শপ নাম্বার ৬৯ // নাটক রিভিউ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-০৬-২০২৩)
নাটকের নাম | শপ নাম্বার ৬৯ |
---|---|
পরিচালক | মাহমুদ মাহিন |
অভিনয় | মুশফিক ফারহান , তানজিন তিশা |
দৈর্ঘ্য | ৪৮ মিনিট ১৬ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ৮ জুন ২০২৩ ইং |
নাটকের শুরুতেই আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়ক এবং নায়কা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। নায়ক এবং নায়কা দুজনই একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। নায়কা কাজ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। নায়কা সন্ধার দিকে যখন ওয়াশরুমে যায় তখন নায়ক পিছন পিছন দিয়ে ওয়াশরুমে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। তারপরে যখন সব শ্রমিক এবং মালিক কোম্পানি থেকে চলে যায় তখন নায়ক গিয়ে ওয়াশরুমের দরজা খুলে দেয়। এদিকে নায়কা ওয়াশরুমের ভিতরে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। পরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে বলে তোমাকে বেশ ধন্যবাদ। নায়কা বলে আমিতো আর একটু হলে মরে যেতাম। কোম্পানি তিন দিনের জন্য বন্ধ থাকবে এই চিন্তা আরও সব থেকে বেশি হচ্ছিল।
তারপরে তারা দুজন সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কোম্পানির মধ্য থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সবাই কোম্পানি তালা মেরে দিয়ে বাইরে থেকে চলে গিয়েছে তাই তাদের বের হওয়ার আর কোনো উপায় ছিল না। নায়ক প্রথমে বলে দাঁড়ান আমি একটা ফোন দিয়ে দেখি তারপরে বলে আমার ফোনে চার্জ ফুরিয়ে গেছে। তারপরে নায়কা যখন ফোন দিতে যাই তার ফোনটি নায়ক কেড়ে নেয়। তারপরে নায়ক বলে কোম্পানি কি তালা এমনি এমনি লেগে গিয়েছে আমি তালা দিয়েছি তাই তালা হয়েছে। আসলে নায়কা তখন অনেক ভয় পেয়ে যায়। তিনি তখন বেশ কান্না শুরু করে। এই ছিল নাটকের প্রথম দিকের শুরুর কাহিনী তবে চলুন বিস্তারিত কাহিনী শেয়ার করা যাক।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়কা পিঠে ব্যাগ বাদিয়ে রাস্তায় হাঁটছে। তখন নায়কের সাথে হঠাৎ নায়কার দেখা হয়। নায়ক জিজ্ঞেস করে আপনি কোথায় যাচ্ছেন। নায়কা তখন বলে বাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি তখন নায়ক তার সাথে বলে আমিও বাজার করব। তারপরে তারা দুজন একটি শোরুমের মধ্যে যায়। নায়কা সেখান থেকে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করে। নায়কা বলে তুমিও কি একটা ব্যাগ নিবে। নায়ক তখন বলে এখনো তো বিয়ে করিনি তাহলে ব্যাগ কি করব ম্যাডাম। তারপরে একটা কিসের প্যাকেট নাই নায়ক এবং নায়কা দুজনে। তারপরে নায়ক হঠাৎ করে বলে ওঠে ম্যাডাম আপনি কি ম্যানেজার কে পছন্দ করেন। নায়কা তখন বলে ম্যানেজার তো বিয়ে করেছে অনেক আগেই।
তারপরে বাজার শেষে নায়ক এবং নায়কা দুজন রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার সময় তারা দুজনে অনেক কথা বলতে থাকে। নায়কা তখন বলে বিয়ে করে নিজের লাইফটা সেটেল করে নিন। নায়ক তখন বলে গরিবের কপালে আবার বিয়ে। নায়ক তখন বলে আপনি বিয়ে করছেন না কেন। নায়কা বলে নিজের স্বপ্নটা আগে পূরণ করি স্বপ্ন পূরণ করার আগে বাবা পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছে। এভাবে তারা প্রায় বাড়ির সামনে চলে আসে। তখন নায়ক হঠাৎ করে বলে আমি আপনাকে ভালোবাসি। এই কথা শুনে নায়কা একটু অবাক হয়ে যায়। তারপরে নায়ক বলে ম্যাডাম উত্তর দিলেন না। নায়কা রেগে গিয়ে বলে একজন ক্লিনার ক্লিনারের মতো থাকবা। তারপরে আরো বলে আমি দেখছি তুমি কিভাবে জব করো।