প্রাইমারি স্কুল জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি প্রাইমারি স্কুল জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা। আসলে আজকে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম বেলা সাতটার দিকে। তারপরে হাত-মুখ ধুয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম। তার কিছুক্ষণ পরেই খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রায় ঘন্টা দেড়েক মত প্রাইভেট পড়েছিলাম প্রাইভেট শেষ করে রুমে এসেছিলাম তারপরে বই খাতা কলমগুলো ব্যাগের মধ্যে নিয়ে আবারো কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ থেকে বাসায় ফিরতে প্রায় দুইটা বেজে গিয়েছিল। বাসায় এসে দেখি বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তারপরে গরমের মাঝেও কিছু কমেন্ট করেছিলাম আপনাদের মাঝে। তারপরে ভেবেছিলাম পোস্ট বিকেল বেলার দিকে শেয়ার করব কিন্তু মোবাইলে এমবি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আর পোস্ট শেয়ার করতে পারিনি। সন্ধ্যার দিকে নামাজ আদায় করতে গিয়ে মোবাইল ফোনে টাকা পোরার পরে আবারও এমবি কেন আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক......

আসলে কথাগুলো ঠিক সেভাবে ভালো মনে পড়ে না তাও যেগুলো মনে পড়ে সেগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করছি। আমার বয়স যখন সাত বছর তখন আমি প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয় প্রথম। আমি যখন ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিলাম তখন আমাদের বাড়ির পাশের কয়েকজন মিলে ভর্তি হয়েছিলাম। তারপরে এভাবে বেশ কয়েকজন বন্ধু হয়েছিল ক্লাস ওয়ানে। আমি প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পদার্পণ করি। আমরা যখন ক্লাস টু তে পড়েছিলাম তখন আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আসলে সে আমার অনেক ভালো বন্ধু হিসাবে বিবেচিত হয়। আমাদের বাড়িতে প্রায় সময় আসতো এবং আমার সাথে খেলাধুলা করতো। তখন আমি অনেকগুলো ঘুঘু পাখি পালন করতাম। আসলে সেই সময়ে আমার সেই বন্ধু আমার কাছ থেকে একটি ঘুঘু পাখি চেয়েছিল। আমি সেই বন্ধুকে আমার পাখিগুলোর মধ্য থেকে একটি পাখি দিয়েছিলাম। আসলে সেই পাখিটি তার বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ডাকা শিখে যায়। তখন সেই পাখিটি আমি সেই বন্ধুর কাছে চেয়েছিলাম কিন্তু সেই বন্ধু আমাকে আর দিয়েছিল না। আমি বলেছিলাম ওই পাখিটা আমাকে দাও আমি তোমাকে আরো একটি পাখি দিব কিন্তু তাও দিয়েছিল না। তার কিছুদিন পর এভাবে এক বছর পার হয়ে যায় এবং তৃতীয় শ্রেণীতে আমরা উঠি।

আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমি অনেক কঠিন একটি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম। আসলে সেই সময়ে আমার বাবার তেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। তাই হয়তো আমাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারে নাই। কিন্তু আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবকিছু একাই ঠিক হয়ে যায় আবার। আসলে এই অসুস্থতার কারণে আমি এক বছর লেখাপড়া করতে পারি নাই। তারপরে আমি যখন আবারও স্কুলে ভর্তি হই তখন প্রাইমারি স্কুল বাদ দিয়ে পি ক্যাড স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আবারো নতুন বন্ধু হয় সেখানে এক বছর পার হয়ে আবারো চতুর্থ শ্রেণীতে আমরা উঠি। সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেমেয়ে আসতো লেখাপড়া করার জন্য আসলে খুবই ভাল একটি স্কুল ছিল। তার কিছুদিন পরে আমি পিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম। মডেল টেস্ট পরীক্ষায় আমি স্কুলে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিলাম। এভাবেই প্রাইমারি স্কুল জীবন শেষ করেছিলাম। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।