিনতে হবে তাই বাজারে আসার জন্য। আমি খালাকে বলেছিলাম একটু পরে আমি বাজারে কোচিং এর উদ্দেশ্যে যাবো আপনি তাহলে এগারোটার দিকে বাজারে চলে আসেন। তারপরে আমি বাড়ি থেকে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে খালার সাথে মোবাইল ফোন কেনার উদ্দেশ্যে চপ্পল মোবাইল সেন্টারে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে খালার জন্য redmi note 12 ফোন কিনেছিলাম। তারপরে আমি মোস্তাফিজুর মামা এবং খালা তিনজন মিলে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আসলে আমাদের এলাকাতে অনেক ঠান্ডা আবহাওয়া। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে বিছানায় শুয়ে দুইটা লেপ গায়ে দিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.......
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার সিলেট ভ্রমণের একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই ছবিটি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছিল। আসলে সিলেট ভ্রমণে আমি ডিএসএলআর ক্যামেরা সহ আমার মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই সেখানে দুই রকম ডিভাইস দিয়েই বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। আমার সিলেট ভ্রমণের মধ্যে সবথেকে দুইটা ছবি ভালো লাগে তার মধ্যে এই ছবিটা হচ্ছে বেস্ট। এই ছবিটা আমার স্টিমেটের কভার ফটোতে দেওয়া রয়েছে। আশা করি আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে।
আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমরা যখন মাধবকুণ্ড ইকো পার্কের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম তারপরে যখন পাহাড়ে উঠছিলাম তখন আমার এক বন্ধুর ছবি আমি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে আমরা যখন পাহাড়ে উঠছিলাম আশেপাশে বেশ জঙ্গল ছিল সেগুলো দেখে সত্যি বেশ ভয় লাগছিল । পাহাড় ছিল কিছুটা খাড়া এবং সরু আকৃতির। আসলে আমি সিলেটে গিয়েই প্রথম পাহাড় দেখেছিলাম এর আগে আমি কখনো নিজ চোখে পাহাড় দেখেছিলাম না তাই আমার কাছে সিলেট ভ্রমণ সত্যি বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা বন্ধুরা মিলে অনেকেই গোসল করতেছি। আসলে মাধবকুণ্ড ইকো পার্কের মধ্যে একটি ঝর্ণা ছিল সেই ঝর্ণার নিচে আমরা সবাই মিলে গোসল করতে ছিলাম। আপনারা ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন আমাদের সামনে সেখানে চোরাবালি রয়েছে এখানে তাই সামনের পানিতে যাওয়া সম্পূর্ণই নিষেধ ছিল। তাই এই ঝর্ণার পানিতে গোসল করার জন্য সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আমরা অনেক পর্যটক দেখেছিলাম সবাই সেখানে গোসল করেছিল সত্যিই সেই জায়গাটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের কিছু ছবি শেয়ার করেছি। প্রথমেই ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে নামার পরে আমি অনেক দূর থেকে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে পাহাড় রয়েছে তার একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপর সেখানে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার নিজের ছবি কিছু তুলেছিলাম। আসলে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথরে যেতে হলে নৌকায় করে যেতে হয়। তাই আমরা সেখানে একটি নৌকা ভাড়া করে বন্ধুরা সকলেই বেশ আনন্দের সাথে নদী পার হয়েছিলাম। নৌকায় চড়ে আমরা বন্ধুরা গান গাইতে গাইতে সেই সাদা পাথরে গিয়ে পৌঁছে ছিলাম। সত্যিই সেই দিনের স্মৃতিগুলো এখনো মনে ভেসে বেড়াই।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে গিয়ে পৌঁছানোর পরে সেখানে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক সুন্দরভাবে ডিএসএলআর দিয়ে কিছু ছবি তুলেছিলাম। আসলে বন্ধুরা মিলে একসাথে কোথাও গেলে সত্যি বেশ মজা হয়। আসলে সিলেট ভ্রমণে দেখার মত বেশ কিছু জায়গা রয়েছে এবং গোসল করার জন্য সেখানে প্রত্যেকটা জায়গায় বেশ পারফেক্ট। আসলে সিলেটের নদীর পানি বেশ পরিষ্কার। আমরা যখন বসে বন্ধুরা মিলে গ্রুপ ফটো তুলতে ছিলাম পানির ঢেউ মনে হচ্ছিল সামনের দিকে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছি আমরা। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আসলে ভ্রমন করতে আমি নিজেও বেশ পছন্দ করি এবং সময় পেলেই ছুটে যাই বিভিন্ন জায়গায়।
সিলেটে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার একবার তবে হাতে সময় থাকায় তেমন ঘুরতে পারিনি।
আপনাদের ঘুরাঘুরি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
ইনশাআল্লাহ আমিও সময় করে ঘুরতে যাবো। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত চমৎকারভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
বন্ধু তুমি এর আগেও আমাদের মাঝে এই সিলেট ভ্রমণের পর্বগুলো শেয়ার করেছ। আর আজকে তুমি এই পর্বের পরবর্তী চতুর্থ পর্বটি শেয়ার করেছ। দেখে মনে হচ্ছে খুবই আনন্দ উল্লাসে সময় পার করেছিলে। তবে তোমার পোষ্টের মধ্যে খালি গায়ে তোলা ছবিগুলো শেয়ার করা দেখে ভালো লাগলো না কারণ খালি গায়ে ছবি দেওয়া আমার মতে ঠিক হয়নি। ধন্যবাদ বন্ধু শেয়ার করার জন্য।
আসলে বন্ধু তোমাকে সিলেটে যাওয়ার জন্য অনেকবার বলেছিলাম কিন্তু তুমি গিয়েছিলে না। সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল।
https://x.com/GKibreay/status/1746806949277319585?s=20
ভাগ্নে তোমার সিলেট ভ্রমণের পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলেই জায়গাটিতে অত্যন্ত সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ বিরাজমান। বিশেষ করে ঝর্নার পানিতে গোসলের দৃশ্যটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই চমৎকার একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মামা পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
এই বছর প্ল্যান ছিল সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার কিন্তু নির্বাচনের কারণে ক্যান্সেল করে দিয়েছি। তবে চেষ্টা করব পরবর্তীতে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু আপনাদের সিলেটে ঘোরাফেরার মুহূর্তটি খুব ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে জায়গা গুলো খুবই সুন্দর। তাছাড়া আপনারা বেশ ভালো ভাবে উপভোগ করলেন ভ্রমণের জায়গা
আশা করি খুব দ্রুত আপনারা সিলেট ঘুরতে যাবেন ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
সিলেট ভ্রমনের অনেক ইচ্ছা আছে আমার৷ এখন সময় না থাকার কারনে এই স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়ে উঠছে না। আপনি খুব ভালোভাবে এই ভ্রমণের কিছু মুহুর্ত শেয়ার করেছেন৷ একইসাথে এর কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ ফলে এই স্থানে যাওয়ার প্রতি আমার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল।
আশা করি আপনি সময় পেলে সিলেট ঘুরতে যাবেন। আসলে সত্যি দেখার মত একটি জায়গা সিলেট।