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়ক নায়কাকে কোম্পানির ভিতরে আটকে রেখেছে। নায়কা অনেক ভয় পেয়েছে এবং কান্নাকাটি করছে তার কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। নায়কা তখন অনেক আকুতি মিনতি জানাই তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। নায়ক বলে এখন তিনদিন কোম্পানি বন্ধ তুমি এই তিন দিন আমার সাথে থাকবে আমাদের দুজনের মধ্যে একটা প্রেম সৃষ্টি হবে প্রেম থেকে ভালবাসার রূপ নেবে তারপর আমরা দুজন বিয়ে করব আমাদের বাচ্চাকাচ্চা হবে কত সুন্দর একটা সংসার হবে। নায়কা তার পরে বলে এই খবর যদি পুলিশ শুনতে পারে তাহলে তোমার কি হবে তুমি কখনো ভেবে দেখেছো। নায়কা বলে আমার কিডন্যাপিং করার অভিযোগে তোমার কমপক্ষে সাত বছর জেল হবে। তারপরে নায়ক হঠাৎ একলা একলাই ভালোবাসার একটি গান বলে এবং নিজেই নাচ শুরু করে দেয়। আসলে নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল জোর করে ভালোবাসা আদায়।
তারপরে তারা দুজন সেখানে বেশ কয়েকদিন থাকে। নায়ক নায়কার জন্য কোথা থেকে খাবার নিয়ে এসেছে তাকে খেতে দিয়েছে এবং নিজে ম্যানেজারের চেয়ারে বসে কম্পিউটার টিপার অভিনয় করছে। নায়ক কে তখন বেশ হাসি খুশি দেখা যাচ্ছিল নায়কা কেউ তখন বেশ হাসি খুশি দেখা যাচ্ছিল। নায়ক তখন বলে আমি তোমাকে রাজনারীর মত করে রাখবো। তারপরে তারা দুজন সেখানে একদিন নায়ক তার গায়ে হাত দিয়েছিল মাত্র। নায়কা তখন হঠাৎ করে চিৎকার দিয়ে বলে আমি কি তোমার ঘরের বউ তুমি আমার গায়ে যখন তখন হাত দাও। আসলে এই নাটকটিতে কোন রোমান্টিক মুহূর্ত ছিল না তাও দেখতে বেশ ভালোই লেগেছিল।
তারপরে নায়কা সেখানে অনেক কান্নাকাটি করে। নায়কের কাছে অনেক ক্ষমা এবং আকুতি জানিয়ে সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তারপরে নায়ক তার গলা টিপে ধরে। তারপরে নায়কা একটি ছুরি দিয়ে নায়ককে আঘাত করে সাথে সাথে সেখানে নায়ক লুটিয়ে পড়ে সেখানে। তার কিছুদিন পরে যখন আবার কোম্পানি খুলে তখন সব লোকজন এই সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
নাটকটি আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছিলাম আসলে নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে নাটকটিতে কোন রোমান্টিক মুহূর্ত না থাকলেও নাটকটি এখনকার ছেলেমেয়েদের জন্য অনেক শিক্ষা নেওয়া একটি নাটক। সত্যি বলতে এখনকার যুগের ছেলে মেয়েরা জোর করে ভালোবাসা আদায় করতে চায় জোর করে আমার জানামতে কখনো ভালোবাসা আদায় করা যায় না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির হাতে ছেলেটিকে আহত হতে হয়।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৮.৫
নাটকের লিংক
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1670394543072768002?t=bUkcw9pgOeOIZIf270Ssyg&s=19
খুবই সুন্দর একটা নাটকের দ্বিতীয় পোস্ট করেছেন আপনি। ফারহান এবং তানজিন তিশার নাটকগুলো আমার কাছে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে তাদের অভিনয় অনেক বেশি সুন্দর হয়। খুব সুন্দর করে আপনি সম্পূর্ণ নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে জোর করে কোন ভালোবাসা আদায় করা যায় না। কিন্তু কিছু কিছু ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা অন্যের কাছ থেকে জোর করে ভালোবাসা আদায় করে নিতে চায়। ঠিক বলেছেন এই নাটকটা অনেক শিক্ষনীয় ছিল এবং অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।
সত্যি বলতে আপু ফারহান ও তানজিন তিশা এদের দুজনের নাটক দেখতে এখনকার যুব সমাজের সবার ভালো লাগে। ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
