জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে হালকা নাস্তা খেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে প্রত্যেকদিন সকালবেলায় কোচিং থাকার কারণে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। শীতের মাঝে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে বেশ কষ্ট হয় তাও ঠিক ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হতে হয় কোচিং এর উদ্দেশ্যে। বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফোন চার্জে দিয়ে বাইরে ছোট্ট ছেলেদের সাথে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম। তারপরে এসে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন শেয়ার করা যাক আজকের পোস্টের বিস্তারিত কিছু আলোচনা।

আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকেও তৃতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ছোট্ট মেয়েরা হলুদ শাড়ির সাজে ক্ষীর খাওয়ানোর প্লেট গুলো বেশ সুন্দরভাবে ঘর থেকে যখন নিয়ে আসছিল তখন আমি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন স্টাইলের সাজ দেখে সত্যিই আমি সেই দিন বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। বিয়েতে প্রায় তিন চার দিন আগে থেকে গিয়েছিলাম। সবাই মিলে আপুর বিয়েতে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন এবার আমি একটি প্লেট সাজানোর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্লেটটি সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ ফল দিয়ে। আঙ্গুর ফল কমলালেবু বেদেনা এবং চেরি ফল দিয়ে প্লেটটি বেশ সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল। সবকিছু প্লেটের এত সুন্দর ডিজাইন করেছিল এই ছোট্ট ছেলে মেয়েরা। আসলে এত সুন্দর হাতের কাজ দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। যখন এগুলো সাজানো হয়েছিল তখন আমি সেখানে বসে ছিলাম। এই প্রথম কোন বিয়েতে আমি এত মজা করেছিলাম।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আরো দুইটি প্লেটের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। আসলে প্লেটগুলো বেশ সুন্দরভাবে ফল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। দ্বিতীয় প্লেটের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বেশ সুন্দরভাবে ডিজাইনের পিঠা তৈরি করা হয়েছিল ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য। আসলে এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের পিঠা দেখে আমার বেশ লোভ লেগে গিয়েছিল পিঠে খাওয়ার জন্য। আপুর পাশে বসে আমিও অনেক সময় ক্ষীর খেয়েছিলাম কারণ আপু এত ক্ষীর একা খেতে পারছিল না বলে। সব মিলিয়ে আপুর বিয়েতে বেশ মজা করেছিলাম।

এবার আপনাদের উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপু সহ আপুদের পাড়ার ছোট্ট মেয়েরা অনেক সুন্দরভাবে ক্ষীর খাওয়ানো আসনে বসে রয়েছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে সবাই একই শাড়িতে সেজেছিল বলে দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল। বিয়ের দুই দিন আগে থেকেই বাড়িতে বেশ আনন্দ উৎসব বিরাজ করছিল। আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ক্যামেরাম্যান সেখানে আমার মোবাইল দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে সবার সাথে একটি সেলফি তুলেছিল। এই ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান প্রায় তিন ঘন্টা সময় ধরে চলমান ছিল। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু করে রাত নয়টা পর্যন্ত ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান চলছিল।

আপনারা এবার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান যখন শুরু হয়েছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এবার ক্ষীর দিচ্ছিল আপুর বড় মামার বড় মেয়ে। আসলে ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানে আমি সামনে থেকে পুরো সময় ছবিগুলো আমার মোবাইলে সহ ডিএসএলআর ক্যামেরায় ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে শেয়ার করবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।