লাইফ স্টাইল // মিষ্টি কেনার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২১-১১-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মিষ্টি কেনার অনুভূতি । আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে রাতে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য একজন স্যার আমাদের বাসায় এসেছিল। আজকে রাতে পড়া শেষ করতে প্রায় রাত দুইটা বেজে গিয়েছিল। তারপরে ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সকাল সাতটার দিকে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম গাংনীতে। প্রাইভেট পড়া শেষ করে আজকে বেশ ঘুম পাচ্ছিল তাই কলেজের উদ্দেশ্যে আর যাওয়া হয়নি। তারপরেই বাসে উঠে বাড়ির দিকে আবারো রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে দেখি এখনো নামাজের অনেক সময় বাকি আছে। তাই ব্যাগ রেখে মোবাইল হাতে নিয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন শেয়ার করা যাক আজকের পোস্টের মূল বিষয়।
আপনারা সকলেই জানেন গত কয়েকদিন আগে আমার মামার মেয়ে হয়েছে এজন্যই সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। মামা এলাকাতে মিষ্টি দিবে বলে আমাকে মিষ্টি কেনার উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিল আমাদের বাজারে। সেখানে গিয়ে আমি মিষ্টির দোকানের মধ্যে প্রবেশ করার পরেই মিষ্টি অর্ডার করেছিলাম কিন্তু আমাকে বল্লো এত মিষ্টি এখন দেওয়া যাবে না কিছুক্ষণ পর এসে নিয়ে যেতে হবে। তারপরে আমি সেখানে মিষ্টি অর্ডার করার পরে বাইরে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করেছিলাম। বাইরে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা শেষ করে আমি সেখানে গিয়ে দেখি এখনো মিষ্টি তৈরি সম্পন্ন করতে পারেনি। তারপরে যেখানে মিষ্টি তৈরি করে সেইখানে আমি গিয়েছিলাম যাওয়ার পরে কিছু ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে আমাদের এলাকার বিখ্যাত মিষ্টি আমিন ভান্ডার। এখানে সব থেকে ভালো মানের মিষ্টি পাওয়া যায়।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একজন লোক দুধের ছানা হাত দিয়ে ছান্তে ছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। লোকটি দুই হাত দিয়ে অনেক ভালোভাবে ছান্তে ছিল তখন। দুধের ছানা যদি একটু নরম ছিল সেখানে কিছু সাদা ময়দা দিয়ে দুধের ছানা আর একটু শক্ত বানিয়েছিল। লোকটির পাশে আপনারা দেখতে পারছেন অনেক বোতল এবং মসলার প্যাকেট রয়েছে সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের মসলা গুলো ভিতরে দিচ্ছে এবং দুধের ছানার সাথে সবগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে দিচ্ছে। আসলে এগুলো দেখতে আমার কাছে সেই দিন বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ছানা গুলো যখন হাত দিয়ে নাড়া শেষ হয়ে গিয়েছিল তার কিছুক্ষণ পরে একটি গামলার মধ্যে তুলে রেখেছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম। আসলে যেখানে মিষ্টি তৈরি করে সেখানে অনেক সুগন্ধময় বাসনা ছিল। সেখানে বিভিন্ন সাইডে অনেক চুলা জ্বলতে ছিল একটি চুলায় দুধ একটি চুলায় চিনি অনেক কিছু জাল দেওয়া হয়েছিল সেগুলো দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল সেই দিন। আসলে এর আগে কখনো আমি মিষ্টি তৈরি নিজ চোখে দেখেছিলাম না।
এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কিছুক্ষণ পরেই দুধের ছানাগুলো একটি প্যাকেটের মধ্যে পোরা হয়েছিল। আমি তখন লোকটির সাথে কথা বলে জানতে পারলাম দুধের ছানাগুলো দুই থেকে তিন দিন এভাবে রাখা হবে তারপরে মিষ্টি তৈরির উপযুক্ত হবে। আমি তখন লোকটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম দুধের ছানা যদি নষ্ট হয়ে যায় লোকটি আমাকে বলেছিল এগুলোর মধ্যে যেই মসলা গুলো দেয়া হলো এই কারণে দুধের ছানা আরও বেশি সুগন্ধ ময় বাসনা হবে। তারপর দেখি লোকটি দুধের ছানাগুলো বড় একটি ফ্রিজের মধ্যে রাখল। আসলে সেই দিন মিষ্টি