বন্ধুর সাথে তালশাস কিনে খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৯-০৭-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি দুই বন্ধু মিলে তালশাস কিনে খাওয়ার অনুভূতি। আসলে আজকে সকালবেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। আপনারা জানেন গতকাল থেকে আমার শরীর খুবই অসুস্থ তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আসলে প্রচন্ড জ্বর এবং সর্দি কাশি সবকিছু একসাথে এসেছে তাও চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য। সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট থেকে মেসে ফিরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আসলে শরীর খুবই খারাপ তাই সব সময় ঘুমাতে মন চাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেছিলাম প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে। তখন আপনাদের সাথে অল্প একটু যুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে আসরের নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে অল্প একটু বাজারে এক ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মিশে ফিরে অল্প একটু বসে আবারো মাগরিবের নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাগরিবের নামাজ শেষে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। তবে চলুন আজকের পোষ্ট নিচে শেয়ার করা যাক.......
সবার উপরে আমি আপনাদের মাঝে যে ছবিটি শেয়ার করেছি আপনারা দেখতে পারছেন একজন তালশাস বিক্রেতা কিছু তাল নিয়ে বাজারে বসে আছে তালশাস গুলো বিক্রয় করার জন্য। সেই দিন আমি আর আমার বন্ধু গিয়েছিলাম চুল কাটানোর উদ্দেশ্যে বাজারে। ঘটনাটি হচ্ছে কিছুদিন আগের ঘটনা। চুল কাটানোর পর আমার বন্ধু বলেছিল তালশাস খাবে। তাই আমরা দুজন বন্ধু মিলে ছয় পিস তালশাস কিনেছিলাম। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক বড় একটি কাটারি দিয়ে তালশাস কাটা হচ্ছিল।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কাটারি দিয়ে তালশাস কাটার পরে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ঝুড়ির মধ্যে রাখা হচ্ছিল। যখন ঝুড়ির মধ্যে তালশাস গুলো রেখেছিল তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে তখন আমার কাছে তালশাস গুলো তোলা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। আসলে লোকটি প্রত্যেকটি তালশাস অনেক সুন্দর ভাবে তুলছিল একটিও তালশাস ফেটে যাচ্ছিল না। প্রত্যেকটি তালশাসের ভিতর অনেক সুন্দর নরম এবং রস ছিল। আসলে সেই অনুভূতি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন তালশাস গুলো তাল থেকে বের করে নেওয়ার পরে খোলা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে নিচে একটি জায়গায় রাখা হচ্ছে। তালশাসের খোলা গুলো যখন নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়েছিল তখন আমি একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে ওই লোকটি আমাকে বলেছিল এই খোলা গুলো আবার এখান থেকে কুড়িয়ে অন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। আসলে এই কথাটি শুনে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। লোকটি আমাকে বলেছিল পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। আমাদের সমাজে এখন এমন মানুষ খুবই কম দেখা যায়।
সবার শেষে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার দুজন বন্ধু অনেক সুন্দর ভাবে তালশাস ধরে সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা মোট ছয় পিস তালশাস কিনেছিলাম সেখান থেকে। প্রত্যেকটি তালশাসের দাম নিয়েছিল ৫ টাকা করে। তাই মোট ছয় পিস তার সাথে দাম নিয়েছিল ৩০ টাকা। আসলে তালশাস গুলো খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আসলে বছর কার ফল খেতে বেশ ভালোই লাগে। আসলে প্রতিটা জিনিস খেয়ে রাখা ভালো। এর আগেও অনেক তালশাস খেয়ে ছিলাম কিন্তু সেই দিনের মতো মজা পেয়েছিলাম না। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1681664930653634566?t=gvifmexa2ZLtb-BWOpF9SA&s=19
তালশাঁস খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।আমিও মাঝেমধ্যে কিনে খাই ।আমাদের এখানেও পাঁচ টাকা করে তালশাঁস কিনতে পাওয়া যায়। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া যে তাল খোশাগুলো তিনি পরবর্তীতে এখান থেকে তুলে অন্য কোথাও ফেলবেন পরিবেশ দূষণ করবেন না।
আসলে আপু এই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল আসলে এমন মানুষ আমাদের সমাজে খুবই কম দেখা যায়।
তালের শাঁস খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে আপনাদের এখান থেকে আমাদের এখানে তালের শাঁস গুলোর দাম আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। প্রতি পিস তালের শাঁস এর দাম ৫ টাকা করে শুনে অবাক হলাম। আপনার বন্ধুদের সাথে তালের শাঁস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমাদের এলাকাতে এই ফলের গাছ প্রায় বাড়িতে রয়েছে তাই দাম খুব একটা বেশি না যখন তখন পাওয়া যায়।
তাল শাঁস আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। যদিও এ বছর ব্যস্ততার মাঝে সেভাবে তাল শাঁস খাওয়া হয়নি। ঢাকার তুলনায় গ্রামে তালশাঁসের দাম কম। আমাদের এখানেও ৫ টাকা পিছ তাল শাঁস বিক্রি হয়।
ঠিক বলেছেন ভাই ঢাকার তুলনায় সব ফলের দামি গ্রাম অঞ্চলে একটু কম দামেই পাওয়া যায়।
খুব লোভনীয় একটি জিনিস নিয়ে আজ পোস্ট করেছেন। ছেলেবেলায় স্কুলে টাকা বাঁচলেই তালের শাস কিনে কিনে খেতাম। কি যে টেস্ট লাগবে তখন। এখন তো তালের শাসের দাম অনেক বেশি।
আপু আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার সেই শৈশবের কথা মনে পড়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।