নাটকের রিভিউ পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। নাটক না দেখলেও রিভিউর মাধ্যমে সবকিছুই জানা যায়। শপ নাম্বার ৬৯ নাটক টার রিভিউ বেশ ভালোই উপভোগ করে পড়েছি। এই নাটকটিতে নায়ক নায়িকার কাছ থেকে জোর করে ভালোবাসা পেতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল নায়িকার কাছ থেকে জোর করে ভালোবাসা আদায় করতে। শেষে নায়িকা নায়কদের কাছে অনেক হাত জোড়াজুড়ি করেছিল এবং অনেক ক্ষমা চেয়েছিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। নায়ক যখন নায়িকার গলা চেপে ধরে তখন নায়িকা ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে দেয়। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণটা ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
এই নাটকটি আমি দুই দিন আগেই দেখেছি। আমার কাছে কেমন জানি ভয়ঙ্কর লেগেছিল। একজন মানুষ এতটা ভয়ঙ্কর কিভাবে হয় ভাবতে অবাক লেগেছে। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি ছেলেটিকে খুন করতে বাধ্য হয়েছে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভেবে নাটক রিভিউ তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আপনি যেহেতু এই নাটকটি দুই দিন আগে দেখেছিলেন তাহলে হয়তো আপনাকে আর বলা লাগবে না নাটকটি দেখতে কেমন লেগেছিল। ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য ।
আপনার শেয়ার করা নাটকটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো । আমি এখনো এই নাটকটি দেখিনি। কিন্তু নাটক রিভিউটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আমি তাড়াতাড়ি এই নাটকটি দেখব।
মামা আপনি যেহেতু এই নাটকটি দেখেননি সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নিয়েন । ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে নাটক দেখতে আমার কাছে ভালই লাগে। খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন আপনি। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি। তবে নাটকের পুরো রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে জোর করে কখনো কোন কিছু আদায় করা যায় না। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আপনার কথা আমি একমত পোষণ করছি জোর করে কখনো ভালোবাসা আদায় করা যায় না।
ফারহানের নাটকগুলো আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। বিভিন্ন ক্যারেক্টারের অভিনয় সে করতে জানে। আপনার রিভিকরের নাটকটি অনেকবার ইউটিউবে দেখতে চেয়েও দেখা হয়নি। তবে আপনার আজকের রিভিউটি পরে নাটকটি একবার দেখার ইচ্ছে জাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি এক এক সময় এক এক ক্যাটাগরিতে অভিনয় করতে জানে তাই তার নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
শপ নাম্বার ৬৯ নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে আপনি খুবই চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন। সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি অবশ্যই আগামী যে কোন দিন নাটকটি দেখে নিবো। দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য । যেহেতু আপনি নাটকটি দেখবেন তাই আশা করি নাটকটি আপনার কাছে খুব ভালো লাগবে।
এই নাটকটি আমি দেখেছি।প্রথম যখন দেখছিলাম তখন দম বন্ধ হয়ে আসছিল আমার।যখন তানজিন তিশা ওয়াশরুমে আটকা পরে।নাটক দেখে পরে বুঝলাম ওকে ইচ্ছাকৃতভাবে আটকানো হয়েছে।পরে অবশ্য সম্পূর্ন নাটক দেখে খারাপ লেগেছে।যাক,খুব সুন্দর নাটকের রিভিউ করলেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি নাটকটি দেখলে আসলে একজন মেয়ের দম বন্ধ হয়ে আসায় স্বাভাবিক। একজন মেয়েকে আটকে রেখে এভাবে ভালোবাসা আদায় করা কখনো সম্ভব না।