টিয়া পাখি নিয়ে কিছু আলোচনা

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি টিয়া পাখি নিয়ে কিছু আলোচনা। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করছি। ঈদের পরে গত দুইদিন হল নানীদের বাসায় এসেছি। তারপর থেকে অল্প একটু হলেও অবসর সময় পার করছি। নানীদের বাসায় আসার পরে মোস্তাফিজুর মামা তুহিন মামা সবার শাথেই বেশ আড্ডা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গতকাল রাতে ওয়াইফাই খুব ডিস্টার্ব দিচ্ছিল এর কারণে আপনাদের সাথে খুব একটা ভালো যুক্ত হতে পারি নাই। তাই আজকে ভাবলাম সকাল সকাল সবকিছু করে রাখবো। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে অল্প একটু বাইরে হাঁটতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে খালাকে স্কুলে রাখার জন্য বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম। খালাকে স্কুলে রেখে এসে আমিও বসে গিয়েছিলাম আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করতে। তবে চলুন আজকের পোস্টটি নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যায়.......

বেশ কয়েকদিন আগে আমি গাংনী বাজারে একটি দোকানে গিয়েছিলাম সেন্ডেল কেনার জন্য। সেখানে গিয়ে আমি টিয়া পাখি দেখতে পাই। তারপরেই সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম টিয়া পাখির। ঘটনাটি প্রায় দুই এক মাস আগের ঘটনা। আজকে পোস্ট শেয়ার করব এই জন্য গ্যালারিতে ঢুকে ছবি খুঁজছিলাম তাই চোখের সামনে বেঁধে গেল টিয়া পাখির ছবিটি তাই চলে আসলাম আপনাদের মাঝে এই বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করা জন্য। আসলে সেন্ডেলের দোকানটি আমার অনেক পরিচিত একটি দোকান। আমি বাজার থেকে সেন্ডেল নিলে বেশিরভাগ সময় ওই দোকান থেকে কিনে থাকি। আসলে ওই দোকানে বেশ ইউনিক জিনিস পাওয়া যায়।

আসলে টিয়া পাখিটি সবসময় দোকানের মধ্যে খাঁচার বাইরে থাকতো কোন সময় খাঁচার মধ্যে রাখত না। আসলে আমি যে সময় টিয়া পাখির ছবি তুলেছিলাম সেই সময় টিয়া পাখির বয়স ছিল দেড় মাস। আমি ওই লোকটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওই লোকটি আমাকে বলেছিল টিয়া পাখিটি ওই লোকটি একজনের কাছ থেকে কিনে নিয়ে এসেছে প্রায় চার হাজার টাকা দিয়ে। ওই লোকটি বলছিল আমার অনেকদিনের শখ একটি টিয়া পাখি পালন করা। তাই ঐ লোকটি টিয়াপাখি কিনে পালন করছে এবং সব সময় খাঁচার বাইরে রেখেছে। আসলে টিয়া পাখিটি এখনো ভালোভাবে উড়তে শিখেনি।

আসলে টিয়া পাখি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমারও নিজস্ব একটি টিয়া পাখি ছিল বেশ কয়েকদিন আগে টিয়া পাখিটি বিড়ালে ধরে খেয়ে ফেলেছে। আসলে আমার টিয়া পাখিটি সবসময় আমাদের বাড়িতে বাইরে থাকতো কোন সময় খাঁচার মধ্যে রাখতাম না। আসলে টিয়া পাখিটি আমার নাম ধরে ডাকতো। আসলে শখের বসে আমি টিয়া পাখিটি পালন করেছিলাম। আমার দুলাভাই ছোটবেলায় টিয়া পাখিটি কিনে নিয়ে এসে দিয়েছিল আমাকে। টিয়া পাখিটি যে বিড়ালে খেয়ে ফেলেছে সেই বিড়াল থেকে আমি তার বেশ কয়েকদিন পরে মেরে ফেলেছিলাম। আসলে বিড়ালটি মারার পরে আমি অনেক দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম। আমার নিজের কাছে অনেক কষ্ট লেগেছিল।

আমি আবারো সিদ্ধান্ত নিয়েছি এলাকাতে যদি কোথাও টিয়া পাখির বাচ্চা পায় তাহলে কিনে নিয়ে এসে আবার পোসা শুরু করব। আসলে টিয়া পাখি পালন করা আমার ছোটবেলার অনেক একটি শখ। আসলে বাড়ির সৌন্দর্য বজায় রাখে টিয়া পাখি বাড়িতে থাকলে। সবথেকে ভালো লাগে যখন টিয়া পাখিটি নিজের নাম ধরে ডাকে। আসলে আমার টিয়া পাখিটি আমার কাছে বেশ প্রিয় একটি পাখি ছিল। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।