ভ্রমণ পোস্ট // ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -১০ পর্ব

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -১০ পর্ব। আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রথমে বাড়ির কাজের জন্য বাইক নিয়ে একটু বাইরে গিয়েছিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে ফিরে এসে আবারো প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপর প্রাইভেট পড়া শেষ করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ থেকে বাড়িতে আসতে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছিলাম। তারপর গোসল শেষ করে নামাজ আদায় করে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিছানায় শুয়ে আছি। ভাবলাম এখন যেহেতু ফ্রি সময় হাতে রয়েছে তাই আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করে ফেলি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাটির উপরে নকশা করা বাংলাদেশের মানচিত্র আমি আপনাদের মাঝে ছবি তুলে শেয়ার করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধাকে কেন্দ্র করে এই মুজিবনগরে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। মাটির বুকে খোদাই করে আঁকা হয়েছে মানচিত্র। এই মানচিত্র দেখার জন্য আমরা প্রায় দুই তালা ছাদের উপরে উঠে মানচিত্র দেখেছিলাম। আমাদের সাথে তখন আমার দুলাভাই আপু এবং আমার খালা ও ভাইয়া ছিল। আমরা সকলেই সেই দিন বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপরে আমি স্মৃতিসৌধের মধ্যে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর সাথে যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তার কিছু দৃশ্য এখানে আমি ছবির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। ১৯৭১ সালের সময় দুই দল যুদ্ধ করতে গিয়ে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। সে সকল কিছু দৃশ্য এখানে তৈরি করা হয়েছে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপর আমি আবারও বাংলাদেশের মানচিত্রের ছবিসহ আমার নিজের সেলফি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি।

কিছুক্ষণ পরে আমরা সেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণ করতে গিয়ে সেখানকার মেলাতে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে মেলাতে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ অনেক ধরনের জিনিস বিক্রয় সেখানকার কিছু জিনিস দেখে আমারও বেশ ভালো লেগেছিল। ছোট মানুষের খেলার জিনিস অনেক ছিল সেখানে। আমাদের সাথে আমার ছোট্ট খালামণি ছিল। আমি আমার ছোট্ট খালামণিকে একটি পুতুল কিনে দিয়েছিলাম সেখান থেকে মাত্র ১৬০ টাকা দিয়ে। পুতুল গুলোর মাথায় আবার ক্যাপ দেওয়া ছিল সব মিলিয়ে দেখতে বেশ দারুন লেগেছিল।

এবার আমি আপনাদের মাঝে চেষ্টা করেছি মুজিবনগরে হেলিপ্যাডের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে আমি উপর থেকে যেই ছবিটি তুলেছিলাম সেই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্রত্যেক বছর ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে অনুষ্ঠান হয়। এখানে প্রত্যেকবার একজন করে মন্ত্রী আসে হেলিকপ্টারে সেখান একটি হেলিপ্যাড রয়েছে তাই সেখানকার ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মুজিবনগর এর জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। সর্বপ্রথম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী এই মুজিবনগর। এবং এই মুজিবনগরে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধার মূল পটভূমি শুরু হয় এই মুজিবনগর থেকে। আসলে এই মুজিবনগরকে ঘিরে অনেক স্মৃতি রয়েছে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।