আফ্রিকান বউ // নাটক রিভিউ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৩-০৬-২০২৩)
নাটকের নাম | আফ্রিকান বউ |
---|---|
পরিচালক | এম আই জ |
অভিনয় | জোভান, তানজিন তিশা |
দৈর্ঘ্য | ৪৬ মিনিট ২৯ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৯ মে ২০২১ ইং |
নাটকের শুরুতেই নায়ক এবং নায়কার একটি পার্কে দেখা হয়। সেখানে তারা দুজন বসে কফি খাচ্ছিল। নায়ক যদি কোন কারো সাথে একসময় বের হয় নায়কা শুধুমাত্র সন্দেহ করে। এই ছিল নায়কার প্রধানত সমস্যা। কোন মেয়ের সাথে নায়ক যদি অল্প একটু বাইরে বের হতো তাহলে নায়কা তার সাথে সন্দেহ করতো। তারপরে নায়ক একদিন রাগে রাগে বলে আমি তোমার সাথে আর প্রেম করতে পারছি না ব্রেকআপ। এই বলে তারা দুজন রাগারাগি করে চলে যায়। নায়ক বলে তোমার চেহারা দেখে আমি প্রেম করেছিলাম চেহারাটা সাদা হলে কি হবে ভিতরে তো কালো কুৎসিত। আমি আর কোন সাদার চেহারার মেয়ের সাথে প্রেম করবো না এখন থেকে কালো চেহারার মেয়ের সাথে প্রেম করবো। তারপরে নায়ক সিদ্ধান্ত নেয় আফ্রিকায় চলে যাবে। বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ১০ হাজার টাকা চায় পাসপোর্ট করার জন্য আফ্রিকায় যাবে বলে। তখন নায়কের মা বলে তুই কি পাগল হয়েছিস এত ভালো ভালো দেশ থাকতে আফ্রিকায় যাবি কেন লন্ডন আমেরিকা এইসব দেশে যাবি। নায়ক তখন বলে সাদা চামড়ার মানুষের দেশে আর যাওয়া যাবে না।
তারপরের দিন সকাল বেলায় নায়কা ঘুম থেকে উঠেই নায়কের বাড়ি চলে এসেছে। নায়ক বাড়ি সামনে দেখে গেট বন্ধ করে দিয়েছে। নায়কা তার পরে গিয়ে গেট অনেক ধাক্কা দেয় কিন্তু নায়ক খোলে না। নায়কা তার পরে বলে তুমি গেট না খুললে আমি এখানে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকবো। তারপরে নায়ক গেট খুলে দেয়। নায়ক বলে তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই তুমি এখান থেকে চলে যাও। আরো বলে আজকে আমি আমার পরিবারের সাথে মেয়ে দেখতে যাচ্ছি বিয়ে করার জন্য বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হলে তোমার জন্য কার্ড পাঠিয়ে দেবো গিফট আনার দরকার নেই। নায়কা তখন বলে তুমি যে বিয়ে কিভাবে কর আমিও তাই দেখছি।
এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়কা এবং নায়কার বান্ধবী একজন ঘটকের অফিসে গিয়েছে। ঘটকের অফিসে যাওয়ার পরে নায়কা বলে আমাকে বিয়ে দিতে হবে ইফতির সঙ্গে। ঘটক বলে আমি তো ইফতি কে চিনি না নায়কা বলে আপনি কে চেনেন। নায়কা বলে ওই যে যেই ছেলেটা আফ্রিকান মেয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে ওই ছেলেটার নাম ইফতি। ঘটক তখন বলে কোন লাভ নেই ওই ছেলেটা কালো কুৎসিত বান্দরের মত মেয়ে খুঁজছে। তারপর নায়কার ব্যাগ থেকে একটি ছবি বের করে ঘটকের হাতে দেয় বলে এই ছবিটা দেখে আপনি মেয়ে দেখতে যাওয়ার কথা বলবেন। সেই সময় নায়কা এবং নায়কার বান্ধবী ঘটকে কিছু টাকা দেয়।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। নায়ক একটি আফ্রিকান মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে বিয়ে করবে বলে কিন্তু নায়কা আফ্রিকান সেজে নায়কের সাথে দেখা করতে চলে এসেছে। নায়কের সামনে বসে থাকা সত্ত্বেও নায়ক চিনতে পারছে না। পরে তারা দুজন অনেক কথাবার্তা বলে এবং চা খায়। নায়কের মনে অল্প একটু সন্দেহ হয় এই কারণে নায়ক তার হাতে চায়ের পানি ঢেলে দেয় রং উঠছে নাকি দেখার জন্য। কিন্তু নায়কা তখন বলে সেখান থেকে তার তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে যেতে হবে। তারপরে নায়কা সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে খুব তাড়াতাড়ি রওনা দেয়।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়ক এবং নায়কা অনেক সুন্দর ভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলছে তারা দুজন। আসলে নায়ক তখন মনে করে এটি হচ্ছে সে আফ্রিকান মেয়ে যে মেয়েকে নায়ক দেখতে গিয়েছিল। এজন্য নায়ক বেশ ভালোভাবেই কথা বলছে নায়কার সাথে। তার আগে নায়ক বাড়িতে এসে তার মা এবং ভাইকে মিষ্টি খাওয়াতে গেছে মেয়ে খুঁজে পেয়েছে বলে। নায়ক তার মাকে বলে তোমরা আর কোন চিন্তা করো না মা আমি তোমাদের বৌমা খুঁজে পেয়েছি আফ্রিকার মেয়ে। নায়ক এর ভাই তখন বলে তুই কি আমাকে রেখে একাই বিয়ে করে ফেলবি ভাই। তারপরে নায়কের মা বলে যা করবি একটু ভেবেচিন্তে করিস ।
