লাইফ স্টাইল // নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে রক্তদান করলাম
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৫-০১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে রক্তদান করলাম । আজকে সকাল বেলায় থেকে বেশ একা একা দিন পার করতেছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে অল্প কিছু সময় লেখাপড়া করতে বসেছিলাম। তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির পাশে বের হয়েছিলাম। বাড়ির পাশে পুকুর ধারে বসে রোদ পোহাতে ছিলাম। একা একা বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে কিছু সময় শেয়ার করে আসি। আসলে আপনারা টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন আমি আজকে কি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। এবার দিয়ে আমি তৃতীয় বার রক্তদান করলাম। আসলে মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সব সময় বেশ ভালো লাগে আমার। চেষ্টা করে নিজের সাধ্যমত মানুষের উপকার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে বিস্তারিত শেয়ার করা যাক........
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে মানুষের উপকারে আসতে পেরে নিজের কাছে বেশ ভালো লাগছিল। নতুন বছরের প্রথম দিন রাত এগারোটার দিকে আমাদের সংগঠন থেকে একটি বড় ভাই আমার কাছে ফোন দিয়ে বলে তুমি কি রক্ত দিতে পারবা কিবরিয়া। আমি ভাইকে বলেছিলাম এখন তো আমার পক্ষে গাংনী যাওয়া সম্ভব না এত রাতে। ভাই বলল সমস্যা নেই তুমি সকালে এসে রক্ত দিলে হবে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে ভাই সকাল বেলায় আমি যেতে পারব। আসলে আমি রক্ত দিলে কি কারণে রক্ত নেবে এত বিস্তারিত না জেনেই রক্ত দিতে সম্মতি জানায়। আমি মনে করি একজন মানুষের সমস্যা না থাকলেই রক্ত নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই হয়তো সেই লোকটার কোন সমস্যা আছে তাই আমার কাছে রক্ত চেয়েছিল। ঠিক পরের দিন ভোর পাঁচটার দিকে আমাকে ভাই ফোন দিয়ে আবারো বলে কিবরিয়া তুমি একটু সকাল সকাল চলে আসো। আমি ঠিক সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গাংনীতে পৌঁছে যাই।
গাংনীতে গিয়ে আমি প্রথমে ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে বললাম ভাই আমি গাংনীতে পৌঁছে গেছি। তারপরে ভাই আমার কাছে এসে আমাকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। হাসপাতালে সামনে গিয়ে আমাকে ভাই একটি ডাব কিনে দিয়েছিল খাওয়ার জন্য। আসলে আমি এর আগে যে কইবার রক্ত দিয়েছি কারো কাছ থেকে কোন জিনিস নেইনি। কিন্তু ভাই অনেক আকুতি মিনতি করার কারণে ভাইয়ের কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি ডাব খেয়েছিলাম। আসলে আমি পুরো নিজের ইচ্ছাই রক্ত দেওয়া পোষণ করেছি রক্ত দেওয়ার পরে আমি আমার নিজের টাকায় খাওয়া-দাওয়া করি। প্রথমে আমরা হাসপাতালে মধ্যে গিয়ে আমার হাত থেকে সিন্স দিয়ে অল্প একটু রক্ত নিয়ে আসলো ক্রস ম্যাচিং পরীক্ষা করার জন্য। তারপরে আমরা বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম হাসপাতালে মধ্যে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাকে একটি কেবিনের উপরে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর একজন ডাক্তার এসে আমার হাতে ব্যাগের একটি সিন্স দিল তখন রক্ত ব্যাগের মধ্যে আসা শুরু করে দিল। সাথে আমার বন্ধু এবং একটি বড় ভাই ছিল তখন ছবি তুলে দিয়েছিল আমাকে। আসলে আমার হাত থেকে প্রায় ছয় মিনিট সময় লেগেছিল এক ব্যাগ রক্ত যেতে। আসলে শীতের মধ্যে এত সকালে রক্ত দিয়েছিলাম যে কুয়াশার কারণে ছবিগুলো ভালো বোঝা যাচ্ছিল না। আমি মূলত রক্ত দিয়েছিলাম একজন ডেলিভারি রোগীর। আসলে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল ছিল সন্তান হওয়ার জন্য দুই ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন ছিল। আসলে আমি রক্ত দিলে আমার শারীরিকভাবে কোন সমস্যা হয় না। আমরা বাড়ি থেকে আমার বাবা-মা সহ সকলে সম্মতি জানাই রক্ত দেওয়ার জন্য।
আসলে আমাদের গাংনী থানা থেকে প্রায় ১৪ জন যুব সংঘ রক্তদান গ্রুপের সাথে যুক্ত রয়েছে। আমার পুরো নিজ উদ্যোগে আমাদের এই গ্রুপ চালিয়ে থাকে। আমাদের এই যুব সংঘ রক্তদান গ্রুপ থেকে অনেক গরিব অসহায় মানুষকে সাহায্য করা হয়ে থাকে। রক্ত দেওয়া শেষে আমি রক্তের ব্যাগ হাতে নিয়ে যখন উঠে দাঁড়িয়েছিলাম তখন আমার পাশে দুজন দাঁড়িয়ে ছিলে তখন ডক্টর আমাদের একটি ছবি তুলে দিয়েছে। নিজেকে অন্যের উপকারে সব সময় বিলিয়ে দিতে বেশ ভালই লাগে। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
রক্ত দান করা একটা মহৎ উদ্যোগ। রক্ত দানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়, তাই যদি সুযোগ থাকে তাহলে রক্ত দেয়া উচিত। আর রক্ত প্রতি তিন মাস পর পর এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়, তাই নষ্ট না করে দান করা ভালো। আপনি একজন গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসায় রক্ত দিয়েছেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই এই মহৎ কাজটি করার জন্য। দোয়া রইল।
আমিও এটাই মনে করি ভাই রক্ত নষ্ট না করে প্রত্যেক তিন মাস পর পর মানুষকে দান করে দাওয়াই সবথেকে বেশি ভালো। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
রক্তদান করার কাজটি খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত।আমি এই কাজকে সম্মান জানাই।তাছাড়া আপনি খুবই ভালো একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।ডেলিভারি রোগীর হয়তো এতে অনেকখানি দুর্বলতা কেটে যাবে, ধন্যবাদ ভাইয়া।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
চেষ্টা করি আপু আমাদের এই সংগঠন থেকে আমরা অনেক অসহায় মানুষকে সাহায্য করা এবং অনেক রোগীকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করার জন্য।
রক্ত দেয়া আসলেই খুবই মহৎ একটা কাজ। নতুন বছর আসার সাথে সাথেই আপনি এমন মহৎ একটা কাজ করে ফেলেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। দোয়া করি যেন প্রতিনিয়ত মানুষের সেবায় আপনি নিজেকে এভাবে বিলিয়ে দিতে পারেন।
চেষ্টা করব সব সময় পরের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Twitter link