কেনার সময় বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমাকে মিষ্টি দেওয়ার জন্য অনেক সুন্দর ভাবে মিষ্টি তৈরি শেষে মিষ্টি প্যাকেটের মধ্যে রাখছে। যখন মিষ্টি প্যাকেটিং করা হয় তখন আমি সেখানেই দাঁড়িয়েছিলাম তাই অনেক সুন্দরভাবে ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আমি মিষ্টি অর্ডার করেছিলাম ৫০ কেজি। অবশেষে মিষ্টির দাম নিয়েছিল আমার কাছে প্রতি কেজি ৪৩০ টাকা। সেখান থেকে মিষ্টি গুলো মেপে নেওয়ার পরে টাকার হিসেবে আসে ২১৫০০ টাকা। কিন্তু লোকটি আমাকে বলল তুমি ২১০০০ টাকা দিলেই হবে ৫০০ টাকা দেওয়া লাগবে না। আমি তখন লোকটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার লস হয়ে যাবে না । লোকটা আমাকে হেসে উত্তর দিল না বাবা। সেখানে আমাকে কয়েকটি মিষ্টি ফ্রি খাওয়েছিল। আসলে গরম গরম মিষ্টি খেতে সেই দিন আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বেশ ভালোই লাগলো আপনার ব্লগিং পড়ে। হয়তো আপনার হাতে মেলা সময় ছিল নামাজের জন্য তাই আপনি পোস্ট লেখা শুরু করে দিলেন। তো আপনার মামার মেয়ে হল। সেজন্য গ্রামের সবাইকে মিষ্টি বিতরণ করল। আপনি মিষ্টি কিনতে গেলেন। মিষ্টি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো খেতে মন চাইছে ভাইয়া। অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করলেন ভালো লাগলো পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি মামার মেয়ে হয়েছে তাই মামা গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছিলাম।
Twitter link
মামার মেয়ের হাওয়া উপলক্ষে দেখছি আপনি অনেক মিষ্টি ক্রয় করেছেন। আসলে এখন সব জিনিসেরই দাম বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে তাই সেই হিসেবে মিষ্টির দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মিষ্টিগুলো আমি খেয়েছিলাম খুবই সুস্বাদু ছিল।
মামা মিষ্টিগুলো আমি কিনে নিয়ে এসেছিলাম বলেই মিষ্টি গুলো খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল।
আপনার মামার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। মিষ্টি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতেও মোটামুটি ভালো লাগে কিন্তু আমি খুব একটা মিষ্টি খেতে পারি না। দু একটা মিষ্টি খেলেই কেমন জানি ভালো লাগেনা। এর আগে আমি কখনো এভাবে মিষ্টি তৈরি দেখিনি তবে আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
যারা যে জিনিস খেতে বেশি পছন্দ করে তারা সেই জিনিস একটু কমই খেতে পারে। তাই হয়তো আপনি মিষ্টি একটু কম খেতে পারেন।
আপনার মামার মেয়ে হয়েছে, এই জন্য সারা এলাকাতে মিষ্টি বিতরণ করবে এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। তবে এক কেজি মিষ্টির দাম ৪৩০ টাকা! এই দামটা আমার কাছে একটু বেশি মনে হলো। আপনাদের ওখানে দেখছি মিষ্টির দাম অনেক বেশি। ৫০ কেজি মিষ্টির অর্ডারে ৫০০ টাকা কম দিলে মিষ্টি বিক্রেতার লস হয় না ভাই, এই জন্যই আপনার কথায় হেসে দিয়েছিলেন তিনি।
এখনকার বাজারে ৪৩০ টাকা আমার কাছে মনে হয় খুব একটা বেশি না। প্রত্যেকটা জিনিসের দামের তুলনায় মিষ্টির দাম ঠিক জায়গায় রয়েছে।
সেটা তো অবশ্যই ঠিক কথা বলেছেন ভাই। তবে বাংলাদেশে মিষ্টির দামটা বেশি আমাদের ইন্ডিয়ার থেকে। আমাদের এইখানে তুলনামূলক কম দামে মিষ্টি পাওয়া যায়।
অনেক মানুষকে দেখেছি শুধু ছেলে হলেই মিষ্টি খাওয়ায়। আপনার মামা ব্যাতিক্রম করেছে। মেয়ে হওয়ার সুবাদে ৫০ কেজি মিষ্টি নিয়ে সবাইকে মিষ্টি মুখ করিয়েছে। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর একটি বিষয় হলো গরম গরম মিষ্টি সত্যিই খুবই সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ।
আসলে ভাই মামার প্রথম সন্তান তাই মামা ছেলে এবং মেয়ে সেটা যাচাই করেনি শুধুমাত্র সন্তান হয়েছে এই কারণেই গ্রামের সকলকে মিষ্টি খাওয়া হয়েছে। আমি মনে করি ছেলে এবং মেয়ে পুরোটাই মহান আল্লাহতালার সৃষ্টি তাই আল্লাহতালা যা দিবে তাই খুশি।