এবার আপনার উপরের ছবি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়ক এবং নায়কার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। যখন নায়ক বাসর ঘরে গিয়ে নায়কাকে দেখে তখন চিৎকার করে বাসর ঘর থেকে বের হয়ে আসে এবং তার মাকে ডাক দেয়। বলে মা বাসর ঘরে একটা ডাইনি বসে আছে বাসর ঘরে যাবো কিভাবে। তারপরে নায়কা বাইরে বের হয়ে আসে এবং সবাই একটু মজার ছলে হাসাহাসি করে। তারপরে বাড়ির লোক সবাই বলে আমাদের প্লান মতই সবকিছু হয়েছে। তারপরে নায়কের সবকিছু আস্তে আস্তে মেনে নেয়। তারপরে নায়কা বলে আমি তোমার আফ্রিকান বউ হয়ে থাকতে চাই। নায়কা বলে আমার বাবা-মা দেশের বাইরে আছে যখন আসবে তখন আমাদের বিয়ে আবার হবে। এই বলে নাটক শেষ হয় আসলে নাটকের কাহিনী আমার কাছে দেখতে বেশ দারুন ছিল।
আসলে এই নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এই নাটকের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাহিনী আমি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। এখনকার ছেলে মেয়েরা এই রকম নাটক দেখতে বেশি আগ্রহী। কেননা এখনকার ছেলেমেয়েরাও বাড়িতে অবাধ্য হয়ে জোর করে বিয়ে করছে। আসলে এই নাটকটিতে দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আসলে নাটকটির মূল কাহিনী ছিল হচ্ছে একজন ভালো মনের মানুষ কে বিয়ে করা। নাটকটির শেষ দিকে রোমান্টিক কিছু কাহিনী ছিল দেখতে বেশ ভালো লেগেছে আমার ।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৯.৫
নাটকের লিংক
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1672156107157159936?t=S5MO1TXJ8KDmXBSoDmAMPw&s=19
দারুন একটা নাটকের ভিডিও আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই নাটকটা আমি কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। নায়িকা যখন বিয়ে করার জন্য আফ্রিকান মানুষদের মত সেজে আসে তখন বিষয়টি অনেক মজাদার ছিল।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি নায়কা যখন বিয়ে করার জন্য আফ্রিকান মেয়ে এসেছে তখন দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
আফ্রিকান বউ নাটকটি কিছুটা রোমান্টিক এবং হাসিরও মনে হল। আপনি খুব চমৎকার করে নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। এই নাটকটি যদিও দেখা হয়নি কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে মনে হল যে নাটকটি অনেক ভাল ছিল। সময় পেলে দেখতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আসলে নাটকটি দেখতে বেশ হাসির আপু সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করবেন।
আফ্রিকান বউ নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এখানে নায়ক সাদা চেহারার মেয়েকে বিয়ে না করে আফ্রিকার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাটকের রিভিউ পড়ে নাটক দেখতে ইচ্ছে করছে। সময় করে খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি সাদা চেহারার মেয়ে বিয়ে না করায় আফ্রিকান সেজেছিল যাতে কালো মেয়ে বিয়ে করতে হয়।
"আফ্রিকান বউ"নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার নাটকের রিভিউটি পড়ে নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাই খুব শীঘ্রই সময় সুযোগ করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। একটি ভাল মনের মানুষকে বিয়ে করার জন্য নায়কের আফ্রিকান বউ বিয়ে করতে চাওয়া এবং নায়িকা আফ্রিকান সেজে নায়কের বউ হওয়া ব্যাপারটি খুবই মজার ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য। অবশ্যই সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবেন।
আফ্রিকান বউ চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। তানজিন তিশার এবং জোভান এর এই নাটকটি আমি কিছুদিন আগে দেখেছি ভাইয়া। এদের দুজনের অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আজকে আপনার নাটকের রিভিউ পরে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি এদের দুজনের অভিনয় দেখতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আসলে এখনকার সময় ছেলেমেয়েরা এদের নাটক দেখতে বেশি আগ্রহ।