বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৫-০৬-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি আপনাদের সাথে এখন পর্যন্ত কোথাও যুক্ত হতে পারি নাই। আমাদের পরিবারে অত্যন্ত একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে এই কারণে। ব্যস্ততা শেষ করে চেষ্টা করলাম আপনাদের সাথে কিছু সময় ব্যয় করার। আসলে এভাবে বসে থাকলে মন আরো বেশি খারাপ হচ্ছে তাই চলে আসলাম। গত কয়েকদিন আগে আমি আর তুহিন মামা বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। তখন তুহিন মামা আমাকে বলল ভাগ্নে কিছু ছবি তুলে রাখ তোর একটা পোস্ট হবে। তারপরে আমি কিছু ছবি তোলা শুরু করলাম মামার কথা শুনে। তবে চলুন আজকে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করা যাক........
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আপনাদের মাঝে মাছের খাবারের ছবি তুলে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের এলাকার মানুষ এই খাবার তাদের মাছের খাওয়ায়। আমাদের এলাকাতে প্রায় প্রত্যেক জনের দুই থেকে একটি করে পুকুর আছে তারও বেশি। আমাদের জেলার মধ্যে আমাদের গ্রামের সবথেকে মাছ চাষ হয় বেশি। এই খাবারের বস্তায় ২৫ কেজি খাবার রয়েছে। এই ২৫ কেজি খাবারের দাম ১২৫০ টাকা। আসলে এই খাবারটির দাম ছিল এক বছর আগেও ৭৫০ টাকা সেখান থেকে দাম বেড়ে এখন অনেক টাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবারের তুলনায় মাছের দাম খুব একটা বেশি বাড়ে নাই আমি মনে করি। তাও চেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত মাছ চাষ করার আমাদের এলাকার চাষীরা।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন তুহিন মামা বসে অনেক সুন্দর ভাবে মাছের খাবার দিচ্ছে। তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে এই পুকুরটি হচ্ছে তুহিন মামাদের। মামা আমাকে বিকেল বেলায় ডেকেছিল তাই মামার সাথে হাঁটতে হাঁটতে পুকুরপাড়ে এসেছিলাম। আসলে আমাদের মামা ভাগ্নের বেশ মধুর সম্পর্ক। কথায় আছে মামা-ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে আমাদেরও ঠিক তেমনি। আসলে মামা আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । মামা যখন বসে মাছের খাবার দিচ্ছিল তখন আমি পুকুরের মধ্যে মাছের ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাছগুলো অনেক সুন্দর ভাবে নড়ছে। এই পুকুরে প্রায় ১২০০ পিস পাঙ্গাস মাছ দেওয়া আছে। আসলে পাঙ্গাস মাছের বেশি লাভজনক হওয়ার কারণে সবাই পাঙ্গাস মাছ চাষ করে থাকে। আর এই পাঙ্গাস মাছ দ্রুত বড় হতে থাকে এই কারণে। এই মাছগুলোর বয়স প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস। এখন প্রত্যেকটি মাছের ওজন হবে দেড় থেকে দুই কেজি। মামার সাথে সেদিন আমার কথা হয়েছিল অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মাছগুলো বিক্রয় করে দেবে মাছের দাম প্রায় প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা বলছিল। মামা বলছিল মাছগুলো যদি নগদ টাকা হয় তাহলে পুকুরপাড় থেকে বিক্রয় করে দেবে।
সবার শেষে আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আর তুহিন মামা অনেক সুন্দরভাবে একটি সেলফি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে তুহিন আমাদের প্রায় চার থেকে পাঁচটি পুকুর রয়েছে প্রত্যেকটি পুকুরে অনেক মাছ চাষ করে। আসলে বিকেল বেলায় পুকুর পাড়ে বসে মাছের খাবার দিতে বেশ ভালো লাগে এবং প্রকৃতির বাতাস খেতে। মাছগুলো আমাদের গ্রামের কয়েকটি গ্রাম পরেই মাছের একটি আড়ত রয়েছে সেখানে গিয়ে বিক্রয় করতে হয়। সেখানে মাছ বিক্রয় করার সাথে সাথে নগদ টাকা দিয়ে দেয়। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1665722371724963840?t=ea7TznDkSNgV3gWXm00cHQ&s=19
মাছের খাবার দিতে কিন্তু সত্যি অনেক ভালো লাগে। পুকুরের সব মাছ যখন একটা জায়গায় চলে আসে এবং খাবার খাই সেই মুহূর্তটা দেখার মজাটাই অন্যরকমের।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি পুকুরে সব মাছ যখন এক জায়গায় এসে খায় দেখতে বেশ ভালো লাগে।
বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেয়ার অনুভূতিটা কিন্তু অন্যরকম। মাছগুলো যখন পানিতে ভেসে খায় দেখতে চমৎকার লাগে ওই সময়টা। তবে ভাগ্নে এক বস্তা খাবারের দাম ১২৫০ টাকা না, ১৫০০ টাকা। খাবারের দাম বেড়ে যায় মানুষ মাছের প্রতি আগ্রহ কমে দিয়েছে। বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি দারুন লিখেছো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বিকেলে মাছ ধরার অনুভূতিগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আমার আগে জানা ছিল না তুহিন ভাইয়ের সাথে আপনার সম্পর্কটা কি? আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম। ভাইয়া আপনার পরিবার দুর্ঘটনার খবর শুনে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আসলে মাছ চাষ করাটা আমার খুব শখের। অনেক আগে থেকে ভাবছি আমি মাছ চাষ করবো। তবে সময়ের কারণে মাছ চাষ করা হয় না। পড়ন্ত বিকেলে মাছের খাবার দেওয়ার চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি মাছ চাষ করাটা খুব শখের কিন্তু অনেক মানুষ সময়ের কারণে মাছ চাষ করতে পারেনা।
আল্লাহ সবাইকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করুক। যাক মামার সাথে গিয়ে মাছের খামারে আদার দিয়েছেন। আসলে ভাইয়া আমাদের দেশে কোন কিছু দাম বাড়লে বা আর সহজে কমেনা। ২৫ কেজি বস্তাগুলো একসময় বাংলাদেশের সাড়ে ৭৫০ টাকা ছিল এখন ফাইভ ১২৫০ টাকার মতো হয়ে গেল। তবে মনে হয় আপনাদের ওদিকে মাছ চাষ করা হয় বেশি। তবে আরাতে মাছগুলো বিক্রি করলে একসাথে টাকাগুলো পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর করে মামা ভাগ্নি মিলে মাছের খাবারের আদার দেওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দরভাবে পোস্টি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
মাছের খাওয়ানোর অনুভূতিটা কিন্তু আমার কাছে বেশি ভালো লাগে কারণ আমিও বিকাল টাইমে মাছের খাবার দিয়ে থাকি এভাবে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি মাছের খাবার দেয়ার উদ্দেশ্য ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে এভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলো এত সুন্দর বর্ণনামূলক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে
ঠিক বলেছেন মামা আপনি বিকেল বেলায় মাছের খাবার দিতে বেশ ভালোই লাগে।
পূর্বের তুলনায় বর্তমানে মাছের খাবারের দামটা অনেক হারে বৃদ্ধি হয়ে গেছে। আর মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে খাবারের মান কমে গেছে। যাহোক বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেয়ার মুহূর্তের অনুভূতির কথাগুলো চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে খাবারের মান কমে গিয়েছে। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।